মোঘল সেনাপতি মানসিংহ সেই দিল্লী থেকে বাংলার সোনারগাঁও এসে দ্বৈত যুদ্ধে ইশা খাঁর সাথে হেরে লজ্জা ঢাকতে বন্ধু বানিয়ে সাথে নিয়ে সম্রাট আকবরের দরবারে হাজির করেন। আধুনিক অস্রে বলীয়ান পাকিস্তান মুক্তিবাহিনীর কাছে ছেড়ে দে বাবা কেঁদে বাঁচি অবস্থাতে স্বাধীন বাংলাদেশ স্বীকার করে জান বাচাল, ঐতিহ্য আর ঐতিহ্য আমাদের। ক্রিকেট সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে ব্যর্থ। আমরা উন্মাদের মতন ক্রিকেটের সমর্থন করি। তবে ক্লিক করতে বারংবার ব্যর্থ আর সুপার ফোরে শ্রীলংকার সাথে ২১ রানে হেরে এশিয়া কাপ থেকেই বিদায়। সুযোগ স্রেফ কাগুজে হিসেবে সমীকরণে। আমরাও— ‘বিদায় হে মোর বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সাড়ি/আমার নিশীথ জাগার সাথি।’
এশিয়া কাপে হারা, তারপর? তার আর পর নেই বলতে হবেনা, চাইব ক্রিকেট কর্তাদের পরাজয়ের দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগের। তবে দুঃখজনক হলো আমরা যারাই চেয়ারে বসি কর্তৃপক্ষ তাদের ফ্রিতে সুপার গ্লু সাপ্লাই করেন ফলে চেয়ারে এমনিভাবে আটকে থাকেন যে উঠায় কার সাধ্য। পাপন সাহেব তার দলবল নিয়ে পদত্যাগের এটাই সব থেকে মোক্ষম সময়, কারও সম্মান হানি হবেনা তবে আগামির জন্য এক ‘প্রিসিডেন্স’রেখে যাবেন ।
প্রধানমন্ত্রী, খেলা প্রিয়, খেলা তার আগ্রহ এ পরাজয় তার কাছে এক বড় আঘাত। শুধু ক্রিকেট নয় সমগ্র ক্রীড়াঙ্গন থেকে ঝাড় দিয়ে অপ্রয়োজনীয়দের বিদায় করার এটাই সময়।
‘আজি এসেছি এসেছি বধু হে/আজি আমার যা কিছু আছে/এনেছি তোমার তরে, তোমারে করিতে সব দান।’
এ লাইনগুলো হলে বলে শ্রীলংকাকে সব এমনকি জয় টাও দান করে চলে আসলাম। মারহাবা, পাপন সাহেব, মারহাবা।
লেখক : সাবেক অধিনায়ক জাতীয় ও সেনা বাহিনী হকি দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত
পথরেখা/আসো