• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:২৪

রেলের লাল পোশাকের শ্রমিকরা অবহেলিত

  • জাতীয়       
  • ২০ নভেম্বর, ২০২৩       
  • ১০১
  •       
  • ২০-১১-২০২৩, ১৮:৪০:৫৩

পথরেখা অনলাইন : রাখা ভালো কুলি বলতে সচরাচর আমরা বুঝি এক শ্রেণির দিনমজুর, যারা রেল স্টেশন বা লঞ্চঘাটে যাত্রীদের মালপত্র নামানো বা উঠানোর কাজ করে থাকে। কুলি নিয়ে ঢালিউড , টলিউড , বলিউডে নির্মিত হয়েছে একাধিক সিনেমা। যেখানে ফুটে উঠেছে কুলিদের জীবন-যাপনের নানা চিত্র।
 
দিন দিন সব কিছুর দাম বাড়ছে। তবে বাড়ছে না তাদের জীবন-যাপনের মান। অভাবে-অনটনেই কাটছে তাদের প্রহর। কখনো তিনশো কখনো চারশো ভাগ্য ভালো থাকলে কেউ কেউ বেশিও রোজগার করতে পারেন দিনে। কথার ছলে লাল পোশাক পরিহিত লোকটি জানালো,একসময় স্টেশনে ২৮ কেজির ব্যাগের জন্য ১৫ টাকা, দুটি ব্যাগ ২০ টাকা, ৩৭ কেজির দুটি ব্যাগ ২৫ টাকা, ৫৬ কেজি পর্যন্ত ব্যাগ ৩৫ টাকা। ট্রলি যাত্রী ব্যবহারে ১৫ টাকা, কুলি ব্যবহারে ২০ টাকা, হুইলচেয়ার কুলি ব্যবহারে ২০ টাকা নিতেন সবাই। তবে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই দাম এখন নামমাত্র সীমাবদ্ধ । এই টাকা আমাদের পোষায় না।
 
অনেকের ধারণা ঈদের সময় তাদের আয় বেশি হয়। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য যাত্রীরা বাড়তি মালপত্র সঙ্গে আনেন না। তাই তাদের আয় এতটাও বাড়ে না যতটা মানুষ ভাবে। তবে তাদের আয় ভালো হয় ফলের মৌসুমে। দূর-দুরান্ত থেকে অনেকেই ফল পাঠায় তখন ভারী মাল মাথায় বইতে পেরে ফুটে উঠে কুলিদের মুখে হাসি।
 
করোনার সময় বন্ধ ছিল ট্রেন। তখন সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছিল খেটে খাওয়া এই মানুষগুলো। সে সময় অভাবে থাকা মানুষ অনুদান পেলেও বঞ্চিত হয়েছিলেন অনেক কুলি। বাধ্য হয়ে পাততে হয়েছিল হাত। একটি তথ্য মতে, রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রায় আড়াইশ কুলি রয়েছে। নিজের থাকা-খাওয়া খরচ বাদ দিয়ে যা থাকে তা পাঠান গ্রামে নিজের পরিবারের জন্য। যারা কুলির কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের দুই তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়, এরপর তালিকায় নাম উঠিয়ে স্টেশন অফিস থেকে অনুমতিসহ নম্বর প্রদান করা হয়।
 
 
তবে বর্তমানে অনেকেই এই পেশা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। আমার বাসার সামনেই একটি বাজার। প্রতি মাসেই চালের বস্তা বাসায় দিয়ে যান পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব এক লোক। তিনি নাকি এক সময় রেল স্টেশনে কুলির কাজ করতেন। তবে আয় কম হওয়ায় এখন বাজারের মালপত্র, চালের ব্যাগ বহন করেন। তার মতে স্টেশনের কুলির কাজ থেকে এখানে আয় বেশি। তিনি জানান , তার মতো অনেকেই রেলের কুলির পেশা বাদ দিয়ে অন্য পেশায় ছুটছেন।
পথরেখা/অআ
 
 
 
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।