• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৮

কুমিল্লার পঞ্চম নাকি বরিশালের প্রথম

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটে প্রত্যাশা পূরণ করে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অন্যদিকে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ প্রথমবার ফাইনালে খেলার সুযোগ পাওয়া ফরচুন বরিশাল। ম্যাচের আড়ালে লড়াইটা দুই কাপ্তান তামিম ইকবালের সাথে লিটন দাসের। কোয়ালিফায়ার আর এলিমেনেটর থেকে বাদ পড়েছে হট ফেবারিট রংপুর রাইডার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর বরিশালের সামনে বিপিএলের ’অস্ট্রেলিয়া’ খ্যাত কুমিল্লা। সবমিলিয়ে শুক্রবার জমজমাট এক ফাইনালে অপেক্ষায় দর্শকরা। যদিও ম্যাচের আগেরদিন বৃহস্পতিবার মিরপুরে টিকিটের জন্য দর্শকদের প্রকাশ করতে ক্ষোভ দেখা গেছে। এর আগে অনলাইনেও প্রত্যাশিত টিকিট পায়নি খেলা দেখার প্রত্যাশিরা। এদিকে ফাইনালে আগে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন নিয়ে এক পশলা নাটক মঞ্চস্ত হয়ে গেছে। বরিশাল অধিনায়ক বুধবার রাতে জানিয়েছিলেন, পুরান ঢাকার আহসান মঞ্জিলে যেতে হলে তাকে হেলিকপ্টার দিতে হবে। প্রতিপক্ষ লিটন দাস এমনটি না বললেও ফটোসেশনে আসেননি।
 
ট্রফি নিয়ে দুই দলের দুই তরুন মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিককে দেখা গেছে। ফাইনালে যাওয়া মানে শিরোপা সঙ্গে নিয়ে ফেরা, গত কয়েক দশক অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে এমনই তো দেখিয়ে আসছে। ওয়ানডে হোক বা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ফাইনাল মানেই যেন অজিদের হাতে শিরোপা। হুবহু না হলেও তাদের সঙ্গে একটা জায়গা বেশ সাদৃশ্য রয়েছে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। কী সে সাদৃশ্য? ফাইনালে উঠলে কখনো না হারা। কুমিল্লার অতীত ইতিহাস তো এমনটাই বলে। আগের চারবারের (২০১৫, ২০১৮, ২০২২ ও ২০২৩) একটি ফাইনালেও হারেনি তারা। এ নিয়ে পঞ্চম ফাইনালে উঠল বিপিএলের সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। মঙ্গলবার রাতে মিরপুরে সাকিব আল হাসানদের রংপুর রাইডার্সকে এক প্রকার উড়িয়ে রেকর্ড হ্যাটট্রিক ফাইনালে উঠেছে লিটন দাস-তাওহীদ হৃদয়-মঈন আলীদের কুমিল্লা। এবারও কি শিরোপা ধরে রাখতে পারবে নাফিসা কামালের মালিকানাধীন দলটি? সেটি জানা যাবে ১ মার্চ ফাইনালে। বিপিএলের দশম সংস্করণের মধ্যে ৫ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে তারা।
 
আসরে সফল দলের পাশাপাশি কুমিল্লাকে সবচেয়ে পেশাদার বললেও অত্যুক্তি হবে না। আর সে কারণেই হয়তো দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে হারলেও ঠিকই ফাইনাল নিশ্চিত করতে পেরেছে। সেই কুমিল্লার ফাইনালের সাফল্য বিবেচনায় স্বাভাবিকভাবে মনে করিয়ে দেয় ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে। ভারতের মাটিতে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের কাছে হার দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল অজিরা। তবে আহমেদাবাদের ফাইনালে ঠিকই ভারতকে কাঁদিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ বিশ্বকাপ নিয়ে ফেরেন প্যাট কামিন্সরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে অজিরা প্রথম ফাইনাল খেলে প্রথম আসরেই। সেবার অবশ্য ফাইনালে হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর একদিনের ক্রিকেটে আরও সাতবার ফাইনাল খেলে অস্ট্রেলিয়া হেরেছে মাত্র একবার, ১৯৯৬ বিশ্বকাপে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ১৯৮৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ পাওয়া অজিরা ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭, জিতেছে হ্যাটট্রিক শিরোপা।
 
আর এবার জিতলে বিপিএলে হ্যাটট্রিক শিরোপার স্বাদ পাবে কুমিল্লাও। শুধু ওয়ানডে বিশ্বকাপেই নয়, অস্ট্রেলিয়ার দাপট বাকি দুই সংস্করণেও। দুইবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে একবার। আর গত বছর ওভালে ভারতকে হারিয়েই জিতেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। নকআউট পর্বে উঠলে অজিদের সামনে যেমন কেউ দাঁড়াতে পারে না, তেমনি কুমিল্লার সামনেও দাঁড়ানো বিপিএলের বাকিদের পক্ষে কঠিন হয়ে যায়। বিপিএলে সাত সংস্করণে পাঁচবার প্লে-অফ খেলে চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা। এবার হাতের মুঠো পূরণ করার পালা তাদের। বিপিএলের নয় আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চারবার চ্যাম্পিয়ন। দশম আসরেও শিরোপা জয়ের পথে তারা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে এরই মধ্যে চলে গেছে ফাইনালে। মাঠের ক্রিকেটে তাদের আরেকটি ভালো দিন তাহলেই বিপিএলের পঞ্চম শিরোপা তাদের।
 
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, এই দলটি তৃতীয় আসর থেকে বিপিএলে নিয়মিত। আগের দুই আসরে সিলেট রয়্যালসের মালিকানায় তাদের অংশীদারিত্ব ছিল। কিন্তু তৃতীয় আসর থেকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা ফ্র্যাঞ্চাইজি চালাচ্ছে তারা। প্রথম আসরেই বাজিমাত। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে কুমিল্লা বিপিএল চ্যাম্পিয়ন। পরের দুই আসরে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স আসেনি। ২০১৮ সালে ফের তাদের ঘরে শিরোপা। ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলেনি। এরপর ফিরে এসে টানা দুই বছর চ্যাম্পিয়ন। এবার হ্যাটট্রিক শিরোপার অপেক্ষায় তারা। তবে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা বরিশালও ছেড়ে কথা কইবেনা। বিশেষ করে তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা প্রথম শিরোপা জয়ের অপেক্ষায়।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।