• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৯

শিশুদের চুষনি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকোন

পথরেখা অনলাইন : শান্ত রাখতে অনেক সময় মা-বাবা শিশুর মুখে চুষনি দিয়ে রাখেন।প্যাসিফায়ার বা চুষনি হলো রাবার, প্লাস্টিক বা সিলিকন দিয়ে স্তনবৃন্তের আদলে তৈরি একটি বস্তু। শান্ত রাখতে অনেক সময় মা-বাবা শিশুর মুখে চুষনি দিয়ে রাখেন। এটি শিশুদের আঙুল চোষার বদভ্যাস থেকে বিরত রাখতেও সাহায্য করে। শোয়া বা ঘুমানোর সময় যাদের মুখে চুষনি থাকে, তাদের মধ্যে এসআইডিএস (সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম) বা আচমকা শিশুর মৃত্যু উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার হার কম বলে কেউ কেউ বলে থাকেন। যদিও এর সপক্ষে এখনো গবেষণালব্ধ ফলাফল তেমন পাওয়া যায়নি, বরং চুষনি ব্যবহারের বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, চুষনি ব্যবহারে শিশুর সাকিং রিফ্লেক্স বা দুধ খাওয়ার স্বতঃস্ফূর্ত ইচ্ছা কমে যায়। অথচ এটা মায়ের বুক থেকে দুধ আসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তখন শিশু নিপল কনফিউশনে ভোগে। ফলে তারা প্রয়োজনীয় পরিমাণে মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত হয়। আর শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা ও বুদ্ধি বিকাশের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই।
 
শিশু কিচ্ছু খেতে চায় না? এই বুদ্ধিগুলো জেনে রাখুন
এমনকি কখনো কখনো শিশু চুষনিতে আসক্তও হয়ে পড়ে, যা তাদের পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত রাখে। ফলে শিশুর বয়স অনুযায়ী ওজন বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।চুষনি বা প্যাসিফায়ার ব্যবহারে শিশুদের কানে ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দেখা যায়, এসব শিশু ওটিটিস মিডিয়া নামে কানের একধরনের অসুখে বেশি ভোগে। তাদের মধ্যে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যাও দেখা যায়। বেশি সময় চুষনি বা প্যাসিফায়ার ব্যবহারের কারণে দেখা যায়, তাদের দাঁতের গঠন ও সারিবদ্ধভাবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া দাঁতের দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন সমস্যা, যেমন দাঁত ক্ষয়ে ক্যাভিটিস হতে পারে, দাঁত ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে।শিশুরা কথা বলা শেখার জন্য বয়স অনুযায়ী যেসব কাজ করে, চুষনি ব্যবহারের কারণে সেগুলো কমে যায়।
 
  তাদের সামাজিকীকরণও বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে এসব ক্ষেত্রে।
আর ব্যবহৃত চুষনি সঠিকভাবে পরিষ্কার না করে শিশু বারবার মুখে দেওয়ার কারণে ব্যাকটেরিয়াজনিত মুখগহ্বর ও অন্ত্র ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কম নয়।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ব্রেস্ট মিল্ক সাবস্টিটিউট অ্যাক্ট ২০১৩-তে প্যাসিফায়ার বা চুষনি নবজাতকের স্বাস্থ্যের জন্য কেন ক্ষতিকর, সে-সংক্রান্ত তথ্য অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়েছে।চুষনির অভ্যাস না করে বরং শিশুকে শান্ত রাখতে সময় দিতে হবে। আদর, ভালোবাসা ও খেলাধুলার মাধ্যমে মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।