• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫১

জিমন্যাস্টিকসে শিশু-কিশোরদের উৎসবমুখর দিন

পথরেখা অনলাইন : শিশু-কিশোরদের কোলাহলে মুখরিত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরনো জিমনেসিয়াম। ম্যাটের ওপর রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে ব্যস্ত এক কিশোরী। পাশের ফ্লোরে বসে তাকে সমস্বরে উৎসাহ দিচ্ছে আরেক দল ছেলেমেয়ে। পল্টনের এই জিমনেসিয়ামে আজ  মঙ্গলবার দিনব্যাপী হয়ে গেল ‘বঙ্গবন্ধু ১ম আন্তঃস্কুল জিমন্যাস্টিকস্ প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নিয়েছে সারা বাংলাদেশ থেকে আসা ৫৬টি স্কুলের ২৫০ জন জিমন্যাস্টস। এ উপলক্ষ্যে জিমনেসিয়ামে সারা দিন লেগে ছিল কচিকাচার মেলা। বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস্ ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এই প্রথম আয়োজন করা হলো স্কুলের প্রতিযোগিতা।
 
দিনাজপুর কালেক্টরেট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ঢাকায় এসেছে তাসকিন আহমেদ। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ফ্লোর এক্সারসাইজে সোনা জয়ের পর বলছিল, ‘এখানে খেলতে এসে খুবই ভালো লাগছে। আমার আনন্দ আরও বেড়ে গেছে যখন মেডেলটি পেয়েছি।” দিনাজপুর থেকে উঠে এসেছেন কিংবদন্তি জিমন্যাস্ট রওশন আক্তার ছবি। সেই জেলা থেকেই এবার স্কুল জিমন্যাস্টিকসে এসেছে ৩২ জন জিমন্যাস্টস। এদের মধ্যে ৬টা পদক জিতেছে স্কুলটি।
 
স্কুলটির কোচ আজমেরি সুলতানা নিজেও একজন সাবেক জিমন্যাস্ট। ঢাকায় এসে উচ্ছ্বসিত আজমেরি বলছিলেন, “মাত্র ৩ মাসের প্রস্তুতি  নিয়ে এসেছি। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। আমরা ভাবতেও পারেনি এত চমৎকার প্রতিযোগিতা হবে।” দিন ব্যাপী আয়োজনে যারা ইভেন্টে জিতেছে তারা স্বাভাবিকভাবেই পদক পেয়েছে। কিন্তু অংশ নেওয়া সব জিমন্যাস্টদেরই দেওয়া হয়েছে একটি করে সার্টিফিকেট ও পদক।
 
রূপকথা মল্লিক পড়ছে রাজধানীর বনশ্রী ড্রেক্সেলা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেনীতে। খুদে এই জিমন্যাস্ট প্রথমবার অংশ নিয়েই জিতেছে ব্রোঞ্জ। বাবা রিপন লাল মল্লিক ল ফার্মে চাকরি করেন। মেয়েকে জিমন্যাস্টিকসে আনতে পেরে খুশি তিনি, ‘গত দুই বছর ধরে সে জিমন্যাস্টিকস শিখছে। ওর আগ্রহের কারণে এখানে খেলা শেখাই। আজই প্রথম প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। এবং পদকও পেয়েছে। খুব ভালো লাগছে আমার।”
 
জ্যোতি সাহার মেয়ে নবনীতা সাহা পড়ছে ভিকারুন নিসা নূন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে। মোবাইল ফোন, ভিডিও গেমসসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাাটফর্মের আসক্তি ছেড়ে মেয়েকে জিমন্যাস্টিকসে দিতে পেরে আনন্দিত তিনি, “এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ইউটিউবে আসক্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু এসব নেশা থেকে দূরে রাখতে আমি মেয়েকে জিমন্যাস্টিকসে এনেছি। সে এখানে সময় যেমন কাটাতে পারছে, খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরও ফিট রাখতে পারছে। এটা অনেক ইতিবাচক দিক আমাদের জন্য।”
 
দেশের অনেকগুলো অজনপ্রিয় খেলার একটি জিমন্যাস্টিকস। কিন্তু এই খেলাটিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন। নতুন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চ্যালেঞ্জটা নিয়ে বলছিলেন, “আমাদের হাই পারফরমার অনেক আছে। কিন্তু জেনে না জেনে অনেকে শারীরিক কসরৎ করে। এদের আসল জিমন্যাস্টিকসের অভিজ্ঞতা দিতে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করি। আগেই আয়োজন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নানা কারণে হয়নি। শেষ পর্যন্ত  সারা দেশ থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এনে প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছি। কাজটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু এখানে অভিভাবকদের প্রচুর সাড়া পেয়েছি। বাচ্চারা যখন জিমে ঢুকছিল খুব রোমাঞ্চিত ছিল।”
 
পুরো আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে শেলটেক ও ইলেকট্রোমার্ট। ফেডারেশনের সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন দেশে জিমন্যাস্টিকসের নতুন প্রতিভা খোজার অন্যতম উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন এই আয়োজন। বঙ্গবন্ধু  ১ম আন্তঃস্কুল জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতা  শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মাহবুব আরা গিনি।  
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।