পথরেখা অনলাইন : আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি। তাদের আপাতত লক্ষ্য একপেশে নির্বাচনি প্রচারণা বাধাগ্রস্ত করা। যাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রে ভোটার টানতে না পারে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ভোটারদের নিরুৎসাহীত করবে বিভিন্নভাবে। নতুন প্রজন্মকে এ ভোট বর্জন করতে সামাজিক মাধ্যমেও নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হবে জোরোশোরে। এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আসনভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন করে দিচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। প্রতি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সশরীরে উপস্থিত থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে হবে। তৃণমূলের আন্দোলন ঢাকায় বসে করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে হাইকমান্ড। বিএনপির বিভিন্ন সারির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১১ দফায় ২১ দিন অবরোধ এবং তিন দফায় চার দিন হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। ১৪ ডিসেম্বর বিএনপির তরফ থেকে নতুন কোনো কর্মসূচির ঘোষণা আসেনি। নেতারা বলছেন, নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর দিন থেকে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা বলছে। বিএনপি এটি যেকোনো মূল্যে অমান্য করে মাঠে সক্রিয় থাকবে। বিজয় দিবস পালন শেষে দল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান সময়ের আলোকে বলেন, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। ১৮ ডিসেম্বর থেকে আমাদের নতুন আন্দোলন শুরু হবে। আমরা একতরফা নির্বাচনের প্রচারণায় বাধা দেব। জনগণকে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করব। হাইকমান্ড আসনভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে। আসনের সম্ভাব্য দলীয় এমপি প্রার্থীরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। ঢাকায় বসে এলাকার আন্দোলন করা যাবে না। করলে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে হাইকমান্ড। এখন থেকে আর বিচ্ছিন্নভাবে নয়, ডু অর ডাই মাঠে নেমে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। সেখানে যতই বাধা কিংবা জুলুম আসুক।
বিএনপি নেতারা বলছেন, আন্দোলন শুধু রাজপথেই সীমাবদ্ধ রাখলে পর্যাপ্ত হবে না। প্রচার-প্রচারণার ব্যাপক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম সামাজিক মাধ্যমকেও কাজে লাগাতে হবে। সেখানেও সরকারের একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার বিকল্প নেই। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফেসবুক ব্যবহার করেন। তার মধ্যে তরুণ প্রজন্ম এবং নতুন ভোটারের একটি বড় অংশ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেন। ফেসবুক জনমত গঠনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে। ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ব্যর্থতার দিকগুলো তুলে ধরা যাচ্ছে। যা বিভিন্ন কারণে মূল ধারার গণমাধ্যমে উঠে আসছে না।
বিএনপি দাবী করেছে, দিন যত ঘনাচ্ছে সরকার মিডিয়াকে তত নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে। বর্তমান মিডিয়া বিএনপিসহ বিরোধীদের আন্দোলন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঠিক তথ্য তুলে ধরছে না। তারা মূল ফোকাস থেকে জনগণের মনোযোগকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার পরোক্ষ চেষ্টা করছে। ভোটে নিরুৎসাহিত করতে সামনে আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।
পথরেখা/আসো