• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫৮

মাঠ মাঠ এবং মাঠ..

পাপন সাহেব ক্রীড়ামন্ত্রী। ক্রীড়াঙ্গন তার সুপরিচিত। ক্রিকেটের সাথে আছেন তাই স্রোতের পক্ষে বাতাসের অনূকুলে তীব্র গতিতে স্পোর্টস জোনে এগুচ্ছেন। অভিনন্দন নয়া ক্রীড়ামন্ত্রী।
 
স্বাধীনতার আগে হকি খেলা হত ঢাকা স্টেডিয়ামের ভিতর। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পাশাপাশি দুটো মাঠে খেলা হত। দুই মাঠের মধ্যের গ্যাপে দর্শকরা খেলা দেখত। মমিন ভাই, আলমগীর আদেলের প্রচেষ্টায় আউটার স্টেডিয়াম হকির মাঠ নির্ধারিত হয়। পল্টন ময়দানে লোকরা ৮/৯ টা পর্যন্ত ইয়ার দোস্তগের সাথে গালগপ্পো শেষে বাসা মুখি হতো। এই স্টেডিয়াম এলাকা তখন নাগরিকদের প্রাণবন্ত করে রাখার স্টেশন ছিল।
 
পাকিস্তানিরা তৈরি করে ঢাকা স্টেডিয়াম। তারা ঢাকার ক্রীড়া কর্মকর্তাদের মাথায় টাকার লালস ঢুকিয়ে দেয়, কিভাবে? স্টেডিয়াম বানাল দোকানসহ। তখনকার পাকিস্তানের কোন স্টেডিয়ামে দোকান নাই, এখনত নাইই। অথচ পূর্ব পাকিস্তানে ঢাকা স্টেডিয়াম বানাল দোকানসহ। তরগ্ন ঘোর রংগ করে অংগে লাগে দোল- আমাগো কর্তাদের দোল লেগে গেল, ঢাকা স্টেডিয়ামকে দোকানসহ স্টেডিয়াম বানিয়ে ফেলা হলো। সালামি, দোকান ভাড়া মানে ফ্লো অব মানি, টাকা আর টাকা, পল্টন ময়দানে বে-সাইজ এক স্টেডিয়াম হল। বড় বানাতে পারলে বেশী দোকান হবে,বানানো হলও তাই।
 
ফুটবলের জন্য দর্শক ধারণ ক্ষমতা কম আবার হকির জন্য বেমানান, হকির মাঠ নাই। আমি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক থাকার সময় অনুশীলন করতে যেতাম ইন্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিরর মাঠে। মধ্যে আবার হকি টুর্নামেন্ট হয়েছিল গুলিস্তান সিনেমা হলের উল্টো দিকের পার্কের ভিতর। এখনত একটা দোকানসহ স্টেডিয়াম হয়েছে। অখেলোয়াড় দিয়ে চালিত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্তাদের এই দোকান-স্টেডিয়াম বিশ্বে নাই। ওরা খেলোয়াড়দের তৈরিতে তাগের মানসিকতা, তাদের গড়তে কি করতে হবে সব বিবেচনাতে রাখে। আর আমরা ভাবি টাকা।
 
ক্রিকেট আর ফুটবল বাদে সব ফেডারেশন অভাবি। অভাবিদের কেউ লোন দেয়না। তেমনি ক্রিকেট ফুটবল বাদে অনান্য খেলাতে স্পন্সর পাওয়া যায় না। এই যে স্টেডিয়ামের দোকান থেকে সালামি, ভাড়া এই টাকা দিয়েত অভাবি ফেডারেশনগুলিকে সতেজ রাখা যায়। ভাই এই সালামি, দেকান ভাড়া যায় কৈ? পাপন সাহেব মাঠ সমস্যার সমাধান করবেন, সমাধান করতে হলে ঢাকার বাইরে ক্রীড়া কমপ্লেক্স ভাবনাতে রাখতে হবে। ঢাকাতে মাঠ করির জায়গা কৈ।
 
কোলকাতার গড়ের মাঠের মতন  আমাদের সরওয়ারিদি উদ্যান/রেস কোর্স ময়দানকে খেলার জন্য ব্যবহারের সুয়োগ দিতে হবে। নির্মল বাতাস পাওয়ার জন্য পরিবেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরওয়ার্দি উদ্যানে কিছু মাঠ করাই যায়, এতে পরিবেশ নষ্ট হবে না, এখন যে গাছপালার ভীড় এতে অনৈত্যিক কাজের ডেরা হয়েছে।
 
এত কথা এ জন্য বলা যে খেলা চলছে, উপভোগ করছে, সব কিছু বিবেচনাতে শুধু মাঠ যেটার সব বড় প্রয়োজন, সেটাই উপেক্ষিত হয়েছে। পাপন সাহেব মাঠ সমস্যার সমাধান আপনার এসিড টেস্ট।
 
লেখক : জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত  ব্যক্তিত্ব
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।