পথরেখা অনলাইন : পদ্মায় ফেরি ডুবির ঘটনায় নৌপুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেছেন, ফেরিটি পুরোনো, জরাজীর্ণ ও ওভারলোডের কারণে পানির স্রোতের চাপে নিচের তলা ফেটে ডুবে গেছে। কোনো জলযানের সঙ্গে সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ১৭ জানুয়ারি দুপুরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া প্রান্তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
এসপি মুশফিকুর রহমান বলেন, সকালে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাট থেকে এক থেকে দেড়শ ফুট দূরে নোঙর করা অবস্থায় ছোট-বড় ৯টি যানবাহন নিয়ে রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি ডুবে যায়। তবে ভারী কুয়াশার কারণে ফেরিটি পাড়ে ভিড়তে পারেনি। ফেরি থেকে এখন পর্যন্ত ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারীদের ভাষ্যমতে, প্রচণ্ড শব্দে হয়ে ফেরির নিচের কোনো একটি অংশ ফেটে পানি প্রবেশ করে ৩০-৩৫ মিনিটের মধ্যে ফেরিটি ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত ফেরির সহকারী মাস্টার হুমায়ুন কবির নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তি, ট্রাক ও ফেরি উদ্ধারে নৌপুলিশসহ অন্যান্য সংস্থা কাজ করছে।
১৬ জানুয়ারি দিনগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাট থেকে ফেরি রজনীগন্ধা ৯টি ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া ঘাটে ভিড়তে না পেরে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটের অদূরের পদ্মা নদীতে আটকা পড়ে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফেরিটি ডুবে যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফেরিডুবির ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে একটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা।
পথরেখা/আসো