বিশেষ প্রতিবেদন : দেশের ফুটবলের তীর্থস্থান বলা হয়ে থাকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে। কিন্তু সংষ্কার কাজ চলমান থাকায় এখন আর এই মাঠে খেলা হতে দেখা যায়না। সে কারণে ফুটবল, অ্যাথলেটিক্সসহ আরও কিছু খেলায় চলছে হতাশা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ শুরু হয় প্রায় দুই বছর আগে। চলতি বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ডেডলাইন অনুযায়ী তা সম্ভব হয়নি। বর্ধিত বাজেটে নতুন করে কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন মাস। স্টেডিয়াম সংস্কারের শুরুতে বর্ধিত বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। তৃতীয়বার বাজেট বেড়েছে ৬০ কোটি টাকার মতো। অতিরিক্ত টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পেতে বিলম্ব হওয়ার কারণেই কার্যত স্থবির হয়ে আছে দেশের প্রধান এই স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ। প্রথমত করোনার ধাক্কা, দ্বিতীয়ত বাজেট বৃদ্ধি মিলিয়ে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে স্টেডিয়াম আধুনিকায়ন করতে। সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছেন, ‘বর্ধিত কাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাড লাইট। আমরা প্রথমে ফ্লাইড লাইটে যে বাজেট ধরেছিলাম, তার দ্বিগুণ লাগবে এখন। কারণ, বাফুফের চাহিদা অনুসারে আমাদের এখন এলইডি লাইট স্থাপন করতে হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল’।
সেজন্য মৌখিক অনুমতি নিয়েছি। এখন বর্ধিত বাজেট একনেকে উত্থাপন হবে। সেখানে অনুমোদন হলেই দরপত্র প্রক্রিয়ায় যাওয়া সম্ভব হবে। কবে নাগাদ এই স্টেডিয়ামে খেলাধুলা ফিরতে পারে? এমন প্রশ্নে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্টেডিয়ামের মাঠের ঘাস সবুজ হয়ে গেছে। ট্র্যাকও বসে গেছে। এখন দুই ফেডারেশন চাইলে খেলা আয়োজন করতে পারে। বাফুফে যদি এখানে খেলা আয়োজন করে তাহলে আমরা স্টেডিয়াম সংস্কার কাজের কোনো কিছুই ভেতরে রাখবো না। ফ্লাডলাইট স্থাপন, শেডের বাকি অংশ বসানো এবং চেয়ার স্থাপনের সময় মাঠের খেলায় কোনো সমস্যা হবে না। সব বাইরে রেখে কাজ হবে। ভেতরে খেলার উপযুক্ত পরিবেশই থাকবে। বাফুফে আগ্রহ দেখালেই আমরা মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দেবো’।
সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ আছে। অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে আছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। এ প্রসঙ্গে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি সিলেটে হবে। অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটিও বঙ্গবন্ধুতে আয়োজনের সম্ভাবনা নেই। কারণ, হাতে আছে মাত্র দুই মাস।’ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য ২০১৭ সালে যখন প্রথম ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজোল) তৈরি করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি), তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮০ কোটি টাকার মতো। ওই প্রজেক্ট তেরি হয়েছিল ২০১৯ সালের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্টেডিয়াম সংস্কার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে এনএসসি। নতুন পরিকল্পনায় বাজেট বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮ কোটি টাকা এবং সংস্কার শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২২ সালের জুন। পরে সময় বাড়িয়ে সেটা ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছিল। তৃতীয়বার বাজেট ও প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত বাজেটে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের আধুনিকায়নের কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ আছে ২০২৪ সালের জুন মাস। স্টেডিয়াম সংস্কারের বর্ধিত বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা।
তৃতীয়বার বাজেট বেড়েছে ৬০ কোটি টাকার মতো। অতিরিক্ত টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পেতে বিলম্ব হওয়ার কারণেই কার্যত স্থবির হয়ে আছে দেশের প্রধান এই স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। প্রথমত করোনার ধাক্কা, দ্বিতীয়ত বাজেট বৃদ্ধি মিলিয়ে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে স্টেডিয়াম আধুনিকায়ন করতে। সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ আছে। অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে আছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি সিলেটে হওয়ার পরিকল্পনা শুরুতে ছিল। পরে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে। অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটিও বঙ্গবন্ধুতে আয়োজনের সম্ভাবনা নেই। কারণ, হাতে আছে মাত্র দুই মাস’। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য ২০১৭ সালে যখন প্রথম ডিপিপি তৈরি করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি), তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮০ কোটি টাকার মতো। ওই প্রজেক্ট তৈরি হয়েছিল ২০১৯ সালের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্টেডিয়াম সংস্কার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে এনএসসি।
নতুন পরিকল্পনায় বাজেট বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮ কোটি টাকা এবং সংস্কার শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২২ সালের জুন। পরে সময় বাড়িয়ে সেটা ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছিল। তৃতীয়বার বাজেট ও প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছে। এখন যদি ফুটবল ফেডারেশন ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন চায় তাহলে খেলা শুরু করতে পারবে। বাফুফে জানিয়েছে তারা নিচের সারির লিগগুলো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কি হতে পারে সেটা হয়তো দ্রুততম সময়ের মধ্যেই দেখা যাবে।
পথরেখা/আসো