মেজর মহসিন ছিলেন আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডে। তিনি বাস্কেটবলে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত। আমি সেনাবাহিনীতে যোগ দেই এডুকেশন কোরে, সিলেক্ট হবার পর মেজর হাফিজ বীর বিক্রম বলেছিলেন বিএমএতে পিটিতে ভাল করলে ইনফ্যানট্রিতে আসবার সুযোগ হতে পারে। হাফিজ ভাই নিজেও প্রথম এডুকেশন কোরে গিয়ে ছিলেন আর দেশশ্রেষ্ঠ ফুটবল তারক, ১০০ মিটার দৌড়ে তুখোড় খ্যাতিমানকে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি ইনফ্যানট্রিতে দেয়।
আমি শুরুতে দেড় বছরের মতন এডুকেশন কোরে ছিলাম। ১৯৭৮ সনে ঢাকাতে অনুষ্ঠিত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সিলেটের কাছে হেরে যাই। হারার পর মেজর মহসিন স্যার হিলট্রাকসে পোস্টিং এ শান্তি বাহিনীর গুলিতে মারা যান। আমাকে তার অফিসে ডাকেন, কেন হারলাম জানতে চাইলেন। বললাম হকি দলে প্রায় ১০/১১ জন অফিসার, সবাই খেলতে চায়, এর অনেকেই খেলার যোগ্য না। সবাই আমার সিনিয়র তাই চুপ থাকতে হয়। তিনি বললেন, তুমি টিম তৈরি করে দাও। আমি নিজেসহ, কর্নেল ফেরদৌস, জেনারেল মবীনের নাম দিলাম। আমি সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট আর স্যার দুজন লেফট্যানেন্ট। ফেরদৌস স্যার বলে দিলেন টীম তুমিই চালাবে। শুরুতে বশির ভাই আর প্রতাপ শংকর হাজরা দলের কোচিং দিলেও পরবর্তিতে আমিই কোচিং করাতাম।
মিলিটারি ট্রেনিং এর দায়িত্বে প্রথম পেয়েছিলাম জেনারেল সালামকে। এখন তিনি মন্ত্রী। খেলার প্রতি ছিল তার অনেক ভালবাসা। তিনি চট্টগ্রামে ২০৩ ব্রিগেডে আমার কমান্ডার ছিলেন। এরপর জেনারেল মতিন মিলিটারি ট্রেনিং এর দায়িত্বে আসেন। তিনি হকি ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।
দ্বিতীয় এশিয়া কাপ ঢাকাতে হয়েছিল, আমাকে অধিনায়ক করার পর কোচ প্রতাপ শংকর পদত্যাগের হুমকি দিয়ে বলেন আর্মি থেকে কেন ক্যাপ্টেন হবে। তিনি আশা করেন নাই যে সভাপতি তার পদত্যাগ গ্রহন করবে। তবে গ্রাউন্ড কমিটিতে প্রতাপ থেকেই যায়। মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলার আগে সমগ্র মাঠ ফায়ার ব্রিগেড এনে প্রতাপ পানি দিয়ে ডুবিয়ে দেয়।মালয়েশিয়ারা এ্যাষ্ট্রোটার্ফে খেলার বুট পরে এসেছিল আর আমরা কেডস পরে ফলে পানি ছপ ছপ্ মাঠে সমানে আছাড় খেতে খেতে খেলা তৈরির সুযোগ তৈরি করাই সম্ভব আর হয় নাই। বাজেভাবে হারলাম। প্রতাপ বাবু সফল হলেন। ক্রীড়াঙ্গনের সব চাইতে বড় নির্লজ্জ প্রতাপকে প্রথম আজীবন ক্রীড়াঙ্গন থেকে বহিস্কার করা হয় পরে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে সো কল্ড ইজ্জত রক্ষা করেন।
ক্রীড়া সাংবাদিকরা ইন্টারনেট অনুসরণ করে পাতা ভরে ফেলে দায়িত্ব খতম করে, বহু দেশি খবর মাঠে হাওয়াতে ভাসছে, সে সব খুঁজুন, দেশবাসেীকে বহু অজানা তথ্যে সমৃদ্ধ করুন।
পথরেখা/আসো