টসে জিতে ব্যাটিং নিল বাংলাদেশ। শ্রীলংকার বিরুদ্ধেও টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল সাকিব। টসের ভাগ্য ভালই সাকিবের।
শ্রীলংকার সাথে হারের পর এবার দলে তিন পরিবর্তন করা হয়। অভিষিক্ত ওপেনার তানজিদ হাসান, শেখ মেহেদি হাসান আর মোস্তাফিজের যায়গায় আফিফ হেসেন, শামীম হোসেন আর হাসান মাহমুদ দলে জায়গা পায়। খেলার শুরুতেই টর্নেডোর গতিতে রান তেলা শুরু হয়। ফজল হক ফারুকীর প্রথম ওভারেই আসে ১৪ রান আর রানের এ গতি পুরো খেলাকেই বজায় ছিল। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে অভিষেক হওয়া তানজিদ তবে এক ম্যাচ পরেই তানজিদ বাদ হয়। দারুণ রান আর বড় জয়ে বাংলাদেশের সুপার ফের প্রায় নিশ্চিত হয়েছে। লাহোরের ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপে খেলতে হয়েছে; তবে পিচ ছিল ব্যাটিং সহায়ক। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৩৪ রান; জবাবে আফগানিস্তান শেষ হয় ২৪৫ রানে। ৮৯ রানে জয় হয় বাংলাদেশের। মেহেদি (১১২) আর নাজমুল ( ১০৪) শতরান করে। ১৮ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকে সাকিব আল হাসান। দারুণ ব্যাটিং করেন মুশিও। আফগানিস্তানের রশিদ খান ১০ ওভারে ৬৬ রান দিয়েও উইকেট পান নাই। বাংলাদেশের ৫ উইকেটের মধ্যে ৩টি রান আউট।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। নাইট রাইডার্সে খেলা রহমতউল্লাহ গুরবাজ এক রানে আউট হন। ইব্রাহীম জাদরান (৭৫) রহমত শাহ (৩৩) আর হাসমতউল্লাহ শাহিদু (৫১) রান করে কিছুটা চেষ্টা করে ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৪ উইকেট নেন ।
এশিয়া কাপে বড় পরিসরে এবার বাংলাদেশ, অনুরোধ থাকবে সিলেকটরদের কাছে অকারণে বেশী পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এই দলই খেলান। তানিম লিটন না থাকার পরও যে চমৎকার পারফরম্যান্স বাংলাদেশ করল; তাতে তারা স্যালুট পাবার অধিকার অর্জন করে দেখাল।
লেখক : সাবেক হকি অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত ।
পথরেখা/আসো