ভারতের ২৬৬ রানের টার্গেট তারা করার পথ আগলে দিল বৃষ্টি। তারপর সেই বৃষ্টির কল্যাণেই পাকিস্তান -ভারত ডার্বি পরিত্যক্ত। আগামীকাল ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বাঁচা-মরার ম্যাচ। হারলে বাদ। আর জিতলেও থাকিছে নানা সমীকরণ। তারপর সেমিফাইনাল। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। বাংলাদেশ শ্রীলংকার সাথে অসহায়ভাবে পরাজিত হবার পর এখন আফগানিস্তান আমাদের কাছে হিমালয় পর্বতের মত বিরাট এক বাঁধা। জিততেই হবে। শ্রীলংকার কাছে হেরে বিপদে।
ক্রিকেট নিয়ে দেখলে দেশের প্রায় ১৭ কোটি জনগণ ক্রিকেট বোদ্ধা । আর যারা ক্রিকেটের সাথে জড়িত সেই কর্তারা মহাজ্ঞানী। প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেটপ্রেমী। যার ফসল হলে এ খেলাটি সব সুযোগ সুবিধা পায়। আফগানিস্তান অস্থির এক দেশ। এ দেশের সাথে আমরা ক্রিকেটে জিতব এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমাদের ক্রিকেট দলের ভিতর পরস্পর বিশ্বাসহীনতা এমন যাতে সন্দেহ হতেই পারে আমরা আমাদের বেস্ট পারফরম করতে পারব কিনা।
বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে গেলো ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এশিয়া কাপে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) পাল্লেকেলেতে বাবরদের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ দশমিক ৫ ওভারে ২৬৬ রান সংগ্রহ করে হার্দিক পাণ্ডিয়ারা। তবে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় দুই দল ১ পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করতে হয়েছে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে ভারত একটি শক্ত জুটি তৈরির লড়াই করছিল। উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচের ওপেনিংয়ে ২৮ রানে রোহিত ও বিরাটকে আউট করে শাহিন। ৬৬ রানে ভারত হারিয়ে বসেছিল ৪ উইকেট। দলকে সেই কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধার করেন ইশান কিশান আর হার্দিক পান্ডিয়া। তাদের জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বড় পুঁজির সম্ভাবনাই জাগিয়েছিল ভারত।
৪২ ওভারে তাদের বোর্ডে ছিল ৫ উইকেটে ২৩৭ রান। মনে হচ্ছিল, তিনশো বা তার বেশি রান হয়ে যাবে। কিন্তু পাকিস্তানি বোলাররা ডেথে দুর্দান্ত বোলিং করলেন। ফলে ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। এশিয়া কাপ কর্তৃপক্ষের জানা উচিত এ সময় শ্রীলংকাতে বৃষ্টি হয় এবং এই বৃষ্টিপাত আরো খেলা ভণ্ডুল করবেই।
লেখক : সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত।
পথরেখা/আসো