• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:১৮

ক্রীড়াঙ্গনে কিছুই বদলায় নাই

জন্ম থেকেই ক্রীড়াঙ্গন মাঠ সমস্যা নিয়ে ভূগছে। পুরানা পল্টনে হকি স্টেডিয়াম হবার পরত খেলোয়াড়দের অনুশীলন করার যায়গাটুকুও উধাও হল। আমরা পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি তবে ক্রীড়াঙ্গনের ডিসিশন মেকাররা এখনও পাকিস্তানকে অনুকরণ আর অনুসরণ করেই যাচ্ছে। বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পাকিস্তান দোকানসহ তৈরি করে। এই দোকানসহ স্টেডিয়াম পৃথিবীর আর কোথাও নাই এমনকি যে পাকিস্তানীরা বানাল তাদের দেশের কোথায়ও দোকানসহ স্টেডিয়াম নাই। আমাদের ক্রীড়াকর্তারা দোকান থেকে সালামি, ভাড়া এ সব পাওয়ার আনন্দে মওজ মস্তির ঠেলায় ক্রীড়া পরিবেশ যে বাঁশ খাচ্ছে তা উপেক্ষাই করছে। ৫২টি ক্রীড়া ফেডারেশন এর মধ্যে ফুটবল আর ক্রিকেট বাদে আর সব ফেডারেশন দিন আনে দিন খাই অবস্থা। স্টেডিয়ামের এক দোকানের সেলামি আর ভাড়া এর থেকে প্রতিটি ফেডারেশনের জন্য বরাদ্দে রাখাই যায়। 
 
আমাদের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আছে, এনারা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আর ফেডারেশনগুলোর মধ্যে র সুয়েজ খাল, বিশ্বের সর্বত্র ফেডারেশন আর মন্ত্রনালয়। এই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সৃষ্টি জেনারেল এরশাদের। এই ক্রীড়া পরিষদ আর ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দুটোর কাজত একই, ক্রীড়া পরিষদে সব মিলিয়ে ৮০০ শত কর্মকর্তা/ কর্মচারি, এই বিপুল লোক বল সাথে আবার ফেডারেশনের লোকবল এত এত থাকতে সব খেলাতেই ফলাফল হা-হতোষ্যি। যে কোন খেলাতে ভাল করার পর কন্টিনিউটির অভাব, কারণ মনিটরিং শূন্য। শূন্য দর্শক উপস্থিতি। দুই জন সংসদ সদস্য মুর্তুজা আর সাকিব , সদস্য করা হয়েছ্ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি স্টান্ডিং কমিটির।
 
 দুই জনই ক্রিকেটের। পাপন সাহেব তিনিও ক্রিকেটের। এখন ক্রিকেটেরই যুগ এর নীচে অলরেডি সব খেলাই চাপা পরেছে, যদিও মুর্তুজ আর সাকিব ক্রিকেটের মানুষ তবে এই ক্রীড়াঙ্গন স্মুথ এজ সিল্ক এমন চমৎকার করতে হলে সব ফেডারেশনের অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্বদের সাথে সুযোগ মতন আলোচনা জরুরি। 
 
ক্রীড়ার সব খেকে বড় অভাব- মাঠ ।একমাত্র বসুন্ধরা তারা তাদের নিজস্ব মাঠ প্রস্তুত করেছে। এই কাজটি করে দেশে সামনে এক বিস্ময়কর উপমা উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা। এক সময়ের কৃতি হকি খেলোয়াড় জনাব শাহ আলম এশিয়ার শ্রেষ্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেও ভূলে যান নাই ক্রীড়াকে, বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়া মহলে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করলেন। স্টেডিয়াম পারার কর্তারা চেয়ারে বসলে আর নট নরন চরণ, নূতনত্ব দেবার আর ক্ষেমতা নাই, নজরুলের সেই কথা, দৃষ্টিতে আর হয় না সৃষ্টি আগের মতন গোলাপ ফুল, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ফেডারেশন কর্তা, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এদের পাসপোর্ট চেক করুন, ভিসার ঠেলায় ডিকশনারির মতন মোটা-এর মেক্সিমাম এর বিদেশ ঘুরা অপ্রয়োজনীয়।
 
ক্রীড়াঙ্গন হল সুস্থ্য সবল সুন্দরের প্রতিক। আমরা কি দেখছি? বহু দিন এ ক্রীড়াঙ্গনে। লিখলাম। আর কত অনাসৃষ্টি দেখব। দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি তাই যাহা আছে কই মুখে- কবি নজরুল কি আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের এই হালচাল আগেই অনুধাবন করে লিখেছিলেন?
লেখক : জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।