• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৬

হকি : দর্শক আনতে হবেই

হকির শক্তি মধ্য মাঠ। মধ্য মাঠ আবার সেন্টার হাফ নির্ভর। রোলিং সেন্টার হাফ হল দলের অক্সিজেন। দুটো ব্যাক, তিন হাফ আর পাঁচ ফরোয়ার্ড, একে পিরামিড পদ্ধতিও বলে। ১৯৮২ সনের থেকে চালু হয়। হকিতে ফুটবলের দল সাজানো মানে ৪-৩-৩ বা ৪-২-৪ এই সব পদ্ধতি চালু হয়, আমরা ২-৩-৫ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত ছিলাম। এই পদ্ধতি সেন্টার হাফ নির্ভর। আব্দুস সাদেক ছিলেন সেন্টার হাফ এবং সেন্টার হাফদের মধ্যে তিনি এত উচুদরের যে আজকের আলোচনাতে তাকে অন্তর্ভূক্ত করব না। জামাল হায়দার, সান্টা, সেনাবাহিনীর জহির সেন্টার হাফ হিসাবে যোগ্য হিসাবে আলোচিত এবং প্রতিষ্ঠিতিও। 
 
জহির লম্বা এবং সুগঠিত। সেনাবাহিনী দলের মধ্য মাঠে রাইট হাফ আমি, সেন্টার হাফ জহির, লেফট হাফ মকলেস। রাইট হাফ মহসিন ভাই আবাহনীর, ২-৩-৫ পদ্ধতিতে রাইট হাফ কে সিক্স ফরোয়ার্ড বলা হয়। আমি রাইট হাফ হিসাবে সিক্স ফরোয়ার্ড হিসাবে সারাক্ষণ আক্রমণে যেতাম। প্রাতঃস্মরণীয় রাইট হাফ মহসিন ভাই কখনই আক্রমণে যেতেন না। তবে সেন্টার হাফ সাদেক ভাই থাকাতে মহসীন ভাইর ভূল চোখেই পরত না। 
 
সেন্টার হাফ সান্টা, ওর আর্মির মতন অফুরন্ত দম তবে প্রয়োজনেও খুব একটা ‘স্কুপ’ করত না। জামাল হায়দার সেন্টার হাফ হিসাবে দুর্দান্ত। সেনাবাহিনীর খেলোয়াড় বাদে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের মধ্যে নিঃসন্দেহে জামাল সব থেকে ফিট। জহিরের আমি বলেছিলাম, বিকালে প্রথম যাবে আবাহনীর প্রাকটিস দেখতে। সাদেক ভাইর প্রতিটি মুভ মুখস্ত করবে। জহীর সাদেক ভাইর অনুকরণ শুধু করেই নাই মাঠে ভালভাবেই প্রয়োগ করেছে।পাশে থেকে বলতাম জহীর স্কুপ কর, জহীর মাথার উপর দিয়ে চমৎকার ভাবে ‘ফিড’ করত। জামাল স্কুপ কমই করত তবে পুর মাঠ চষে খেলত। সান্টা বল পাবার পর একটু পিছনে টেনে কন্ট্রোল করার পর তারপর ডিস্ট্রিবিউট করত। এতে এ্যাটাক স্লো হত।  সেন্টার হাফ ৪-২-৪ বা ৪-৩-৩ পদ্ধতিতে দরকার পরে না। আমাদের সময় দর্শকদের ভীড়ে এমনিতেই উদ্দীপনা চলে আসত। দর্শকরা পজিশন নিয়েও আলোচনা করত।
 
সেনাবাহিনী ১৯৭৮ সালে সেমিফাইনালে মোহামেডানকে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার সময় খেলা শেষ তবে মোহামেডান সর্ট কর্নার (পেনাল্টি কর্নার) পাওয়াতে সর্ট কর্নার মারার জন্য খেলার  শেষ বাশি বাজে নাই।সর্ট কর্নার মারার পর বল বারপোস্টের পাশ দিয়ে বাইরে, আম্পায়ার বশির ভাই পেনাল্টি স্ট্রোক দিলেন, বললাম, কোন দুঃখে পেনাল্টি স্ট্রোক? বশির ভাই বললেন তোমার পায়ে লেগে বল গোলে ঢুকে নাই, বলালা আমার গায়ে ত লাগেই নাই। আম্পায়ার তার ডিসিসনে একরোখা। মোহামেডানের হয়ে রামা লুসাই  পেনাল্টি স্ট্রোক নিতে আসল বললাম, একটা মিথ্যা স্ট্রোক কেন মারবি? আর মারতে আয় মাথা দুই ভাগ কইরা দিমু।এমনিতেই অন্ধকার আর এ সবে আর অন্ধকার হয়ে গেল। খেলা শেষ। পরদিন দুপুরে খবর পেলাম ফাইনাল খেলবে আজই ওয়ারি ক্লাব আর মোহামেডান। ফেরদৌস স্যারকে বললাম, দলে পরবর্তিতে সেনা প্রধান মবিন ও ছিলেন। মাঠে গিয়ে দেখি ওয়ারি আর মোহামেডান ওয়ার্মআপ করছে। আমরাও ওয়ার্ম আপ শুরু করলাম। খেলবে দুই দল ওয়ার্ম আপ করে তিন দল। আম্পায়ার ডাকলে তিন দলের ক্যাপ্টেন টসে হাজির। টিম ক্যাপ্টেন ফেরদৌস স্যার হলেও টসে আমাকেই পাঠাত। মিলু ভাই আর সাবের আলি আম্পায়ার , মিলু ভাই আমাকে দেখে ভাব নিয়ে বল্লেন তুমি কে?  আহত হলেন ভাল ভাবেই। আমাদের হকিতে সাসপেন্ড করা হল।কর্নেল সফি মির্জা তার ভাই। তিনি তার পাওয়ার খাটিয়ে আমাদের তিনজনকে ক্লোজ এ্যারেষ্ট করে এ এইচ কিউ ভিআইপি মেসে রাখলেন। 
 
আজকের মন্ত্রী জেনারেল সালাম তখন ডিএমটি। তিনি নিজেই এএইচকিউ মেসে আসলেন। সব শুনে তখনই চলে গেলেন হকি ফেডারেশনে। রাত দশটায় আবার এএইচকিউ ভিআইপি মেসে আসলেন, বললেন কাল থেকেই নরমাল মেনু ফলো করে প্রাকটিস শুরু করবে। এবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ সিলেটে, চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে। সিলেটে আর্মি ই চ্যাম্পিয়ন হয়ে স্যারের কথাতে সত্যে পরিনত করে ছিলাম। 
 
জেনারেল সালাম, তার দৃঢ়তায়  আর্মি হকি দল সুসংগঠিত হয়ে আজকের মহিরুহতে পরিনত হবার যাত্রা শুরু করে।
 
 
কলামিস্ট

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।