• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৩

একদিনে বিএনপির ৫ নেতাসহ ১৩৬ জনের সাজা

  • জাতীয়       
  • ২০ নভেম্বর, ২০২৩       
  • ১৫২
  •       
  • ২০-১১-২০২৩, ২০:৪৫:৪৪

পথরেখা অনলাইন : পুলিশের কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সম্মুখসারির পাঁচজন নেতাসহ ১৩৬ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সম্মুখসারির পাঁচজন নেতার মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে দুই মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ ১৩২ জনকে বিভিন্ন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের পৃথক আদালত এসব মামলার রায় ঘোষণা করেন। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ২৫ জনের দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন।
 
এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি আকরামুল হাসান মিন্টু, হাবিবুর রশিদ হাবিব ও যুবদল দক্ষিণের সভাপতি এনামুল হক এনাম। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ ১২ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আসামিরা ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেন ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
 
সোহেল-হেলালসহ ১৪ জনের দেড় বছরের কারাদণ্ড
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিএনপির হরতাল-অবরোধ চলাকালে নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ ১৪ জনকে দেড় বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। এরমধ্যে দণ্ডবিধি ১৪৩ ধারায় আসামিদের ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিরা পলাতক।
 
নীরবসহ সাত নেতাকর্মী আড়াই বছরের কারাদণ্ড
২০১৩ সালে রাজধানীর তেজগাঁও থানার নাশকতার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির সাত কর্মীকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও সাত মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- সাজেদুল ইসলাম সুমন, গান্ডু শাহিন, বেল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও আবু বক্কর সিদ্দিক। আসামিদের মধ্যে নীরব কারাগারে, বাকিরা পলাতক। জানা যায়, ২০১৩ সালের মে মাসে বিএনপির হরতাল অবরোধ চলাকালে রাজধানীর তেজগাঁও থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। মামলার পর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
 
৬২ নেতাকর্মীর সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর বংশালে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৬২ নেতাকর্মীকে সাড়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার আখতার হামিদ খান পবন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা পলাতক রয়েছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর নবাব কাটরা নিমতলীর এলাকার হোটেল সুফিয়ার সামনে দোকানপাট ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বংশাল থানায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে।
 
বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীর ২ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ড
চকবাজার থানার মামলায় বিএনপির ১৫ জন নেতাকর্মীকে ২ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বিএনপিকর্মী রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইমরান আহমেদ রনি, ইরফান, ফরহাদ উল্লাহ বান্টি, হাজী আব্দুল রাজ্জাক, রুবেল, আনোয়ার হোসেন রনি, জিয়াউল হক জনি, হাজী কামাল ওরফে কামাল উদ্দিন ঝন্টু, জাহিদ, আবদুর রহিম উদ্দিন, রাজিব আহম্মেদ, হাজী আবদুর হামিদ, ইমরান ও আজিজুল্লাহ। আসামিরা পলাতক আছেন। জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে চকবাজার এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।
 
নাশকতার মামলায় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
শাহজাহানপুর থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীর ২ বছর ৩ মাসের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- হাসানুল হক মাহমুদ ওরফে কাকন, দুলাল বেপারী, ফরহাদুল ইসলাম, আজিজ, শহিদুল্লাহ টিপু, শাহজালাল, সাইদুর রহমান রিপন, হুমায়ুন কবীর নাহিদ, স্বপন ভুঁইয়া, জাহাঙ্গীর, শরিফুল ইসলাম, মনসুর, কসাই হোসেন, হাবু, আব্দুল্লাহ জামান ও সোহাগ ভূঁইয়া। আসামিরা সবাই পলাতক আছেন। জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শাহজাহানপুর এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।
 
দ্রুত বিচার আইনে বিএনপিকর্মীর কারাদণ্ড
২০১৩ সালের এপ্রিলে পল্টন থানার মামলায় মেহেদী হাসান এক বিএনপি কর্মীকে দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে পল্টন থানা এলাকায় নাশকতা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।