• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:২২

বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে হবে

  • জাতীয়       
  • ৩১ আগস্ট, ২০২৩       
  • ৩৯
  •       
  • ৩১-০৮-২০২৩, ১৮:২০:৪১

পথরেখা অনলাইন : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
 
তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত সেটা আমাদের আরও ভালো করে জানতে হবে। হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে হবে। কারা এ ঘটনার নেপথ্যে থেকে সহযোগিতা করেছেন, কারা উপকারভোগী সে বিষয়গুলোও আমাদের জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার আগে ছোট ছোট অনেক ইঙ্গিত পেয়েছি। কিন্তু তখন আমরা বুঝিনি, ভয়ানক একটা সর্বনাশ ধেয়ে আসছিল।
 
৩১ আগস্ট দুপুরে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মনে পড়ে বঙ্গমাতার কথা। তিনি বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুকে সাহায্য করতেন। অনেক ইতিহাস বঙ্গমাতাকে নিয়ে, যা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বললেও শেষ হবে না।
 
১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সেদিন আমার পরিচিত একজন বললেন- রাস্তায় এত আর্মি কেন? উত্তরটার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি, কিছু সময় পর শুনলাম মেজর ডালিম বলছে সেই ভয়ানক কথা। এর কিছুক্ষণ পর দেখলাম আমার বাসার পেছনে রক্ষীবাহিনীর সদরদপ্তরের সামনে দুটি ট্যাঙ্ক দাঁড়িয়ে রয়েছে। তখনো আসল ঘটনা বুঝতে পারিনি। যখন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুনলাম মনে হলো আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কি বেঁচে আছি।
 
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কোনোদিন বিশ্বাস করতেন না, বাঙালিরা তাকে হত্যা করতে পারে। কিন্তু তা-ই হয়েছিল। বিদেশে গেলে আমাদের শুনতে হয়, তোমরা সেই জাতি, তোমরা তোমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছ। এত কিছুর মধ্যেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসা ছিল প্রশান্তির। তার ফিরে আসায় আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় পথচলা শুরু করেছিলাম। আমরা হৃদয়ে ধারণ করতাম, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার একদিন হবেই। আমরা সেটা দেখে যেতে পেরেছি। তবে আংশিকভাবে হয়েছে। আশা করি পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে।
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বেঁচেছিলেন বলেই আমরা বাংলাদেশকে হৃদয়ে ধারণ করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেলে মানুষ তাকে দেখতে আসেন। বলেন- শেখের বেটি এসেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যার মধ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল ভয়াবহ। আমাদের নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে সেদিন নেত্রীকে রক্ষা করেছিলেন।
 
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসবি প্রধান মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য শেখ কবির হোসেন ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি ভালোবাসা দিয়েই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। যেভাবে ব্রিটিশদের কাছ থেকে একটি কথিত স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু এরপর একটি দল বলা শুরু করলো- মুসলিমদের ভাষা বাংলা হতে পারে না। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা বলা শুরু করলো- উর্দু ভাষায় লিখতে হবে। পাকিস্তান আমলে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। দেশের মানুষকে সারাজীবন ভালোবেসে গেছেন। তিনি মনে করতেন মানুষকে বিকশিত করার জন্য একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ দরকার। তাই তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রাম করেছেন।
 
আইজিপি আরও বলেন, আমরা স্মার্ট পুলিশ গড়ে তুলতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের লজিস্টিকসহ সবকিছু দিয়েছেন। আমরা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আবারও দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যে কোনো অপচেষ্টা রুখে দিতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটনোর চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের মনোবল ভাঙার জন্য সাইবার স্পেসকে ব্যবহার করা হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা যে ডিজিটার বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন, এর সুযোগ নিয়ে নানাভাবে হুমকি-ধামকি ও পুলিশকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। পুলিশকে কর্তব্য পালন থেকে বিচ্যুত করার অপচেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, জনগণের পাশে ছিল, থাকবে। যে কোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত নস্যাৎ করার পাশাপাশি আইনগত দায়িত্ব পালন করে যাবে। সেজন্য বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তত রয়েছে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।