আব্দুল আজিজ, তিতাস [কুমিল্লা] প্রতিনিধি : কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর বাস স্টেশনে হরতালের পর নতুন কর্মসূচি হিসেবে বিএনপির ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিন ২ নভেম্বর শেষ হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশজুড়ে সর্বাত্মক অবরোধ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রবেশদ্বারখ্যাত কুমিল্লার দাউদকান্দিতে একবারেই ছিল না।
বিএনপি’র হরতাল ও অবরোধ ডাকার পর থেকে দাউদকান্দি উপজেলার সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল-সন্ধ্যা রাজপথে ছিল। এ সময়ে রাজপথে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়ন, কুমিল্লা উত্তর শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. রকিব উদ্দিন, প্যানেল মেয়র বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাজহারুল ইসলাম মানিক সদাগর, সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আছলাম মিয়াজী, সুন্দলপুর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাসুদ আলমের নেতৃতে মিছিল সমাবেশ অব্যাহত ছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১৭ কিলোমিটার পড়েছে দাউদকান্দি উপজেলায় এই সময়কালে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। পালিত হয়নি কোনো কর্মসূচি। গৌরীপুর বাজারের সকল দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান যথারীতি খোলা ছিল। দাউদকান্দি অন্যান্য বাজার, বাসস্টেশন ও সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও স্বাভাবিক ছিল।
এরআগে ২৯ অক্টোবর ২০২৩, বিএনপির ডাকা হরতালে দাউদকান্দি উপজেলাকে “হরতাল মুক্ত” ঘোষণা করেন মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.)। হরতালের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ ও শান্তি সমাবেশ পরবর্তী বক্তব্যে তিনি বলেন, দাউদকান্দি উপজেলার মানুষ শান্তিপ্রিয়। আমি দাউদকান্দি উপজেলার জনগণের সেবক হিসেবে বলতে চাই, দাউদকান্দি উপজেলাকে হরতাল মুক্ত ঘোষণা করা হলো। দাউদকান্দিতে সকল স্কুল-কলেজ -মাদ্রাসা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যথারীতি খোলা থাকবে।
মেজর মোহাম্মদ আলী দাউদকান্দিবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমরা দাউদকান্দির মানুষ শান্তি চাই। আমরা কোনো জ্বালাও-পোড়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা শান্তির রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। প্রিয় দাউদকান্দিবাসী, আপনারা সবকিছু খোলা রাখবেন। আমরা আপনাদেরকে নিরাপত্তা দেবো ইনশাল্লাহ। এই দাউদকান্দিতে কেউ যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে, কেউ যদি আগুন-সন্ত্রাস করে, তাকে আমরা একবিন্দু ছাড় দেব না।
দাউদকান্দি উপজেলা হরতাল ও অবরোধের প্রভাব মুক্ত থাকায় খুশি স্থানীয় সাধারণ জনগণ। মেজর মোহাম্মদ আলী (অব.)-এর দক্ষ নেতৃত্ব ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীদের রাজপথে শান্তিপূর্ণ সরব উপস্থিতির কারণে এ অঞ্চল হরতাল-অবরোধের প্রভাব মুক্ত রয়েছে বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মী ও কর্মজীবী সাধারণ মানুষ।
পথরেখা/আসো