এবারের এশিয়া কাপ ভারতের তাবেদারিতে এক জগা খিচুরি অবস্থাতে শেষ হলো। মাত্র ১২ রানে ছয় উইকেট হারায় শ্রীলংকা। খেলাতে টিভির সামনে চা-বিস্কিট, বাদাম জিলেপি নিয়ে বসে ভাল মন্দ দেখে উত্তেজনা তার কিছুই ছিলনা। সিরাজ ছিল এক মূর্তমান আতংক। আইসিসি দেশগুলির পূর্ন সদস্য দেশের এটাই সব প্থেকে বিশ্রী শুরু ।সিরাজ ১৬৭ ওভারে তার ৫০ উইকেট পূর্ণ করে। শ্রীলংকার অজন্তা মেন্ডিস ১৪১.১ ওভারে পঞ্চাশ উইকেট নিয়ে সিরাজের থেকে দ্রুত পন্চাশ উইকেট নিয়েছিল। প্রথম দশ ওভারে মানে পাওয়ার প্লেতেই ৬ উইকেট এই প্রথম কোন দেশ তুলে নিল। ভারত ‘স্যালুট’ পেতেই পারে। ৫০ রানে অল আউট এই লেভেলের ক্রিকেটে শ্রীলংকার সব থেকে নিম্ন রান।
ভারতের পেসার রা সব উইকেট নেয়। ভারত এখন থেকে স্পিন থেকে পেসার ব্যবহার করতেই পারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সিরাজই প্রথম যিনি এক ওভারে চার উইকেট নিলেন, শ্রীলংকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওভারে তিনি এ কীর্তি গড়েন। পাঁচ উইকেট নিতে সিরাজ মাত্র ১৬ টি বল খরচ করেন। এশিয়া কাপে ভারতই এক মাত্র দল যারা দুটি ফাইনাল দশ উইকেটে জিতে নেয়। এর আগে শারজায় ১৯৯৮ সনে জিম্বাবোয়েকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতেছিল। বলের ব্যবধানে ভারতের সব থেকে বড় জয় হয়েছে এই এশিয়া কাপ ফাইনাল। ২৬৩ বল হাতে রেখে ভারত জয় লাভ করে। সব থেকে কম বলের একদিনের ম্যাচ। মাত্র ১২৯ বলে খেলা শেষ। সিরাজ খুব কষ্টকর পরিবেশ থেকে উঠে এসেছে। সিরিজের শ্রেষ্ঠ হয়ে চারলাখ টাকা সিরাজ গ্রাউন্ডম্যান দের হাতে তুলে দেন। সামনে এগিয়ে যাবার দোয়া সিরাজ পেয়ে গেলেন। অক্টোবর থেকে বিশ্ব কাপ ক্রিকেট। আমার পছন্দের দল পাকিস্তান, এখন তক টডলারদের মতন দুলে দুলে কোন মতন টিকে না থেকে দ্যাখল্যাংগা বইল্যা একটা ঝাড়া মারেন না বাবর সাহেব।
শুরু থেকে খাপ ছাড়া এ বিশ্ব কাপ, সময় সঠিক নির্বাচনে ভূল ফলে বৃষ্টি নিত্য সাথি। জয় শাহর অহম বেধে ভ্যানু পাকিস্তানে বা আমিরশাহীতে সরিয়ে নিতে অনিহা ফলে দর্শক সমর্থকরা এশিয়া কাপের উত্তেজনা থেকে বঞ্চিত হয়।ফলাফল নিয়ে দেখা যায়নাই উৎসাহ বা হতাশা। ভারতের তত্বাবধানে এক অখাদ্য এশিয়া কাপ শেষ হয়েছে। বিশ্বকাপও ভারত সামলাবে। বলতে যাতে না হয়— ‘আজি এ কোন খেলায় করলে নিমন্ত্রণ।’
লেখক : সাবেক অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত
পথরেখা/আসো