• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩১

ঘুরে-ফিরে হকির স্মৃতিকথা

সেনাবাহিনী হকি দল প্রথমবার জাতীয় হকি চ্যাম্পিয়ন হয় ১৯৭৯ সালে সিলেটে।  সময় আমি লেফট্যানেন্ট, জেনারেল  মবিন  সেও লেফটানেন্ট আর ফেরদৌস স্যার তখন ক্যাপ্টেন। প্রথম খেলা ছিল ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে। হাফ টাইমের একটু আগে আমার চক্ষুর উপর স্টিকের  গুতা লেগে ভ্রুর অনেক খানি কেটে গেল। কাছের  ফার্মেসিতে গিয়ে সেলাই করাতে নিয়ে যাওয়া হল। আমার সাথে প্রায় বারোজন অফি
সার। ফার্মেসিতে যিনি ছিলেন তিনি এত আর্মি অফিসার দেখে ঘাবড়ে সারা। আমার ভ্রু সেলাই করবে।  মনে হয় পরিবেশ হাল্কা করতে বললেন। দেখছেন আর্মি অফিসারের কত বুদ্ধি- সেলাই করার জন্য ভ্রু আগেই ‘ছাইচ্ছা’ আইছে। আমি কইলাম- ব্যাটা তাড়াতাড়ি সেলাই কর। গিয়াই খেলতে হবে। আর ভ্রু ছাইচ্ছা আসি নাই আমার ভ্রু ই অতটুকুই।
 
আসিকুল্লাহ কায়েস, গড গিফটেড সিটির ওয়ার্ক। তুমুল ফর্মে; ওকে আটকান দুঃসাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয় দলের আক্রমণ ওর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। কায়েস লেফট আউট, আমি রাইট হাফ। ওকে আটকান আমার দায়িত্বেই পরে। কায়েস দুইবার লাইনের তুলার উপর দিয়ে বল নিয়ে বের হয়ে গেল। আমি আর কায়েস দুই জনেই ঢাকা মোহামেডানে  খেলি। এখানে দুইজন দুই দলে। কায়েসের কাছে বল। তুখোড় ড্রিবলিং করে বের হয়ে যাচ্ছে, যেতে দিলাম। আমাকে পার হবার সময় ওর স্টিকের সাথে বল। ঝুকে বের হচ্ছে, ডান পা, হাটু পরিস্কার দেখছি , মোক্ষম সুযোগ, স্টিক হাঁটুর উপর চালিয়ে দিলাম। গতিতে ছিল দুই তিন কদম আগ বাড়িয়ে চিত হয়ে পরে গেল।
 
আমিও কায়েসকে আটকানোর নামে ওর মাটিতে পরে থাকা শরীরে বাঁধা পেয়ে ওর উপর পরে গিয়ে শুয়েই রইলাম। আম্পায়ার  আমাকে কার্ড দেখানোর সুযোগ পেলই না। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় ছিল সব থেকে বড় বাঁধা। তারা হারল ২-০ গোলে। ১৯৭৯ সনে চ্যাম্পিয়ন হওয়া শুরু। আমি ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত খেলেছি আর্মি প্রতিবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। টিমের কোচিং আমিই করাতাম। মোহামেডান ক্লাবে ১৯৭৯ সনে খেলার আর্মি আর বাইরে খেলার অনুমতি দেয় নাই।
 
আর্মিতে যাবার আগে ১৯৭৬ সনে আবাহনীতে খেলি। লীগ চ্যাম্পিয়ন হই। ১৯৭৯ সনে মোহামেডানে খেলে লীগ চ্যাম্পিয়ন হই। আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের সালাহ উদ্দিন আর বুলু পাঠান এসে বলে ফরিদপুরের কালেক্টরেট টি মের হয়ে আর খুলনাতে মুসলিম স্পোর্টিং হয়ে খেলতে যেতে হবে। দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন করি । কবে খেলেছি, স্মৃতি রোমন্থন করতে ভালই লাগে।
লেখক : জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত
পথরেখা/আসো
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।