• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৮

উদ্বোধনের অপেক্ষায় মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র

  • জাতীয়       
  • ০৮ নভেম্বর, ২০২৩       
  • ৯৮
  •       
  • ০৮-১১-২০২৩, ১৮:৪৯:২২

পথরেখা অনলাইন : মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (৬০০ মেগাওয়াট) এবং সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ নভেম্বর মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (৬০০ মেগাওয়াট) উদ্বোধন করবেন।’এর ফলে বার্ষিক প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
 
নসরুল হামিদ বলেন, দুই ইউনিটের মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি গত ২৯ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬০০ মেগাওয়াট। প্রথম ইউনিটটি রেকর্ড ৬১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লিটি ২২ সেপ্টেম্বর স্থাপন করা হয়। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গভীর সমুদ্রবন্দরের কাছে অবস্থিত এই মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সূত্রটি আরো জানিয়েছে, প্ল্যান্ট থেকে পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন ১৩ হাজার ১০৪ টন কয়লার প্রয়োজন হবে।
 
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ প্ল্যান্টে কয়লা পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য জেটি ও সাইলোও নির্মাণ করেছে। সাইলোর ৬০ দিনের জন্য কয়লা সঞ্চয় করার ক্ষমতা রয়েছে। ৮০,০০০ টন কয়লা ধারণক্ষমতার মাদার ভেসেল সহজেই জেটিতে নোঙর করতে পারবে আর মাদার ভেসেল থেকে কয়লা আনলোড করতে মাত্র ১-২ দিন লাগবে। পাওয়ার প্ল্যান্টের নিজস্ব জেটিতে মাদার ভেসেল প্রবেশের জন্য একটি ১৪.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩০০ মিটার প্রশস্ত চ্যানেল খনন করা হয়েছে। ছাই ব্যবস্থাপনা ছিল এখানকার আরেকটি চ্যালেঞ্জ। যা মোকাবেলায় এখানে একটি ছাই রাখার পুকুরও খনন করা হয়েছে। যাতে ২৫ বছর ধরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই সংরক্ষণ করা যাবে। এখানে ৯০ একর ও ৬০০ একর জমি জুড়ে দুটি পৃথক ছাই পুকুর এবং কয়লা সংরক্ষণের জন্য ৮০ একর জমিতে কোল ইয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে।
 
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ঘূর্ণিঝড় বা জোয়ার-ভাটায় এর কোন ক্ষতি হবে না। এজন্য সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪ মিটার উঁচুতে একটি বাঁধ ও বাঁধের ভেতরে ১০ মিটার উচ্চতার অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি উচ্চ জোয়ারের কথা মাথায় রেখেই ডিজাইন করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়টি ৭ মিটার উচ্চ জোয়ার সৃষ্টি করেছিল কিন্তু এই বাঁধের উচ্চতা তার দ্বিগুণ। ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিটটি উদ্বোধনের ছয় মাস পর দ্বিতীয় ইউনিটটি (৬০০ মেগাওয়াট) বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসবে।
 
২০১৪ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (জাইকা) এর মধ্যে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটির আওতায় জাইকা ৪৩,৯২১ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দেয় এবং বাংলাদেশ সরকার ও কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)-এর নিজস্ব তহবিল থেকে অবশিষ্ট ৭,৯৩৩ কোটি টাকা প্রদান করা হয়। প্রকল্পটি বহুমুখী। এই প্রকল্পে আমদানি করা কয়লা লোড-আনলোড জেটি, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, টাউনশিপ, স্থানীয় এলাকার বিদ্যুতায়ন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংযোগ সড়ক নির্মাণের মতো অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য থাকবে।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।