• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৭

শিশুদের ডেঙ্গু নিয়ে যেসব তথ্য জানা দরকার

পথরেখা অনলাইন : আমাদের দেশে প্রতিবছরের মতো এবারও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক সবাই সমানভাবে অসুস্থ হচ্ছেন, ঘটছে প্রাণহানি। আসুন বাচ্চাদের ডেঙ্গু নিয়ে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক।
 
 কোন বয়সের বাচ্চাদের ডেঙ্গু হতে পারে
যে কোনো বয়সের বাচ্চার ডেঙ্গু হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে ১ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের ডেঙ্গু ইনফেকশনে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।
 
বাচ্চাদের ডেঙ্গু বড়দের মতোই উপসর্গ নিয়ে আসে
হ্যাঁ, একটু বড় বাচ্চাদের প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই উপসর্গ হতে পারে। যেমন-জ্বর, মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, হাড়ে ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, র‌্যাশ ইত্যাদি। তবে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর উপসর্গ হতে পারে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের মতো (কাশি, সর্দি, জ্বর ইত্যাদি)। এ ছাড়া ছোট বাচ্চারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে ডায়রিয়া, বমি নিয়েও আসতে পারে।
 
ডেঙ্গু আক্রান্ত বাচ্চার জ্বর সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য
জ্বর হঠাৎ করে আসতে পারে। জ্বর থার্মোমিটারে মাপলে ১০৪-৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ১-৭ দিন থাকতে পারে। ডেঙ্গু রোগী জ্বরের ৩-৪ দিনে হঠাৎ করে খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই এ সময় খুব সাবধানে বাচ্চাকে পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। কোনো বিপদ বা লক্ষণ দেখা যায় কিনা।
 
 ডেঙ্গু আক্রান্ত বাচ্চার বিপদের লক্ষণ কী কী হতে পারে
পেটে ব্যথা অথবা পেটে চাপ দিলে ব্যথা অনুভব করা, অবিরাম বমি, শরীরে পানি জমে ফুলে ওঠা, দুর্বলতা কিংবা অস্থিরতা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা বা ঘুম ঘুম ভাব, ৬ ঘণ্টার মধ্যে একবারও প্রস্রাব না হওয়া- এসব কিছু হলো ডেঙ্গুর সতর্কবার্তা।
 
আপনার বাচ্চা ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা কীভাবে বুঝবেন
আপনার বাচ্চা যদি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি এমন এলাকায় বাস করে অথবা বেড়াতে যাওয়ার ইতিহাস থাকে সঙ্গে জ্বর এবং বমি বমি ভাব, বমি, র‌্যাশ, শরীরে ব্যথা-এসবের যে কোনো দুটি উপসর্গ পাওয়া যায়, তাহলে ধরে নিতে হবে ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
কখন নিবিড় পর্যবেক্ষণ বা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হতে পারে
সাধারণত ডেঙ্গু রোগীদের তেমন কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ও বেশি বেশি তরল খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগী আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যায়। তবে বিপদের লক্ষণ দেখা দিলে আর বাসায় অপেক্ষা করা যাবে না। জরুরি ভিত্তিতে কাছের হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
 
ডেঙ্গু আক্রান্ত বাচ্চার কি রক্তপাত হতে পারে?
হ্যাঁ হতে পারে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চামড়ায় লাল লাল দাগ হয় কিনা, নাক বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়া কিংবা রক্ত বমি করে কিনা, পায়খানা হয় কিনা, মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত যায় কিনা খেয়াল রাখতে হবে। এরকম রক্তপাত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
 
ডেঙ্গু আক্রান্ত বাচ্চার ক্ষেত্রে কী কী করা যাবে না
বাচ্চাকে প্যারাসিটামল ছাড়া আর কোনো ওষুধ দেওয়া যাবে না। ফার্মেসি থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো রকম অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। হাসপাতালে ভর্তি ছাড়া কোনো রকম স্যালাইন জাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে না।
 
কীভাবে ডেঙ্গু হতে মুক্ত থাকা যেতে পারে
আপনার বাসার আশপাশ পরিষ্কার রাখুন। কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না। বাসার জানালায় নেট লাগান। মশারি ছাড়া ঘুমাবেন না। বাচ্চাকে সুতির ফুলহাতা আরামদায়ক কাপড় পরাতে পারেন। মশা প্রতিরোধ ক্রিম মাখাতে পারেন।
পথরেখা/অআ
 
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।