• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:২৮
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের নিয়োগ অবসান

কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন

  • জাতীয়       
  • ১১ জানুয়ারি, ২০২৪       
  • ৫৪
  •       
  • ১১-০১-২০২৪, ২০:৫৮:৪৪

পথরেখা অনলাইন : শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে মন্ত্রিসভার সদস্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভার ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকেও শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
 
এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নিয়োগ ও দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন সম্পন্ন হল। এর মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করল আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থ ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন শেখ হাসিনা। শপথ নেওয়ার আগেই বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ৩৭ সদস্যের এই মন্ত্রিসভায় বিদায়ী মন্ত্রিসভার ১৭ জনের স্থান হয়েছে। অর্থাৎ নতুন মন্ত্রিসভায় ১৯ জনই নতুন মুখ। আগের মন্ত্রিসভার ১৪ জন মন্ত্রী, ১২ প্রতিমন্ত্রী এবং ২ জন উপমন্ত্রী বাদ পড়েছেন।
 
প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ৬ মন্ত্রণালয়-বিভাগ
নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী নিজের কাছে রেখেছেন।
 
যে মন্ত্রী যে দপ্তর পেলেন
১. আ ক ম মোজাম্মেল হক- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
২. ওবায়দুল কাদের- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়
৩. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন- শিল্প মন্ত্রণালয়
৪. আসাদুজ্জামান খান- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৫. দীপু মনি- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
৬. মো. তাজুল ইসলাম- স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
৭. আনিসুল হক- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৮. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৯. সাধন চন্দ্র মজুমদার- খাদ্য মন্ত্রণালয়
১০. ফরহাদ হোসেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
১১. ফরিদুল হক খান- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
১২. মহিবুল হাসান চৌধুরী- শিক্ষা মন্ত্রণালয়
১৩. স্থপতি ইয়াফেস ওসমান- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
১৪. মুহাম্মদ ফারুক খান- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়
১৫. আবুল হাসান মাহমুদ আলী- অর্থ মন্ত্রণালয়
১৬. মো. আব্দুস শহীদ- কৃষি মন্ত্রণালয়
১৭. র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
১৮. মো. আব্দুর রহমান- বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয়
১৯. নারায়ণ চন্দ্র চন্দ- ভূমি মন্ত্রণালয়
২০. আব্দুস সালাম- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
২১. মো. জিল্লুল হাকিম- রেলপথ মন্ত্রণালয়
২২. সাবের হোসেন চৌধুরী- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
২৩. জাহাঙ্গীর কবির নানক- বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয়
২৪. নাজমুল হাসান- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
২৫. সামন্ত লাল সেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
 
প্রতিমন্ত্রীরা কে কোন দপ্তর পেলেন
১. নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ বিভাগ
২. জুনাইদ আহমেদ পলক- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
৪. জাহিদ ফারুক- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
৫. সিমিন হোসেন (রিমি)- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৬. মোহাম্মদ আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
৭. মো. মহিববুর রহমান- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
৮. কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৯. রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
১০. শফিকুর রহমান চৌধুরী- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
১১. আহসানুল ইসলাম (টিটু)- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
 
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।
 
১০ জানুয়ারি সকালে শপথ নেন নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। শপথ শেষে অনুষ্ঠিত সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়। ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর বঙ্গভবনে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন।
    
প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টার নিয়োগ অবসান
প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও সালমান ফজলুর রহমান এবং অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের নিয়োগের অবসান হয়েছে।
 
তাদের নিয়োগের অবসানের বিষয়টি জানিয়ে ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তারিক আহমেদ সিদ্দিক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং সালমান ফজলুর রহমান বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ‘রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬’-এর রুল ৩বি(৩) অনুযায়ী আজ দুই উপদেষ্টার নিয়োগের অবসান করেছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী ‘রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬’-এর রুল ৩বি(৩) অনুযায়ী অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনের নিয়োগের অবসান করেছেন বলে আদেশে জানানো হয়েছে।
পথরেখা/আসো
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।