• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৬
মেজর চাকলাদার অব.

বাংলাদেশী ক্রিকেটার যা বললেন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত স্টাটাস দেওয়ার ব্যাপারে নিজের ভুল বুঝে ক্ষমা চেয়েছেন জাতীয় দলের পেসার তানজিম হাসান। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস সংবাদ মাধ্যমকে জানান। চারিদিকে এত সমালোচনা এবম ভবিষ্যত নিয়ে দুঃশ্চিন্তা থেকেই তিনি ক্ষমা চাইলেন। বলা যায় ‘ফান্দে পরিয়া বগা কান্দেরে।’
 
যা বলার কোন দরকার নেই বা তিনি এ সব বলার মতন লেভেলে পৌছতে এখনও বহু দূর হাঁটতে হবে, তা বুঝেছেন। যা বলে হিট উইকেট হলেন তা আর করবেন না বলেই মনে হয়। আকেল মনদ কে লিয়ে, ইশারায় ই কাফি।
 
ক্রিকেট খেলোয়াড়রা তাদেরকে অন্যসব খেলা থেকেই উচ্চবর্নের ভাবতেই পারেন। যে দেশে টাকার মান দন্ডে মানুষের শ্রেনী নিরূপন হয় সেখানে ক্রিকেট খেলোয়াড় রা লুজ টক করতেই পারে। তানজিম হাসান সাকিব, বাংলাদেশী বোলার তার ওভারের চতুর্থ বলে ভারতীয় অধিনায়ক রহিত শর্মাকে আউট করে নিজেকে আলোচনার মধ্যমনিতে পরিণত করেন। শুক্রবারে প্রতিবেশী দেশের সাথে খেলার সময় এ অর্জন শুধু নয় মাথা ঠান্ডা রেখে শেষ ওভার বল করে বাংলাদেশকে বিশ্ব ইতিহাসের ক্রিকেট-হারকিউলিস ভারত-বধ করেন। প্রশংসা তানজিম হাসান সাকিবের জন্য। প্রশংসা সময় সময় অনেকের জন্য বোঝা হয়ে যায়। এক বাচ্চাকে সবাই প্রশংসা করছিল, শ্যাষে বাচ্চাটা বলল, ‘তাও ত আজ তেল মাখিনি।’
 
আমাদের গ্রেট বোলার তানজিম সাহেব মহিলা নিয়ে মন্তব্য করলেন। যদি স্ত্রী কাজ করে তবে স্বামী তার অধিকার হারায়, যদি স্ত্রী কাজ করে তবে সন্তানরা তাদের পাওনা থেকে বন্চিত হয়, যদি স্ত্রী কাজ করে তবে তার চেহারার মাধুর্য নষ্ট হয়। এতে না থেমে আরো বাতচিত করলেন, স্ত্রী কাজ করলে পরিবার বরবাদ হয়, স্ত্রী কাজ করলে পর্যাপ্ত অবগুন্ঠণ থাকবেনা, স্ত্রী কাজ করলে সমাজ ধ্বংস হবে।
 
তানজিম সাহেব যে পোষাক পরে খেলেন; তা তৈরি করে গার্মেন্টস শ্রমিকরা যার নব্বই ভাগ মহিলা। বৈদেশিক মুদ্রার বেশিটাই আসে এই মহিলাদের তৈরি গার্মেন্টস রপ্তানি করে। ক্রিকেট খেলেন ভাল কথা, এই খেলার সুবাদে প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও যখন তখন দেখা করতে পারেন। এখন এ সব চটুল কথার কি দরকার? খবরে আসার অনেক উপায় আছে।
“হয়েন এ ডগ বাইটস এ ম্যান, দ্যাটস নট এ নিউজ।
হয়েন এ ম্যান বাইটস এ ডগ, দ্যাটস এ নিউজ।”
 
‘বিশ্বের যত মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর 
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর “
পৃথিবীতে এগিয়ে যেতে হলে নর-নারীর পাশা পাশি চলা জরুরী। দেখেন না আমাদের তিন নেত্রী; শেখ হাসিনা-বেগম খালেদা জিয়া-রওশান এরশাদ। মহিলা এড়ায়ে চলতে পারবেন না ভাই।
 
লেখক : সাবেক অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।