পথরেখা অনলাইন : স্কুলগামী বা বাড়ন্ত বয়সের একটি শিশুর মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় থেকেই চেষ্টা করতে হবে তাকে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত করানোর। ছোটবেলা থেকেই শিশুকে সুষম খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত করতে পারলে তার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে।
ব্যস্ততার কারণে অনেক মা সন্তানকে প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ফ্রোজেন ফুড দিয়ে থাকেন। শিশুকে প্রক্রিয়াজাত খাবার না দিয়ে বাসায় তৈরি খাবারে অভ্যস্ত করুন। শিশুর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিন।আপনার শিশুর লাঞ্চবক্স বা টিফিনে ব্যালেন্সড ফুড রাখার চেষ্টা করুন। শিশুর দুপুরের খাবারে সবজি, খাদ্যশস্য এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখুন।শিশুর প্রধান পানীয় হিসেবে তাকে পানি খেতে উৎসাহিত করুন। সারাদিনে যেন আপনার শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করে সেটি নিশ্চিত করুন। তাকে ঘরে তৈরি ফলের শরবত দিতে পারেন। তবে বাজারের প্রক্রিয়াজাত জুস বা কোমল পানীয় পান করতে নিরুৎসাহিত করুন।
শিশুকে প্রতিদিন একটি সুষম খাবার দিতে চেষ্টা করুন। যেমন একটি প্লেটকে যদি আমরা ৪ ভাগে ভাগ করি, তার অর্ধেক ফল ও সবজি, এক-চতুর্থাংশ শস্য এবং প্রোটিন দিয়ে বাকি এক চতুর্থাংশ পূরণ করুন।শিশুকে প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রম করতে দিন। তাকে মাঠে বা পার্কে নিয়ে খেলাধুলা করতে দিন বা দৌড়াদৌড়ি করতে দিন। শারীরিক পরিশ্রম করার ফলে তার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে এবং খাওয়ার প্রতি সে আগ্রহী হবে।রান্না করার সময় আপনার সন্তানকে আপনার রান্নার কাজে সাহায্য করতে উৎসাহিত করতে পারেন। সন্তানের বয়সের উপযুক্ত যেকোনো কাজে সাহায্য করতে তাকে উৎসাহিত করুন।
অনেক মায়েরাই সন্তানের ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং তাকে ওজন কমানোর ডায়েটে অভ্যস্ত করেন। আপনার ছোট্ট সোনামণিকে ওজন কমানোর ডায়েটে অভ্যস্ত না করে তাকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে উৎসাহিত করুন।আপনার সন্তানের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন, আয়রন এবং ভিটামিন বি টুয়েলভ নিশ্চিত করুন।আপনার সন্তানকে কখনোই খাবার খেতে খুব বেশি জোরাজুরি না করে তার পছন্দ বুঝুন এবং সে অনুযায়ী তাকে খাবার দিতে চেষ্টা করুন। খাওয়ার সময়টা যেন তার কাছে আনন্দদায়ক হয় সে পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
পথরেখা/অআ