• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩৫

শসার উপকারিতা

পথরেখা অনলাইনস : সবজির মধ্যে উন্নতম হল শসা। এটি বেশিরভাগ সালাত হিসেবে খাওয়া হয় এছাড়াও রান্না করে এবং কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়। সবজিটি মৌসুম অনুযায়ী হলেও এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। সারা বিশ্বে আবাদ করা সবজির মধ্যে চার নম্বর অবস্থান শসার। শসার বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।শসার ঔষধি গুনাগুন গুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। শসার বেশ কিছু উপকার দিকগুলো রয়েছে। এই সবজির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে এবং প্রদাহ প্রতিরোধী উদ্ভিদ যৌগ, যা চোখের জন্য অনেক উপকারী। এর পাশাপাশি রক্তচাপ কমায়, হার্টের সুরক্ষা বাড়ায়, পানি শূন্যতা দূর করে, শরীরের ভিটামিনের অভাব দূর করে, বিষাক্ততা দূর করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
 
ওজন কমাতে সাহায্য করে, চোখের জ্যোতি বাড়ায়, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে, মাথাধরা থেকে নিষ্কৃতি, কিডনি সুস্থ রাখে, ব্যথার উপশম করে, দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখে। এছাড়াও বিভিন্ন গুনাগুন রয়েছে শসার। শসার এই গুণাগুণ পাওয়ার জন্য, বা শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরণ করার জন্য নিয়মিত শসা খাওয়া যেতে পারে। আজকের এই পোস্টে থেকে শসার উপকারীতা কয়েকটি ভাগে ভাগ করে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
 
 শসার স্বাস্থ্য উপকারিতা
বলা হয়ে থাকে যারা নিয়মিত ফল খেতে পারবে তাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। অনেকে নিয়ম করে ফল খেতে পারে আবার অনেকেই খেতে পারে না। ফলের চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে অনেকটাই কার্যকারী শসা। শসা কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় এটি রান্না করে খাওয়া যায়। এর বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তাহলে চলুন শসার কিছু উপকারিতা দিকগুলো যেগুলো জেনে রাখা খুবই জরুরী।
 
হাড় মজবুত করে
 শসাতে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ভিটামিন কে রয়েছে। ভিটামিন কে হাড়ের ক্ষয় ঝুঁকি কমায় এবং ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্যকরে।যার ফলে হাড়ের গঠন মজবুত ও শক্ত হয়।
 
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
 যাদের হজম শক্তি দুর্বল তাদের জন শসা অনেক উপকারী একটি সবজি। কেননা শসার ভিটামিন, খাদ্য আঁশ এবং পানি খাবার হজমে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন শসা খাওয়া হলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
 
‌দাঁত ও মাড়ির জন্য ভালো
 শসা আমাদের মুখের অ্যাসিডের ভারসাম্য ও পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এবং পাশাপাশি দাঁতের প্লাক এবং টক্সিন তৈরি করে পরিষ্কার করে। এজন্য নিয়মিত শসা খেতে পারলে দাঁত ও মাড়ির রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এরসাথে শরীরে কাঁটাছেঁড়া এবং ক্ষত প্রতিরোধ ও নিরাময় করা সহজ হয়।
 
দেহের পানি শূন্যতার অভাব পূরণ করে
গরমের পানি পিপাসা দূর করার ক্ষেত্রে শসার ভূমিকা অনেক। কারণ শসাতে প্রায় পঁচানব্বই শতাংশ পানি রয়েছে এর ফলে শরীর আর্দ্ররাখতে ও পানির স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
 
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা
 শসাতে তিনটি উপকারী উপাদান রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন কে। শসার উপকারী উপাদান থাকার ফলে হৃদযন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়ামও পটাসিয়াম গ্রহণের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত শসা খাওয়া কোলেস্টেরলেরমাত্রা কমায় এবং শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তে ক্যালসিয়ামপ্রবাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
 
কিডনির সুরক্ষায়
যারা নিয়মিত শসা খায় তাদের শরীরের শসা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখে । যার ফলে কিডনি থাকে সুস্থ ও সতেজ এবং কিডনির সুরক্ষা বৃদ্ধি পায়।
 
 
শসার খোসার উপকারিতা
আপেল খোসা সহ খাওয়া যায় তেমনি শসাও খোসা সহ খাওয়া যায়। তবে অনেকেই আপেলের খোসা ফেলে দিয়ে খায় তেমনি শসার ক্ষেত্রেও খোসা ফেলে দিয়ে খায়। শসা স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য উপাদান। যা আমরা উপর থেকে জানতে পেরেছি। অনেকেই ভাবে শসার খোসার (বাকল বা চামড়া) উপকারিতা নেই এটি তাদের ভুল ধারণা। শসার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি শসার-খসার উপকারিতা রয়েছে।শসার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
 
চোখের সমস্যা দূর করে
 শসার খোসায় প্রয়োজন ভিটামিন এ রয়েছে। যা চোখের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভীষণ জরুরি। তবে শসার খোসা ফেলে দিলে ভিটামিন-এ আর অবশিষ্ট থাকে না।
 
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে
শসার খোসায় ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি ত্বকের যত্নে অনেক কার্যকারী। ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কোলাজেন উৎপাদনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। তাই শসা খোসাসহ খেলে ত্বকের বয়সের ছাপকে দূরে রাখা সম্ভব হবে।
 
মেদ কমায়
 শসার খোসায় ক্যালরির মাত্রায় কম থাকায় মেদ কমাতে সাহায্য করে। ক্যালরি কম হলেও ক্ষুধার প্রকোপ কমাতে শসা বেশ কার্যকর। তাই ক্ষুধা পেলেই নিশ্চিন্তে খেয়ে নিতে হবে ছোট একটি খোসাসহ শসা।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা কমায়– শসার খোসাতে রয়েছে অদ্রবণীয় আঁশ। অন্যদিকে শসার ভেতরের নরম অংশে থাকে দ্রবণীয় আঁশ। উভয় প্রকৃতির আঁশ মলকে নরম করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে চমৎকার কার্যকরি। শসার উপকারিতা পাওয়ার জন্য খোসা সহ খেতে হবে।পথরেখা/অআ
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।