এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান কখনই মুখামুখি হয় নাই। এবারও হলো না। পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে এবার ফাইনালে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের ৭ উইকেটে ২৫২ রানের সংগ্রহ শ্রীলংকা শেষ বলে জিতে নেয়। ওডিআই ক্রিকেট বাজারে এ খেলাটি আদর্শ বিজ্ঞাপন হতেই পারে। এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তান দল ছিল ভীষন অগুছালো। পরিবর্তন করে করে সুষ্ঠ এগারোজন একাট্টা করতেই পারে নাই।
পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি পুরো এশিয়া কাপে ব্যর্থ। গত ‘ডু অর জাই’ ম্যাচেও একই অবস্থা। ফাকার জামান ব্যর্থ এবং ওডিআই রেটিং এর এক নম্বর বাবর আযম পুরো এশিয়া কাপে নিজের সুনাম বজায় রাখতে পারে নাই, এত বড় খেলাতে ২৯ রান করে ফেরত প্যাভিলিয়নে। ০৫ ই অক্টোবর থেকে ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ভুল শুধরাতে না পারলে বাক্স পেটরা বাইন্ধা রেডি থাকতে হবে দেশে ফেরত যাবার জন্য।
পাকিস্তান ছিল অন্যতম ফেবারিট। ভারতের বিপক্ষে ২২৮ রানে হারার পর শ্রীলংকার সাথে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দুই উইকেটে হেরে এখন রেডিও হতে হবে ৫ অক্টোবর থেকে হওয়া বিশ্ব কাপ ক্রিকেটের জন্য। বৃষ্টির জন্য প্রথমে কমিয়ে ৪৫ ওভার, আবার বৃষ্টি নামলে ৪২ ওভারে ম্যাচ নির্দ্ধারিত হয়। পাকিস্তানের রিজওয়ান (৮৬ নটআউট) ইফতেখার (৪৭) ১০৮ রানের জুটি করে ভদ্রস্থ রানের পূজি করতে সাহায্য করে। কুশাল মেন্ডিস (৯১) আসালান্কা ৪৯* সাগিরা সামারাহিচক্র (৪৮) রানের সহায়তায় শেষ বলে জয় করায়ত্ত করে। রবিবার ভারত প্রস্তুত শ্রীলংকার জন্য। এটা শ্রীলংকার ১১তম বার ফাইনালে ওঠা।
১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ভারতের সাথে খেলবে। সাকিব প্রধান মন্ত্রীর সাথে জরুরীকথা বলতে সংসদে। ২/৩ দিন দেরি করে দেখা করলে হতো না। কি যে হয়, বার বারইত ‘মোর না মিটিতে আশা ভাংগিল খেলা।’ খেলা শ্রীলংকার আর সাকিব মুশফিকরা ঢাকায়। ‘না মিটিতে আশা করাইয়াই ছাড়বো।
লেখক : সাবেক জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল অধিনায়ক এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত
পথরেখা/আসো