• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১০:৫৬
কায়সার সিনহা সংগঠক সম্মাননা পদক পেলেন

কে জেড ইসলাম হারুনুর রশীদ ও নাসরিন আক্তার

পথরেখা অনলাইন : বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে ‘কায়সার সিনহা সংগঠক সম্মাননা’পদক  দেয়া হয়েছে। বিএসপিএ সভাপতি সনৎ বাবলার সভাপতিত্বে প্রথমবারের মতো আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান, এমপি। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন আফজালুর রহমান সিনহার (কায়সার সিনহা) বড় ভাই ও একমি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান সিনহা, কায়সার সিনহার স্ত্রী নাগিনা আফজাল সিনহা, ছেলে ও বিসিবি পরিচালক ফাহিম সিনহা, বিসিবির পরিচালক মাহবুবুল আনাম, পরিচালক জালাল ইউনুস, সাবেক অধিনায়ক ও পরিচালক আকরাম খান, বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীসহ ক্রীড়াঙ্গনের অনেক ব্যক্তিবর্গ।
 
স্বাধীন জুরিবোর্ডের দৃষ্টিতে সেরা সংগঠকের পুরস্কার পেয়েছেন আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন দেশের ক্রিকেটের ভীত গড়ে দেওয়ার অন্যতম কারিগর ও বিসিবির প্রয়াত সাবেক সভাপতি কামাল জিয়াউল ইসলাম (কে জেড ইসলাম)। এছাড়া তৃণমুলের সেরা সংগঠকের পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবল রেফারি ও বিভিন্ন খেলার সংগঠক নাসরিন আক্তার (বেবি)। সম্মাননা ক্রেস্টের পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়।
 
বিসিবির সাবেক প্রয়াত পরিচালক আফজালুর রহমান সিনহা স্মরণে এই অনুষ্ঠানে ‘বর্ণিল স্মৃতি অমলিন কীর্তি’ নামে স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে একই মঞ্চে। এই গ্রন্থে কায়সার সিনহাকে নিয়ে লিখেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাজমুল হাসান বলেন,‘আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম। নানা কাজে অনেক ব্যস্ত থাকলেও কায়সার ভাইয়ের অনুষ্ঠানে  না এসে পারলাম না। আমি একবার বিদেশে গিয়েছিলাম। তখন আমার অনুপস্থিতিতে কে সিদ্ধান্ত নিবে, এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। আমি সবাইকে বলে দিয়েছিলাম, কায়সার ভাই যা বলবেন সেটাই আমার সিদ্ধান্ত। এতটাই তিনি আস্থাভাজন ছিলেন। এমন একটা আয়োজনের জন্য কায়সার ভাইয়ের পরিবার ও বিএসপিএকে  ধন্যবাদ।’
 
কায়সার সিনহার বড় ভাই মিজানুর রহমান সিনহা তাঁর বক্তব্যে বলেন,‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর কাছে আটক হয়েছিল কায়সার। আমার বাবা নির্দেশ দেন তাঁকে ছাড়িয়ে আনার। কিন্তু কাজটা সহজ ছিল না। আমি যশোর ক্যান্টনমেন্টে যাই। পাক বাহিনী তাঁকে না ছাড়লেও প্রতিশ্রুতি দেয় হত্যা না করার। শেষ পর্যন্ত তাঁকে আমরা জীবিত ফিরে পাই কলকাতা থেকে। পরবর্তীতে সে নানা ক্ষেত্রে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।’
 
আফজালুর রহমান সিনহার ছেলে বিসিবির পরিচালক ফাহিম সিনহা বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন আমার শিক্ষক। তিনি ছিলেন ক্রীড়াঙ্গনের নিবেদিত একজন মানুষ। তার কোনও শত্রু ছিল না। আমরাও তারঁ মতো করে ক্রীড়াঙ্গনে থাকতে চাই। আমার বাবার স্মরণে এরকম আয়োজনের জন্য বিএসপিএ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।