• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:১৫

পিছিয়ে পড়াদের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে চাই

  • জাতীয়       
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪       
  • ৩৮
  •       
  • ২০-০১-২০২৪, ০০:৪১:৩০

পথরেখা অনলাইন : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রান্তকিতা দূর করে সমাজে পিছিয়ে পড়াদের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, সমাজে এখনো প্রান্তিক মানুষ আছে এবং সেই প্রান্তিকতা নানা কারণে হয়ে থাকে। কোথাও ভৌগোলিক, কোথাও অবস্থানগত, আর্থিক, বৃত্তি ও সাম্প্রদায়িক কারণে। সেই প্রান্তিকতা দূর করার জন্য বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন সমাজ চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কল্যাণমুখী রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য কাজ করে চলছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে। তাঁর মাধ্যমেই এই প্রান্তকিতা দূর করে সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রত্যেক মানুষকে উন্নয়নের যে মূলধারা সেখানে সম্পৃক্ত করতে চাই।
 
১৯ জানুয়ারি চাঁদপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী উদ্যমী নারী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এক তথ্যবিবরণীতে একথা জানানো হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এই প্রান্তিকতা দূর করতে গেলে চ্যালেঞ্জতো কিছুটা আছেই। আর্থিক কিছু চ্যালেঞ্জ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলোকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। আর এসব কাজ আমাদের সকলে মিলেই করতে হবে।
 
ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে নারী নেই। নারী শুধু আছে তাই নয়, বহু সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় এখন নারী আছে। কিন্তু তারপরেও আরো অনেক দূর যাওয়ার আছে আমাদের। সে কারণে আমাদের নারী-পুরুষ সকলকেই সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। নারীরা এগিয়ে আসা মানে পুরুষের পিছিয়ে যাওয়া নয়। নারী এগিয়ে যাওয়া মানে সমাজের সকলের এগিয়ে যাওয়া। যে কারণে সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সকলকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
 
নারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, নারীরা উদ্যোক্তা হয়ে তাদের আয় রোজগারের ব্যবস্থা করছেন তাই নয়, তারা অন্যদের কর্মসংস্থান তৈরি করছেন। নারীর জয় শুধু নারীর নয়, সমাজেরই জয়। সমাজের অর্ধেককে পিছনে রেখে কিংবা তাদেরকে কাজে না লাগিয়ে একটি সমাজের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বিকশিত করতে পারি না। নারীকে পিছনে রেখে সমাজ কিন্তু এগিয়ে যেতে পারে না। যে কারণে আমাদের বঙ্গবন্ধু সমাজের যে বৈষাম্যহীনতা চেয়েছেন, সেখানে তিনি নারী-পুরুষ উভয়ের সমতাও চেয়েছেন। তা তিনি আমাদের সংবিধানেও যুক্ত করেছেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে নারী-পুরুষ উভয়ের সমানতালে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছেন। যে নারী কিছুটা পিছিয়ে ছিল তাকে সামনে আনার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। 
 
মন্ত্রী বলেন, নারীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক। এর মধ্যে আর্থিক ও প্রশিক্ষণের সমস্যা রয়েছে। সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকিংয়ের যে সুবিধাগুলো করে দিয়েছেন সেগুলো অনেক উদ্যোক্তা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে এখন অনেক উদ্যোক্তা নারী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছেন এবং যার ফলে এখন অনেক নারী এগিয়ে আসছেন। এ সময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, চাঁদপুর ওমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরা আক্তারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।