• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:১৬

জনগণের সেবা এবং সন্ত্রাস দমন করুন : পুলিশের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

  • জাতীয়       
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪       
  • ২২
  •       

পথরেখা অনলাইন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি দমনে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সেবা অব্যাহত রাখার এবং এজন্য সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে বলবো আপনারা দেশের মানুষের সেবা করেন। দুষ্টের দমন শিস্টের পালন পালন, এটা হচ্ছে পুলিশের মূল মন্ত্র। কাজেই পুলিশ বাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবে-এটাই সব সময় আমাদের কাম্য।’
 
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ছয় দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’ এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথি’র ভাষণে একথা বলেন।  তিনি বলেন, আজকে দেশের মানুষ পুলিশের প্রতি সে আস্থা রাখতে পারছে।  কাজেই আপনারা আন্তরিকতার সাথে মানুষের সেবা করবেন, সেটাই আমরা চাই। সরকার প্রধান বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর এই ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা একান্তভাবে অপরিহার্য।’
 
তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখনই কোন বিপদে পড়ে তখনই আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। কাজেই পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সব সময় চলে আসছে এবং এটাকেই প্রতিষ্ঠা করা একান্তভাবে দরকার। সে কারণেই আমি মনে করি আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের সততা,পেশাদরিত্ব,নিষ্ঠা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, ত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেম ও মানবীয় মূল্যবোধ নিয়েই জনগণের সেবা করবেন। পুলিশ বাহিনীকে আমরা সেভাবেই গড়ে তুলছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতা প্রদত্ত ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী তাদের জনগণের প্রতি ভালবাসা নিয়ে আরও একনিষ্ঠ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
 
জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘তোমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ। তোমরা ইংরেজের পুলিশ নও। তোমরা পাকিস্তানি শোষকদের পুলিশ নও। তোমরা জনগণের পুলিশ। তোমাদের কর্তব্য জনগণকে সেবা করা। বাংলার মানুষ চায় তারা শান্তিতে ঘুমাক। তোমাদের কাছ থেকে আশা করে যে, চোর, বদমাশ, গুন্ডা, দুর্নীতিবাজ তাদের ওপর অত্যাচার না করে। তোমাদের কর্তব্য অনেক বেশি।’ শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ভাষণের এই মর্মবাণী ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য গভীর দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যাবে, এই আমার প্রত্যাশা। প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে চড়ে বাংলাদেশ পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন পুলিশ বাহিনী বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী সাহসী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-বীরত্ব) এবং ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম-বীরত্ব) প্রদান করেন। এছাড়া ৯৫ জন পুলিশ সদস্য বিপিএম সেবা পদক এবং ২১০ জন পিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন।
 
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয় এবং সেই সময় যেমন পুলিশ জনগণের পাশে থাকে। আবার কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়ও পুলিশ বাহিনী বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। ‘৩৩৩’ নম্বরে ফোন করলে রাত-বিরাতে তারা মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। এমনকি ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। তাদেরকে সহযোগিতা করে। আমরা সব সময় চেয়েছি পুলিশ বাহিনীকে সেভাবেই গড়ে তুলতে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই বাংলাদেশ আমরা দেখেছি সেই ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সাল অথবা এই ’২৩ সালের ২৮ অক্টোবর কিভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে জাতীয় সম্পদগুলো নষ্ট করা এবং যানবাহনসহ বিভিন্ন অফিসে অগ্নি সংযোগ করা হলো। চলন্ত বাস ও ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তারা (জামাত-বিএনপি) যে শুধু এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাই নয়, পুলিশ যখন বাধা দিতে গেছে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। নির্মমভাবে পিটিয়ে নিরীহ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। এমনকি রাজারবাগে ঢুকে ককটেল মারা, হাসপাতালে আক্রমণ করা, অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়ি পুড়িয়ে ফেলাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা- ওই জামাত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা করেছে, তাদের নেতারা করেছে। তবে, আমাদের পুলিশবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে এ অবস্থার মোকাবিলা করেছে। সেজন্য আমি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, জনগণের জানমাল ও শান্তি রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা তাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন এবং এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম রুখে দিয়েছেন। জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি শান্তি রক্ষায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে গিয়েও যেসব পুলিশ সদস্য জীবন দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
 
‘তাঁর সরকারের প্রচেষ্টা এবং পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে আজকে পুলিশবাহিনী অনেক বেশি দক্ষ’ উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা যখন নতুন ধরনের সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ বা সাইবার ক্রাইমসহ বিভিন্ন কিছু দেখছি তার জন্য পুলিশকেও বহুমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করে উপযুক্ত পুলিশবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। যেমন ২০০১ সালে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের ব্যাপক উত্থানে জনজীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। আমরা ২০০৯ সালে সরকারে আসার পর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে এন্টি টেরোরিজম পুলিশ ইউনিট (এটিইউ) এবং কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) গঠন করেছি।
 
তিনি বলেন, তাঁর সরকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও দমনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), হাইওয়ে পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, এন্টি টেররিজম ইউনিট, স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন, এমআরটি পুলিশ গঠন করা করেছে। পাশাপাশি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তায় আর্মড পুলিশের ২টি এবং র‌্যাবের ১টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করা হয়েছে। যাতে দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ হয় এবং মানুষ ন্যায় বিচার পায় সেজন্য বাংলাদেশ পুলিশে ইতোমধ্যে ডিএনএ ল্যাব, আধুনিক ফরেনসিক ল্যাব, অটোমেটেড ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এএফআইএস) এবং আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে। কয়েকটি বিভাগীয় শহরে এই সকল ল্যাবের কার্যক্রম চলমান রয়েছে, বলেন তিনি।
 
প্রধানমন্ত্রী পুলিশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে আরও বলেন, সাইবার অপরাধ এবং এর সাথে যুক্ত ফাইন্যানসিয়াল ক্রাইম, মানি লন্ডারিং ইত্যাদি অপরাধসমূহ মোকাবিলায় ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার স্থাপন’ করা হয়েছে। এছাড়া, ডিএমপির সিটিটিসি-সহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটও সাইবার অপরাধ দমনে কাজ করছে। পুলিশে একটি পূর্ণাঙ্গ সাইবার পুলিশ ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। ১০ তলা ভবন করে রাজারবাগে পুলিশ হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পুলিশের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যানবাহন সরবরাহ, পুলিশে একটি পূর্ণাঙ্গ এভিয়েশন ইউনিট গঠনের চলমান প্রক্রিয়ায় অংশ হিসেবে শিগগিরই দু’টি হেলিকপ্টার যুক্ত করা, বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক সেবা ও মোবাইল অ্যাপস্ প্রবর্তন, অনলাইন জিডি, ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য ই-সার্ভিস চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত কমিউনিটি ব্যাংকের মাধ্যমে পুলিশ ও সাধারণ জনগণ আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছেন এবং পুলিশে শতভাগ রেশন চালু করা এবং অবসরপ্রাপ্ত সকল পুলিশ সদস্যের আজীবন রেশন প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।  শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের এসকল সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে পুলিশ বাহিনী আজ একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ, গতিশীল ও জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে।” 
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের পুলিশ বাহিনী আরো দক্ষ, পেশাদার, যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের একটি স্মার্ট সংস্থা হিসেবে গড়ে উঠবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। আর সেই কারণেই আপনাদের প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট অত্যন্ত জরুরি এবং সে ব্যাপারেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, আজকে আমি একটা কথাই বলতে চাই যে ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আমরা আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করব। এটাই আমাদের লক্ষ্য, আর সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি এ সময় দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোয় দেশবাসীর প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
 
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রায় পুলিশ সদস্যরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিশেষ অবদান রাখবেন।  “ইনশাআল্লাহ, স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের মানুষের প্রতিটি ঘরে আমরা পৌঁছে দেবো,” বলেন তিনি।পথরেখােআসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।