• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:১৯

শুটিংয়ে অল্পের জন্য অলিম্পিক কোটা মিস

পথরেখা অনলাইন : নিয়ম করে অলিম্পিক গেমসে ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে অংশগ্রহন করে থাকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। ২০১৬ ও ২০২০ অলিম্পিকে সরাসরি খেলার সুযোগ ঘটেছিল সিদ্দিকুর রহমান ও রোমান সানার। তারই ধারাবাহিকতায় এবার শুটিং থেকেও সরাসরি খেলার সুযোগ ছিল। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবিয়েছেন রবিউল ইসলাম। কোটা গ্লেসের মাধ্যমে সরাসরি খেলার সৌভাগ্য হয়নি তার।  টোকিও অলিম্পিকে আর্চার রোমান সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। আসন্ন প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশের কোনো ক্রীড়াবিদ এখনো করতে পারেননি। বুধবার অল্পের জন্য সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন শুটার রবিউল ইসলাম। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় চলছে এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশীপ। এশিয়ান শুটিংয়ের শ্রেষ্ঠত্বের পাশাপাশি জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিকে এশিয়ান শুটিংয়ের কোটা নিশ্চিতের মঞ্চ। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাংলাদেশের শুটার রবিউল ইসলাম ৬২৮.০ স্কোর করেছেন। তার এক ধাপ উপরে থাকা ইন্দোনেশিয়ার শুটার ফাতহুর ৬২৮.৩ স্কোর নিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছেন। চূড়ান্ত পর্বে আট জনের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান ফাতহুট ছাড়া চীন, কোরিয়া ও ভারতের শুটার।
 
সেখানে হতাশ হতে হয়েছে তাকে। এই তিন দেশের শুটাররা ইতোমধ্যে অলিম্পিক কোটা নিশ্চিত করেছেন। তাই এই তিন দেশের বাইরে থেকে চুড়ান্ত পর্বে চতুর্থ হওয়া ইন্দোনেশিয়ার ফাতহুর অলিম্পিক কোটা পেয়েছেন এমনটাই জানা গেছে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশন সূত্রে। বাংলাদেশের রবিউল প্রাথমিক রাউন্ডে ইন্দোনেশিয়ার ফাতহুরের চেয়ে মাত্র ০.৩ স্কোর পেছনে ছিলেন। রবিউল চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হলে তিনিও কোটা নিশ্চিতের লড়াইয়ে থাকতেন। রবিউলের সরাসরি নিজ যোগ্যতায় অলিম্পিকে নাম লেখানোর পথ বন্ধ হলেও অলিম্পিক খেলার সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন শুটার রবিউল ও শায়রা আরেফিনের নাম আইওসির কাছে আবেদন করেছে ওয়াইর্ল্ড কার্ডের জন্য। রবিউলের এই পারফরম্যান্স ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখবে।
 
এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশের আগ্রহ ছিল রাইফেল ইভেন্ট ঘিরেই। পিস্তল ও মিশ্র ইভেন্টে দুই দিন হতাশার গিয়েছিল বাংলাদেশের। সম্ভাবনার রাইফেল ইভেন্টে রবিউল ছাড়া ভালো করতে পারেননি অন্যরা। পুরুষ বিভাগে জিদান হোসেন ৬২৫.৪ স্কোর গড়ে ২১ তম এবং শারার অর্ণব ৬২৩.৩ স্কোর গড়ে ৩২ তম হয়েছেন। নারী বিভাগে শায়রা আরেফিন ৬২৬.৮ স্কোর গড়ে ১৮ তম, চৌধুরী জাফিরা ৬২৫.১ স্কোর গড়ে ২৭ তম, কামরুননাহার কলি ৬২৪.০ স্কোরে ৩৪ তম হন। এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশেল সব ইভেন্টই শেষ। এবার দ্রুতই দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। এত কাছে তবু এত দূরে! শুটিং রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে নিশ্চয় আফসোসে পুড়ছেন রবিউল ইসলাম। মাত্র ০.৩ পয়েন্টের জন্য রবিউলের প্যারিস অলিম্পিকে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না। প্যারিস অলিম্পিকের কোটা প্লেস পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়া বাংলাদেশ দলের আসল লড়াইটা ছিল বুধবার। জাকার্তায় বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে এশিয়া অলিম্পিক বাছাই শুটিংয়ের দুটি ইভন্টে। এতে ছেলেদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে হাতছোঁয়া দূরত্বে থেকে বাদ পড়েন রবিউল।
 
যদিও এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ছেলে ও মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলেও ব্যর্থতার গল্প লিখেছিল বাংলাদেশ। বাছাই রাউন্ড পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে যেতে পারেননি কেউই। অলিম্পিকের কোটা প্লেস পেতে হলে কমপক্ষে ফাইনাল রাউন্ডে উঠতেই হতো শুটারদের। কিন্তু ফাইনাল রাউন্ডে ওঠার লড়াইয়ে রবিউল করেন ৬২৮ পয়েন্ট। যেখানে সর্বশেষ প্রতিযোগি হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার ফাথুর গুস্তাফিয়ান নিশ্চিত করেন অলিম্পিকের কোটা। জাকার্তা থেকে হতাশার সুরে দলের সহকারি কোচ গোলাম শফিউদ্দিন বলেন, ’আমাদের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। তা না হলে কেন এত কাছাকাছি গিয়েও পারল না রবিউল। শুটিং শুরুর আগে আমরা প্রত্যেককে চাপ নিতে নিষেধ করেছিলাম। মাঝে এক সিরিজ বাজে খেলেও দারুণভাবে ফিরে এসেছিল সে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও পারল না।’ মূলত এশিয়া থেকে অলিম্পিক কোটা পাওয়ার শেষ টুর্নামেন্ট ছিল এবারের এশিয়ান অলিম্পিক বাছাই। শেষ টুর্নামেন্ট বলে এই আসরে সুযোগটাও বেশি ছিল বাংলাদেশের জন্য। কারণ এর মধ্যেই শক্তিশালী দলগুলো বিভিন্ন ইভেন্টে তাদের কোটা নিশ্চিত করে ফেলেছে। চীন ও ভারত ছেলে ও মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের দুটি করে কোটা এরই মধ্যে পেয়ে গেছে।
 
এদিকে যেসব দলের এরই মধ্যে কোটা নিশ্চিত হয়ে গেছে তারা পদক মঞ্চে উঠলেও কোটার সুযোগ থাকছে না। নিয়ম অনুসারে সুযোগ পেয়েছে তাদের পরে স্থানপাওয়া দেশ। সেই হিসেবে কাজটা তুলনামূলক সহজই ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু সহজ সুযোগও নিতে পারেননি বাংলাদেশের শুটাররা। ছেলেদের ১০ মিটার রাইফেলে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়া বাকি দুই শুটার জিদান হোসেন ও অর্ণব শারারও ভালো স্কোর করেননি। এর আগে এশিয়া অলিম্পিক বাছাই শুটিংয়ের পিস্তল ইভেন্টে বাজে পারফরম্যান্স ছিল বাংলাদেশের। প্যারিস অলিম্পিকের কোটা প্লেস পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যাওয়া বাংলাদেশ দল প্রথম দিনেই উপহার দিল হতাশা। এশিয়া অলিম্পিক বাছাই শুটিংয়ে ছেলে ও মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের বাছাই রাউন্ড পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে যেতে পারেননি কেউই। ছেলেদের বিভাগের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে আলিফ নূর করেছেন ৫৬৪ স্কোর। 
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।