পথরেখা অনলাইন : জেলায় বিগত পনের বছরে সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার শিক্ষা অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে ২২০টি নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও মেরামত কাজ সম্পন্ন করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। বছরে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী আধুনিক নতুন এসব অবকাঠামোর সুবিধা পাচ্ছেন, শিক্ষা-বান্ধব পরিবেশে পাঠ গ্রহণের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চারতলা বিশিষ্ট ২২০টি একাডেমিক ভবনের মধ্যে স্কুল ১২০টি, কলেজ ২৫টি, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ৩৫টি এবং মাদ্রাসাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ৪০টি। এ ছাড়া ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দুইটি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এর নির্মাণ কাজও চলছে। পাশাপাশি শত কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা সদরে একটি পূর্ণাঙ্গ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট নির্মাণ প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শুরু করা হবে।
চারতলা বিশিষ্ট নতুন ভবনগুলোতে ১২টি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। ছেলে ও মেয়েদের জন্যে পৃথকভাবে ওয়াশব্লকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী-বান্ধব এসব ভবনে র্যাম্প এর ব্যবস্থা থাকায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা অনায়াসে ভবনের যাতায়াত করতে পারছেন। শুধু ভবন নির্মাণ আর মেরামতই নয় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে আসবাবপত্রও সরবরাহ করা হয়েছে। শহীদ নজমুল হক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আইয়ুব হোসেন বলেন, হুইল চেয়ার নিয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা কলেজের র্যাম্প ব্যবহার করে কারো সহযোগিতা ছাড়াই অনায়াসে শ্রেণীকক্ষে চলে যেতে পারছে। নাটোর মহারাজা জগদিন্দ্র নাথ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর আইসিটি প্রভাষক মাসুদ রানা জানান, সকল শ্রেণীকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের সুবিধা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। একই প্রতিষ্ঠানের জীব বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মাসুমা সুলতানা বলেন, নতুন একাডেমিক ভবনে সুরম্য মিলনায়তনে বিভিন্ন জাতীয় দিবস সুপরিসর ও আনন্দমুখর পরিবেশে আয়োজন করা যাচ্ছে।
নাটোর মহারাজা জগদিন্দ্র নাথ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের কলেজ ইউনিটে নব নির্মিত চারতলা ভবন শিক্ষার পরিবেশকে উচ্চ শিখরে নিয়ে গেছে। এজন্যে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন শিক্ষা-বান্ধব বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জেলার প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বিগত দেড় দশকে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে ব্যাপকভাবে। আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা এসব একাডেমিক ভবনে রয়েছে। নবনির্মিত এসব একাডেমিক ভবনে একটি শ্রেণীকক্ষে ৫০ জন হিসেবে প্রতিবছর এক লক্ষ শিক্ষার্থী মনোরম পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছেন।
পথরেখা/আসো