• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২২

ইসরায়েলে হামলায় অংশ নেয় হামাসের এক হাজার সদস্য

  • আন্তর্জাতিক       
  • ০৯ অক্টোবর, ২০২৩       
  • ১০৬
  •       
  • ১০-১০-২০২৩, ০১:২৩:১৪

পথরেখা অনলাইন : ইসরায়েলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে স্বাধীনতাকামী হামাস। গত শনিবার নজিরবিহীন এই হামলায় অংশ নেয় হামাসের এক হাজার যোদ্ধা নিয়ে গঠিত এক বিশেষ বাহিনী। জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে দুই পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরু হয়। হামাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, এমন একটি সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফসল গত শনিবারের ওই হামলা। এ জন্য বিশেষ ওই বাহিনীর যোদ্ধাদের দীর্ঘ সময় ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
 
হামাস নিজেও বিশেষ এই ইউনিটের অভিযান ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কিছু ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে। হামাসের সামরিক শাখা এজ-আল-দ্বীন আল-কাশেম ব্রিগেডসও কিছু ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে। কিছু ভিডিও পাওয়া গেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে। গত শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে রকেট ছুড়তে শুরু করে হামাস। হামাস প্রথমে জানায়, শনিবারের এই ‘অভিযান’-এ তিন হাজার রকেট ছুড়েছে তারা। তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, সেদিন হামাস আড়াই হাজার রকেট ছুড়েছিল। হামাসের এভাবে রকেট ছোড়ার মূল লক্ষ্য ছিল, ইসরায়েলকে অপ্রস্তুত ও বিভ্রান্ত করা। যাতে সেই সুযোগ নিয়ে হামাসের যোদ্ধারা সুরক্ষিত সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে অভিযান চালাতে পারেন।
 
আকাশপথে বিমান হামলা চালানোর মতো সক্ষমতা নেই হামাসের। তাই এ অভিযানের জন্য একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করে। প্যারাগ্লাইডার দিয়ে এই ইউনিটের যোদ্ধারা প্রথমে সীমান্ত পার হন। পদাতিক যোদ্ধাদের মূল অভিযান চালানোর পথ সুগম করে দেওয়ার কাজটি করেন তাঁরা। ইউনিটটির নাম দেওয়া হয়েছে এয়ারফোর্স ফ্যালকন স্কোয়াড্রন। হামাসের প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযানের জন্য এই ইউনিটের যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কিছু প্যারাগ্লাইডারে একজন করে আবার কোনোটিতে দুজন করে যোদ্ধা আছেন। সশস্ত্র অবস্থায় তাঁদের ভূমিতে নামতে দেখা যায়। মুঠোফোনে ধারণ করা হামলার কিছু ভিডিও চিত্র পাওয়া গেছে। তাতে দেখা যায়, হামাসের এই ইউনিটের যোদ্ধারা ইসরায়েলে উন্মুক্ত স্থানে একটি উৎসবে অংশ নেওয়া শত শত মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। কিছু ভিডিওতে প্যারাগ্লাইডারে করে উড়তে থাকা অবস্থায় দেখা যায় তাঁদের।
 
এই ইউনিটে ছিলেন হামাসের সবচেয়ে চৌকস ৪০০ যোদ্ধা, যাঁরা এলিট বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সুরক্ষিত সীমান্ত বেড়া ভেঙে এই ইউনিটের সদস্যরাই প্রথম ইসরায়েলে ঢোকেন। প্রথমে মোটরসাইকেলে করে তাঁদের অনেকে সীমান্ত পার হন। এরপরে বুলডোজার ব্যবহার করে বড় করা হয় বেড়ার ভাঙা অংশটি। এতে চার চাকার গাড়ি নিয়ে পার হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সীমান্ত পার হয়ে প্রথমেই ইসরায়েলের প্রথম প্রতিরক্ষাবলয়ে হামলা চালান এই কমান্ডোরা। তাঁরা সেনাছাউনিতে ইসরায়েলের ঘুমন্ত সেনাদের ওপর হামলা চালান। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় সদর দপ্তর ও সামরিক ঘাঁটিগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন।
 
হামাস এ হামলার কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, হামাস যোদ্ধারা নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হচ্ছেন। তখন চারপাশে কেবল আলো ফুটছে। সূর্যের আলোও ততটা স্পষ্ট নয়। এসব ভিডিও দেখে ধারণা করা যায়, ভোরবেলা মুহুর্মুহু রকেট হামলার সময়ই এসব যোদ্ধা ইসরায়েলে ঢোকেন। ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে শনিবার নিহত হন ফিলিস্তিনি তরুণ আহমদ আওয়াদা। তাঁর জানাজার সময় সতর্ক পাহারায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। গতকাল রোববার পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে শনিবার নিহত হন ফিলিস্তিনি তরুণ আহমদ আওয়াদা। তাঁর জানাজার সময় সতর্ক পাহারায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।
 
সীমান্তে নজরদারির জন্য এই অভিযানে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে। হামাসের প্রকাশ করা এক ভিডিওতে একটি ড্রোন দেখা যায়, যার নাম জওয়ারি। হামাস বলছে, যোদ্ধাদের সীমান্ত পার হওয়ার পথ তৈরি করে দিতে ব্যবহার করা হয় এসব ড্রোন। এসব ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তে নজরদারি চালিয়ে পরে সুবিধামতো সময়ে যোদ্ধাদের পাঠানো হয়।
 
ইসরায়েলের সেনাদের ওপর নজরদারির দায়িত্বে ছিল হামাসের গোয়েন্দা ইউনিট। ইসরায়েলি সেনাদের অবস্থান, গতিপথ ও চলাফেরার বিষয়টি নজরদারি করতেন এই ইউনিটের সদস্যরা। এ ছাড়া তাঁরা ইসরায়েলের সেনা সদর দপ্তরের তৎপরতা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতেন। গুপ্তচরবৃত্তি মূল কাজ হওয়ায় এই গোয়েন্দার ইউনিট সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে রাজি হয়নি ওই সূত্র।
পথরেখা/আসো
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।