• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১৭

এশিয়ান কাপ ফুটবলে ’জর্ডান’ চমক

  • ক্রীড়া -ফুটবল       
  • ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪       
  • ১৭৮
  •       
  • ০৮-০২-২০২৪, ২৩:৩৭:৩৯

পথরেখা অনলাইন : এশিয়ার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর এশিয়ান কাপে চমক দেখিয়ে চরেছে জর্ডান। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ফাইনালে ওঠে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অঘটন আর ইতিহাস গড়ে এশিয়া সেরা আসরের ফাইনালে পৌছে গেছে দেশটি। যা এক কথায় অবিশ্বাস্য, অসাধারণ। এএফসি এশিয়ান কাপে চলতি আসরে সবচেয়ে বড় অঘটন বললেও বলা যেতে পারে। টুর্নামেন্টের হট ফেবারিট দক্ষিণ কোরিয়াকে বিদায় করে দিয়েছে আসরের ডার্কহর্স জর্ডান। আগে কখনো কোয়ার্টার ফাইনাল পেরুতে না পারা দলটিই এবার চলে গেল ফাইনালে! সেটাও দক্ষিণ কোরিয়ার সেরাদের সেরা দলকে হারিয়ে। আর এরই সঙ্গে ১৯৬০ সালের পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার এশিয়ান সাফল্য অর্জনের অপেক্ষা আরও বড় হয়েছে। প্রতিপক্ষ দলে আছেন সময়ের অন্যতম সেরা তারকা হিউয়েং মিন সন। আক্রমণভাগের তিনজনই ইউরোপের নামী ক্লাবে খেলে অভ্যস্ত। দুজন প্রিমিয়ার লিগে। অন্যজন পিএসজির তারকা। মূল দলের ৫ জন খেলছেন ইউরোপের বিভিন্ন লিগে।
 
তবে এসব যেন পাত্তাই পেল না কাল জর্ডানের সামনে। কিকঅফের পর মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মাথায় দক্ষিণ কোরিয়ার বক্সে হাজির হয় তারা। এরপর প্রথম চার মিনিটেই চলে ক্ষুরধার আক্রমণ। দূরপাল্লার শটে দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্সে বারবার কাঁপন ধরিয়েছেন জর্ডানের অ্যাটাকাররা। দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা মাঠের উপস্থিত দর্শকরা যতক্ষণে খানিক স্থির হয়েছেন, ততক্ষণে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আরব দেশটির হাতে। এরপরেও অবশ্য ম্যাচের প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় দুই সুযোগ পেয়েছে কোরিয়া। ১৮ মিনিটে সন গোল করলেন দারুণ এক চিপ থেকে। কিন্তু অফসাইডের কারণে কাঁটা পড়ে সেই গোল। এরপর আবারও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর চড়াও হয় জর্ডান। তবে কখনো ভাগ্য, আবার কখনো গোলরক্ষক তাদের হতাশ করেছেন।
 
ম্যাচের ৩২ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোলপোস্টে আঘাত করে কোরিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আর লাগাম হারায়নি জর্ডান। শুরু থেকেই তারা সম্পূর্ণ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের কাছে। ফলাফল আসে ৫৪ মিনিটে। দক্ষিণ কোরিয়ার ভুলের সুযোগ নিয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আল নিয়ামাত। তার ছোট চিপ ঠেকাবার কোনো সুযোগই ছিল না দক্ষিণ কোরিয়া গোলরক্ষকের। কাঁটায় কাঁটায় ১২ মিনিট পর আবার আঘাত হানে জর্ডান। মুসা আল তামারির ডিবক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট জড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার জালে। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া কোরিয়ার কাছে ম্যাচ তখনই কার্যত শেষ। আগের ৬ দেখায় কখনোই জর্ডান হারাতে পারেনি তাদের। এবার এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চেই যেন নিজেদের শক্তি দেখাল তারা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ইরান এবং কাতার ম্যাচের জয়ী দল।
 
এই ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের ফাইনালে উঠে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালো জর্ডান। সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়াকে অবিশ্বাস্যভাবে ২-০ গোলে হারিয়ে আসরের ফাইনালে উঠে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। মঙ্গলবার মধ্যরাতে কাতারের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়াম দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল করে জর্ডান। দলের হয়ে গোল দুটি করেন ইয়াজান আল নাইমাত ও মুসা আল তামারি। কোরিয়ার বিপক্ষে জর্ডানের ম্যাচ জেতা এবারের আসরের অবিশ্বাস্য ঘটনাগুলোর একটি। এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে র‌্যাংকিংয়ে তৃতীয়স্থানে আছে কোরিয়া। অপরদিকে কোরিয়া থেকে ৬৪ ধাপ পেছনের দল জর্ডান। সেই জর্ডানই নাকি হারিয়ে দিলো কোরিয়াকে। এই ম্যাচে অবশ্য কোরিয়া দুই গোল হজমের পরও ভক্তসমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল তারা ম্যাচে ফিরবে। কারণ, কোরিয়া অধিকাংশ খেলার শেষ দিকে এসে গোল করে। এমন ঘটনা তাদের অহরহ।
 
তবে এই ম্যাচে সেটি হতে দেয়নি জর্ডানের রক্ষণভাগ। গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর কোরিয়ানদের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে জর্ডান। এবারের আসরে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠে যায় জর্ডান। শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ে এখন তারা ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামবে। বর্তমানে কাতার এশিয়ান কাপের চ্যাম্পিয়ন। চলতি আরও একবারে কোরিয়ার মুখোমুখি হয়েছে জর্ডান। ওই ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচেও গোল করেছেন আল নাইমাত। এবার তিনি হলেন জয়ের নায়ক। এশিয়ান কাপের আসরে এর আগে জর্ডানের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। এই আসরের আগে এশিয়ার সর্বোচ্চ আসরের শেষ চারেও খেলতে পারেনি তারা। তবে এবার যা করলো সেটাকে রীতিমতো ইতিহাস বলা যায়। আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে উল্লাসের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে জর্ডান।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।