• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৯

বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ এশিয়া কাপে

  • জাতীয়       
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩       
  • ২৪
  •       
  • ১০-০৯-২০২৩, ০৯:১০:৩৮

পথরেখা অনলাইন : ৪২ বলে যখন আর ৬৮ রান দরকার, তখনও জয়ের আশা দেখছিল বাংলাদেশ। ক্রিজে ‘শেষ ভরসা’ ছিলেন তাওহীদ হৃদয়, খানিক পর তিনি বিদায় নিতেই নিভু-নিভু প্রদীপটি দপ করে অন্ধকার নিয়ে আসে। তখন কেবল তলানিতে একটুখানি তেল নিয়ে ‍যতটা সম্ভব বাকি পথ এগোনোর পালা। শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটেছে। আরও একটি ব্যাটিং বিপর্যয়ের ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে আর কোনো নাটকীয়তা মঞ্চস্থ হয়নি। শ্রীলঙ্কার দেওয়া টার্গেট থেকে ২১ রান দূরত্বে থেমেছে বাংলাদেশ। ফলে চলতি এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা হচ্ছে না সাকিব আল হাসানদের। লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে একজন ব্যাটার কম নিয়ে নেমেছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। আফিফ হোসেনকে বসিয়ে একাদশে যোগ করা হয় স্পিনার নাসুম আহমেদকে। সেই নাসুম নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু ছিলেন উইকেটশূন্য। তবে শ্রীলঙ্কার রান তাড়ায় শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নাটকীয় কিছুর ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন তিনি। তবে বাউন্ডারিজুড়ে লঙ্কান ফিল্ডারদের ফাঁকি দেওয়ার জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। শেষমেষ নাসুমের চেষ্টা থামে ‘জুনিয়র মালিঙ্গা’খ্যাত মাথিশা পাথিরানার ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে।
 
বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ২৩৬ রানে। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮২ রানের (৯৭ বল) ইনিংস খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়। তিনি ৭টি চার ও একটি ছ্ক্কা দিয়ে ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ২৯, মেহেদী মিরাজ ২৮ ও নাঈম শেখ করেছেন ২৫ রান। শেষদিকে আউট হওয়ার আগে নাসুম আহমেদ করেছেন ১৫ বলে ১৫ রান। এছাড়া হাসান মাহমুদের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। লঙ্কানদের হয়ে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন মহেশ থিকশানা, পাথিরানা ও দাসুন শানাকা। এর কিছুক্ষণ আগেও বাংলাদেশের আশার প্রদ্বীপ হয়ে এক প্রান্তে জ্বলছিলেন হৃদয়। লাল-সবুজের সেই আশার প্রদ্বীপ-টুকুও নিভিয়ে দিলেন মাহিশ থিকশানা। তার সঙ্গে শামীম পাটোয়ারীও ছিলেন কিছুক্ষণ। বড় শট খেলার সামর্থ্য আছে, যার জন্য বরাবরই তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। কিন্তু আজ প্রয়োজনীয় মুহূর্তে পারলেন না। রানের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল যখন, তখন উইকেটে এসে ১০ বলে ৫ রান করে উল্টো দলের বিপদ বাড়িয়েছেন। এর আগে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিলেন দুই ওপেনার মিরাজ ও নাঈম। বিশেষ করে মিরাজ দ্রুতই নিজেকে উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। পাওয়ার প্লের সুবিধা নিয়ে ফাঁকা জায়গা দিয়ে দারুণ কিছু শট খেলেছেন। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান তোলে বাংলাদেশ। এর পরের ওভারেও পাথিরানাকে দারুণ এক ফ্লিকে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন মিরাজ। এমন শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না তিনি।
 
১২তম ওভারের প্রথম বলটি খাটো লেন্থে করেছিলেন শানাকা। নিচু হয়ে আসা সেই বলে পুল করেই যেন ভুল করেন মিরাজ। মিডউইকেটে সফট ডিসমাল হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ২৮ রান। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরেছেন নাঈম, সাকিব ও লিটন। শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ভুগছিলেন নাঈম। পাওয়ার প্লেতে মিরাজ এক প্রান্তে রানের চাকা সচল রাখার কারণে খুব একটা চাপে ছিল না দল। তবে মিরাজ ফেরার পর সেই চাপের ভার আর বইতে পারলেন না এই ওপেনার। ১৪তম ওভারে শানাকার বাউন্সারে অযথা শট খেলতে গিয়ে ২১ রানে উইকেটটা বিলিয়ে দিলেন। সেই চাপ সামলাতে এসে বিপদ বাড়িয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ৩ রান করা সাকিবও। ২৪ বলে ১৫ রানে শেষ লিটনের ইনিংস। ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়ে সংগ্রাম করা এই ব্যাটার এদিনও ভিন্ন কিছু করতে পারলেন না। দুনিথ ভেল্লালাগের অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া বলে তিনি কিপারের তালুবন্দী হন। সতীর্থদের এমন যাওয়া আসার মিছিলে এক প্রান্তে একাই লড়ছেন হৃদয়। তবে ফিফটি পেতে তিনি খরচ করেছেন ৭৩ বল। এর আগে তার সঙ্গে মুশফিকের জুটি আশা জাগালেও বেশিক্ষণ সেটি টিকেনি। ২৯ রানে বিদায় নেন মুশি। এরপর আসা-যাওয়ার সেই মিছিল থামে ২৩৬ রানে।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।