মেজর (অব.) চাকলাদার : ৫০ ওভার, রান ৩৪২। নেপাল ২৩.৪ ওভারে ১০৪ রানে অল আউট। বাবর আযম আর ইফতেখার সেঞ্চুরি করলেন । যদিও পাকিস্তানের দুই ওপেনার ২৫ রানের মধ্যেই আউট হয়ে প্যাভিল্য়নে ফেরত আসেন। বোলিং অধ্যায়ে শাদাব খান ২৭ রানে ৪ উইকেট নেন। পাকিস্তান জিতল ২৩৮ রানে। নেপাল এই প্রথম এশিয়া কাপ খেলছে।
টসে জিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক ব্যাট করার স্বিদ্ধান্ত নেয়। বাবর আযমের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৯ তম শতরান করলেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে একদিনের শতরানের ক্ষেত্রে বাবর আযম দ্বিতীয় তার আগে রয়েছেন প্রাক্তন ওপেনার সাঈদ আনোয়ার। ৩০ আগস্ট নেপালের বিরুদ্ধে দ্রুত দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান এরপর দলের হাল ধরেন বাবর আযম ।প্রতিপক্ষ নেপাল হলেও মুলকানের মন্থর ২২ গজে ব্যাট করা সহজ ছিলনা। অনান্য ব্যাটাররা অস্বস্তিতে খেললেও বাবর ইনিংস খেলেন। শতরান করার আগে একটি ছয়ও মারেন নি। মাটিতে বল রেখেই খেলেছেন তবে চার মেরেছেন দশটি। শতরান হবার পর বাবর আগ্রাসি ব্যাটিং শুরু করেন এবং ১৩০ বলে ১৫১ রানের ইনিংসে ১৪ টি চার আর ৪টি ছক্কা মারেন। দুই ওপেনার ফখর জামান (১৪) আর ইমাম উল হক (৫) ব্যর্থ হবার পর দলের হাল ধরেন বাবর, নিয়মিত তিন নম্বরেই নামেন। বাবরের পাশাপাশি শতরান করেন ইফতিকারও,৭১ বলে অপরাজিত ১০৯ রান করতে ১১ টি চার আর ৪টি ছয় মারেন। বাবর আযম তার সাথে ষষ্ঠ উইকেটে জুটি গড়ে ২১৪ রান করেন। উইকেট রক্ষক ব্যাটার রিজওয়ান ছয়টি চারের সাহায্যে ৫০ বলে ৪৪ রান করেন।
নেপালের সফলতম বোলার সোমপাল কামি। ৮৫ রানে দুই উইকেট নেন। তবে নেপালের কোন বোলারই পাকিস্তানের ব্যাটারদের রান তোলার গতি রুখতে পারেনি। জয়ের জন্য ৩৪৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেপালের ব্যাটাররা ধরে খেলা শুরু করেন, অযথা ঝুঁকি নেন নি। তবুও ব্যাটে ব্যর্থ। দ্রুত সাজ ঘরে ফিরলেন কুশল ফিরতেন (৮), আসিফ শেখ (৫) আর রোহিত (০)।কিছুটা লড়াই করলেন চার নম্বরে নামা আরিফ সেখ ৩৮ বলে ২৬ আর সোমপাল ৪৬ বলে ২৮ রান। পাকিস্তানের জোরে বোলারদের সামনে নেপালের ব্যাটাররা কখনই স্বচ্ছন্দ ছিল না। পাকিস্তানের হারিস রউফ ১৬ রানে দুই উইকেট, শাহীন আফ্রিদি ২৭ রানে দুই উইকেট নেন। ১৭ রানে ১ উইকেট নাসিমের আর ১৩ রানে ১ উইকেট মোহাম্মদ নওয়াজের।
ও্য়ইদিন একদিনের রানের হিসাবে পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম জয়। ২০১৬ সালে আয়ারল্যান্ডকে ২৫৫ রানে, ২০১৮ সনে জিম্বাবুয়েকে ২৪৪ রানে আর ২০০০ সনে বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে হারিয়েছিল। এশিয়া কাপ শুরু। পাকিস্তান তার ওপেনিং জুটিতে নজর দিতে হবে। তবে মাত্রই শুরু।
লেখক : সাবেক অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকিদল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত।
পথরেখা/আসো