• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৫৩

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কার কাজ শেষ হতে কত অপেক্ষা...

বিশেষ প্রতিবেদন : দেশের ফুটবলের তীর্থস্থান বলা হয়ে থাকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে। কিন্তু সংষ্কার কাজ চলমান থাকায় এখন আর এই মাঠে খেলা হতে দেখা যায়না। সে কারণে ফুটবল, অ্যাথলেটিক্সসহ আরও কিছু খেলায় চলছে হতাশা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ শুরু হয় প্রায় দুই বছর আগে। চলতি বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ডেডলাইন অনুযায়ী তা সম্ভব হয়নি। বর্ধিত বাজেটে নতুন করে কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন মাস। স্টেডিয়াম সংস্কারের শুরুতে বর্ধিত বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। তৃতীয়বার বাজেট বেড়েছে ৬০ কোটি টাকার মতো। অতিরিক্ত টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পেতে বিলম্ব হওয়ার কারণেই কার্যত স্থবির হয়ে আছে দেশের প্রধান এই স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ। প্রথমত করোনার ধাক্কা, দ্বিতীয়ত বাজেট বৃদ্ধি মিলিয়ে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে স্টেডিয়াম আধুনিকায়ন করতে। সম্প্রতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল জানিয়েছেন, ‘বর্ধিত কাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ফ্লাড লাইট। আমরা প্রথমে ফ্লাইড লাইটে যে বাজেট ধরেছিলাম, তার দ্বিগুণ লাগবে এখন। কারণ, বাফুফের চাহিদা অনুসারে আমাদের এখন এলইডি লাইট স্থাপন করতে হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল’।
 
সেজন্য মৌখিক অনুমতি নিয়েছি। এখন বর্ধিত বাজেট একনেকে উত্থাপন হবে। সেখানে অনুমোদন হলেই দরপত্র প্রক্রিয়ায় যাওয়া সম্ভব হবে। কবে নাগাদ এই স্টেডিয়ামে খেলাধুলা ফিরতে পারে? এমন প্রশ্নে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্টেডিয়ামের মাঠের ঘাস সবুজ হয়ে গেছে। ট্র্যাকও বসে গেছে। এখন দুই ফেডারেশন চাইলে খেলা আয়োজন করতে পারে। বাফুফে যদি এখানে খেলা আয়োজন করে তাহলে আমরা স্টেডিয়াম সংস্কার কাজের কোনো কিছুই ভেতরে রাখবো না। ফ্লাডলাইট স্থাপন, শেডের বাকি অংশ বসানো এবং চেয়ার স্থাপনের সময় মাঠের খেলায় কোনো সমস্যা হবে না। সব বাইরে রেখে কাজ হবে। ভেতরে খেলার উপযুক্ত পরিবেশই থাকবে। বাফুফে আগ্রহ দেখালেই আমরা মাঠ খেলার উপযুক্ত করে দেবো’।
 
সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ আছে। অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে আছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। এ প্রসঙ্গে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি সিলেটে হবে। অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটিও বঙ্গবন্ধুতে আয়োজনের সম্ভাবনা নেই। কারণ, হাতে আছে মাত্র দুই মাস।’ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য ২০১৭ সালে যখন প্রথম ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজোল) তৈরি করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি), তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮০ কোটি টাকার মতো। ওই প্রজেক্ট তেরি হয়েছিল ২০১৯ সালের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্টেডিয়াম সংস্কার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে এনএসসি। নতুন পরিকল্পনায় বাজেট বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮ কোটি টাকা এবং সংস্কার শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২২ সালের জুন। পরে সময় বাড়িয়ে সেটা ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছিল। তৃতীয়বার বাজেট ও প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত বাজেটে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের আধুনিকায়নের কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারণ আছে ২০২৪ সালের জুন মাস। স্টেডিয়াম সংস্কারের বর্ধিত বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা।
 
তৃতীয়বার বাজেট বেড়েছে ৬০ কোটি টাকার মতো। অতিরিক্ত টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পেতে বিলম্ব হওয়ার কারণেই কার্যত স্থবির হয়ে আছে দেশের প্রধান এই স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। প্রথমত করোনার ধাক্কা, দ্বিতীয়ত বাজেট বৃদ্ধি মিলিয়ে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে স্টেডিয়াম আধুনিকায়ন করতে। সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ আছে। অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে আছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। এ প্রসঙ্গে যুব ও  ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি সিলেটে হওয়ার পরিকল্পনা শুরুতে ছিল। পরে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে। অক্টোবরে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটিও বঙ্গবন্ধুতে আয়োজনের সম্ভাবনা নেই। কারণ, হাতে আছে মাত্র দুই মাস’। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য ২০১৭ সালে যখন প্রথম ডিপিপি তৈরি করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি), তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮০ কোটি টাকার মতো। ওই প্রজেক্ট তৈরি হয়েছিল ২০১৯ সালের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্টেডিয়াম সংস্কার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে এনএসসি।
 
নতুন পরিকল্পনায় বাজেট বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮ কোটি টাকা এবং সংস্কার শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২২ সালের জুন। পরে সময় বাড়িয়ে সেটা ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছিল। তৃতীয়বার বাজেট ও প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছে। এখন যদি ফুটবল ফেডারেশন ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন চায় তাহলে খেলা শুরু করতে পারবে। বাফুফে জানিয়েছে তারা নিচের সারির লিগগুলো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কি হতে পারে সেটা হয়তো দ্রুততম সময়ের মধ্যেই দেখা যাবে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।