• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৫

লিওনেল মেসির সাফল্যের আবেটি পালক

  • ক্রীড়া -ফুটবল       
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২৩       
  • ১৭৬
  •       
  • ৩১-১০-২০২৩, ১৯:২২:৪৭

পথরেখা অনলাইন : বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ডামাডোলের মধ্যেই বিশ্ব ভ্রমান্ডের ২০২৩ সালের সেরা ফুটবলারের নাম ঘোষনা করা হয়। অনেকটা অনুমিতই ছিল লিওনেল মেসি বসতে যাচ্ছেন সেই আসনে। আর এমন দিনে এই সুপারস্টার সেরার মর্যাদা পেলেন, যেদিন জন্মেছিলেন সর্বকালের সেরা ফুটবলার ডিয়াগো ম্যারাডোনা। সেই ৩০ অক্টোবরই সাফল্যের অষ্টামার্য্যতে প্রবেশ করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলেন দুজন, যেখানে শেষ পর্যন্ত আর্লিং হালান্ডকে পেছনে ফেলে ব্যালন ডি আর জিতলেন লিও। আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে বর্ষসেরার পুরস্কারটি আরও একবার জিতে নিলেন ফুটবলের এই মহাতারকা। এবার জয়ের ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে তার প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন বলতে গেলে শুধু ম্যানচেষ্টার সিটির হালান্ড। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবল জয়ে বড় অবদান ছিল হালান্ডের। লিগে ৩৭ ম্যাচে জালের দেখা পান ৩৬ বার। ভেঙে দেন ৩৮ ম্যাচের লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে ১১ ম্যাচে গোল করেন ১২টি। তাকে ছাপিয়ে আরেকবার ব্যালন ডি অর হাতে তুললেন মেসি। জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে গত মৌসুমটা সাফল্যমনিমব ছিল মেসির।  
 
যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অধ্যায় অবশ্যই কাতার বিশ্বকাপ জয়। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনাকে ফের বিশ্বকাপ জেতানোর ক্ষেত্রে আসর জুড়ে দুর্দান্ত খেলেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে জোড়া গোলসহ আসরে মোট ৭ গোল করেন মেসি। জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব ‘গোল্ডেন বল।’ গত মার্চে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। পিএসজির জার্সিতে নিজের সেরা ছন্দে না থাকলেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো লিগ ওয়ানের শিরোপা জেতেন মেসি। প্যারিসের দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকে। ইউরোপ সেরার মঞ্চে মেসি ৭ ম্যাচে চারটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করান চারটি। পিএসজি ছেড়ে এই মৌসুমে তিনি যোগ দেন মেজর সকার লিগের দল ইন্টার মায়ামিতে। সেখানেও আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। দিচ্ছেন নিজের সেরাটা। অনেকটা স্বাধীনভাবে খেলতে পারবেন বলেই সকার লিগে যোগদান করেছিলেন।
 
এবারের ব্যালন ডি অর জেতার অনেক আগেই লিওনেল মেসির নাম ফাস হয়ে যায়। এর আগে সপ্তম বার জেতার সময়ও এমনটি হয়েছিল। তাইতো এবারের অষ্টম ব্যালন ডি’অর ম্যারাডোনাকে উৎসর্গ করলেন। লিওনেল মেসির জীবনে এমন পুরস্কার পাওয়ার মুহূর্ত এসেছে বারবার। বিশেষ করে ব্যালন ডি’অর জেতা তো একরকম নিয়ম বানিয়ে ফেলেছেন। সোমবার মধ্যরাতে জিতলেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ব্যালন ডি’অর। পুরস্কারটি এমন এক দিনে পেয়েছেন, যে দিনটা এমনিতেও স্মরণীয়। ১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে না ফেরার দেশে ম্যারাডোনার চলে যাওয়া পেরোতে চলল তিন বছর। তবে ‘কীর্তিমানের মৃত্যু নেই’ বলেও একটা প্রবাদ যে আছে। তাঁর নেতৃত্বেই আর্জেন্টিনা জিতেছিল ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ। ম্যারাডোনার ৬৩তম জন্মবার্ষিকীর দিনেই অষ্টমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মেসি, যেখানে ৩৬ বছর পর ২০২২ বিশ্বকাপে মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপখরা ঘুচেছে।
 
কাতার বিশ্বকাপে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার স্মরণ করেছেন ম্যারাডোনাকে। অষ্টম ব্যালন ডি’অর পুরস্কার মেসি উৎসর্গ করেছেন ম্যারাডোনাকে। ব্যালন ডি’অর জয়ের পর মেসি বলেন, ‘আজ আমি ডিয়েগোর ম্যারাডোনার নাম উল্লেখ করতে চাই। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর মতো এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর হয় না। ফুটবল-পাগল অনেক মানুষ তাঁকে ভালোবাসে, এমনটা তিনি চেয়েছিলেন। ডিয়েগো আপনি যেখানেই থাকুন, শুভ জন্মদিন। এই পুরস্কার আপনার জন্য।’ ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে একের পর এক পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন মেসি। লুসাইলে গত ফাইনালেও ফ্রান্সের বিপক্ষে করেছিলেন জোড়া গোল। জিতেছেন ২০২২ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বলের পুরস্কার। তাতে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে দুই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বলের পুরস্কার জিতলেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে এক বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল, ফাইনালে গোল করার রেকর্ড গড়লেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সেখানে তিনি নিজেকে অনন্য এক অবস্থানে নিয়ে গেছেন।
 
এরপর বিবিসির ২০২২-এর বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, ২০২৩-এর লরিয়াসের বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, ফিফা দ্য বেস্ট জিতেছেন। আর গত রাতে সর্বশেষ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ব্যালন ডি’অর। এখন মেসি মানেই পুরস্কার। পুরস্কারও যেন মেসিকেই খুঁজে নেয় বারবার। আন্তর্জাতিক ফুটবল, ক্লাব ফুটবল, আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার জিতে চলেছেন একের পর এক শিরোপা। পাশাপাশি ব্যক্তিগত পুরস্কারও পাচ্ছেন তিনি। রেকর্ড অষ্টমবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন মেসি। আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলারের কাছে এত পুরস্কার জয় একটু অকল্পনীয় মনে হচ্ছে। মেসি প্রথমে তার শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন একের পর এক শিরোপা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো জিতেছেন ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ থেকে ২০১২ টানা তিনবার, ২০১৫, ২০১৯ ব্যালন ডি’অর জিতেছেন তিনি। ক্লাব ক্যারিয়ারে অসংখ্য শিরোপা জেতা মেসি আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম শিরোপা জেতেন ২০২১ কোপা আমেরিকা জিতে। ২০২১ সালেই জিতেছেন ক্যারিয়ারে সপ্তমবারের মতো ব্যালন ডি’অর।
 
যারা জিতলেন ২০২৩ ব্যালন ডি’অর পুরস্কার
ছেলেদের ব্যালন ডি’অর: লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
মেয়েদের ব্যালন ডি’অর: আইতানা বোনমাতি (স্পেন)
কোপা ট্রফি (কনিষ্ঠতম ফুটবলার): জুড বেলিংহাম (ইংল্যান্ড)
সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ড: ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (ব্রাজিল)
সেরা গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (আর্জেন্টিনা)
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।