• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৩

আগুনে জ্বলে পানিতে ভাসে মাটি

  • জাতীয়       
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩       
  • ৪২
  •       
  • ১০-০৯-২০২৩, ০৯:৩৩:০৫

পথরেখা অনলাইন : নীলফামারীর ডোমারের হরিণচড়া ইউনিয়নের রয়েছে বিশাল এক বিল। ইউনিয়নের চার গ্রামের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত বিলটির নাম কঞ্চনা বিল। তবে অবাক করা বিষয় হলো এই বিলের শুকনো মাটি আগুনে জ্বলছে আর পানিতেও ভাসছে। বিলের আশপাশের অনেক পরিবার জ্বালানি হিসেবে এবং মশা তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করছে এই মাটি। কেউ আবার এই মাটি জমির সার হিসেবেও ব্যবহার করছেন। এই মাটি নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা। স্থানীয়রা এই মাটির নাম দিয়েছেন অবাক করা মাটি। তাদের দাবি- অবহেলা আর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে এই মাটি ও এখানকার জীববৈচিত্র্য। জেলা প্রশাসক বলেছেন, এই মাটি ভিন্ন প্রকৃতির। তাই আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।
 
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি হলে ওপরে উঠে আসে পুরো এলাকা। শুষ্ক মৌসুমে নিচে দেবে যায়। মাছ চাষের জায়গা বের করতে প্রতি বছর এলাকাবাসী এই মাটি সরিয়ে নেয়। কিন্ত বষার্য় নিচ থেকে ফের ভেসে ওঠে মাটি। এই বিলের ভেতরে থাকা চোরা বালিকে স্থানীয়রা ডাকে ‍‘ভুল’। ভুলে পড়লেই বেঁচে ফেরা মুশকিল। তবে সবই এখন উজাড় হওয়ার পথে। আগামী প্রজন্ম এই বিল চোখে দেখবে কিনা এই নিয়ে সন্দিহান স্থানীয়রা। শেওটগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা হাফেজ খাইরুল আলম বলেন, আমরা বিলে ভেসে ওটা শুকনো মাটিগুলো বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গোয়ালঘরে জ্বালিয়ে রাখলে মশা থাকে না। ভাতও রান্না করা যায় মাঝে মাঝে। এখানে প্রচুর পরিমাণে খিলকদমের গাছ ছিল, বন্যপ্রাণী বাস করতো, পাখি আসতো। প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যেত। এখন আর সেই সব নেই।
 
স্থানীয় বাসিন্দা রমজান আলী বলেন, বৃষ্টি হলেই বিলের মাটি ভেসে ওঠে। পরে আবার সেই মাটি দেবে যায় ও শুকনায় আগুনে জ্বলে। আর আগে তো বিলের ভুলে পড়ে গরু-ছাগল মারা গেছে। রওশন বেগম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, চৈত্র মাসে বিলের মাটি বস্তায় করে বাড়িতে এনে রাখি। সেগুলা দিয়ে চুলা জ্বালাই, চুলা ভালো জ্বলে ওই মাটি দিয়ে। তাছাড়া গরুর ঘরে ও নিজের ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য জ্বালাই। দোলাপাড়ার বাসিন্দা জহির উদ্দীন বলেন, কঞ্চনা বিল আগে অনেক বড় ছিল। অনেক মোটা মোটা গাছ ছিল। এখানকার মাটি বাড়ি নিয়ে জ্বালাই। এতে মশা আর থাকে না। আর যখন বিলে পানি বাড়ে তখন মাটি ওপরে ভাসে। এটা তো আমাদের আমলেও দেখছি। এদিকে সরকারি ভূমি রেকর্ডেও দেখা যাচ্ছে এই বিলের উজাড় হওয়ার প্রমাণ। শত শত একর জমি সংকোচনের পরও ১৯৯০ সালের আগ পর্যন্ত ৮৪ বিঘা জলাভূমি ছিল। ১৯৯০ সালে উঁচু জমি স্থানীয়দের লিজ দেওয়ার পর এর আয়তন দাঁড়িয়েছে ৬৯ বিঘায়। এছাড়াও লিজ নেওয়া অংশে মাটি ফেলে কৃষি জমিতে রূপান্তর করে এই মাটির বৈশিষ্ট্যকে নষ্ট করা হচ্ছে।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।