• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩৬
পাক রাজনীতিতে নতুন মোড়

এবার ইমরান-বিলাবলের জোট

  • আন্তর্জাতিক       
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪       
  • ৪৪
  •       
  • ২০-০২-২০২৪, ০১:০২:২০

পথরেখা অনলাইন  : তাৎপর্যপূর্ণভাবে এখনও পিপিপির তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে শাহবাজকে সমর্থনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা করা হয়নি। ফলে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে ক্রমশ আলোচনা দানা বাঁধছে।
 
পাকিস্তানের রাজনীতিতে হঠাৎই সক্রিয় হয়েছে সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ় (পিএমএলএন)-কে ঠেকাতে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ (পিটিআই) এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) হাত মেলাতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই জোট সরকারে একদা ইমরান-ঘনিষ্ঠ মুত্তাহিদ কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএমপি) যোগ দিতে পারে বলেও সে দেশের সংবাদমাধ্যমেই একাংশের ইঙ্গিত।
 
পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এখন মোট আসন ৩৩৬। তার মধ্যে সরাসরি ভোট হওয়ার কথা ছিল ২৬৬টি আসনে। কিন্তু এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়েছে। বাকি ৭০টি আসন মহিলা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। এর মধ্যে মহিলাদের জন্য ৬০ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি আসন। পাক সংবিধান অনুযায়ী সরাসরি ভোটে যে দল যে সংখ্যক আসনে জয় পাবে, সেই অনুপাতে ওই সংরক্ষিত আসনগুলিতে প্রতিনিধি ঠিক করে দলগুলি। যদিও এই সংরক্ষিত আসনগুলির উপর সরকার গঠন নির্ভর করে না। সেই হিসাব হবে সংরক্ষিত বাদ দিয়ে ২৬৫টি আসনের মধ্যে। সেই অর্থে বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৩৩ জন জয়ীর সমর্থন পেলেই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ছোঁয়া সম্ভব হবে।
 
নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসাবে স্বীকৃতি বাতিল করায় পিটিআই সরাসরি ভোটে অংশ নিতে পারেনি। যদিও ইমরানের দল সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৯৩টি আসনে জিতেছেন। নওয়াজ়ের দল পেয়েছে ৭৫টি এবং পিপিপি পেয়েছে ৫৩টি আসন। এমকিউএমপি ১৭টিতে। কট্টরপন্থী নেতা মৌলানা ফজলুর রেহমানের নেতৃত্বাধীন উলেমা-ই-ইসলাম ফাজ়ি (জেইউআইএফ) জিতেছে ৪টি আসনে। একক ভাবে কোনও দল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৩টি আসন না পাওয়ায় জোট সরকার গড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরও প্রকাশ্যে জোট সরকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
 
ফলে ক্রমশ ‘নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ’ নিয়ে আলোচনা দানা বাঁধছে। আইএসআই ইমরানের সঙ্গে গোপন সমঝোতা করেছে বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। জেইউআইএ প্রধান মৌলানা ফজলুর সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ২০২২ সালে ইমরান সরকারের পতনের জন্য সরাসরি তৎকালীন পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ‘চক্রান্ত’কে দুষেছেন। ফলে এক সপ্তাহ আগে শরিফের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেও তাঁর ভূমিকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া, অতীতে অনেক বারই পাক সেনার সঙ্গে আইএসআই-এর সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। টানাপড়েনের এই আবহেই জেলবন্দি ইমরানের দলের নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যেই ‘জনমত’ উপেক্ষা করে শরিফকে সরকার গড়ার সুযোগ দেওয়ার বিরোধিতায় দেশ জুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন। ফলে ক্রমশ প্রবল হচ্ছে নতুন করে অশান্তির সম্ভবনা।
 
এই পরিস্থিতিতে নওয়াজ় ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় পিপিপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর ভাই শাহবাজের নাম ঘোষণা করেছেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল সমঝোতার শর্ত হিসাবে আসিফ আবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হবেন। তাঁর ছেলে বিলাবল ভুট্টো জারদারি হবেন শাহবাজ সরকারের বিদেশমন্ত্রী। ২০২২ সালে ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে পিএমএলএন-পিপিপি জোট সরকারে শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী এবং বিলাবল বিদেশমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু এ বার ভোটে দু’দল পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এখনও পিপিপির তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে শাহবাজকে সমর্থনের বিষয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।