• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:৩১

হকি খেলার মজাই আলাদা

মেজর মহসিন ছিলেন আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডে। তিনি বাস্কেটবলে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত। আমি সেনাবাহিনীতে যোগ দেই এডুকেশন কোরে, সিলেক্ট হবার পর মেজর হাফিজ বীর বিক্রম বলেছিলেন বিএমএতে পিটিতে ভাল করলে ইনফ্যানট্রিতে আসবার সুযোগ হতে পারে। হাফিজ ভাই নিজেও প্রথম এডুকেশন কোরে গিয়ে ছিলেন আর দেশশ্রেষ্ঠ ফুটবল তারক, ১০০ মিটার দৌড়ে তুখোড় খ্যাতিমানকে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি ইনফ্যানট্রিতে দেয়।
 
আমি শুরুতে দেড় বছরের মতন এডুকেশন কোরে ছিলাম। ১৯৭৮ সনে ঢাকাতে অনুষ্ঠিত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সিলেটের কাছে হেরে যাই। হারার পর মেজর মহসিন স্যার হিলট্রাকসে পোস্টিং এ শান্তি বাহিনীর গুলিতে মারা যান। আমাকে তার অফিসে ডাকেন, কেন হারলাম  জানতে চাইলেন। বললাম হকি দলে প্রায় ১০/১১ জন অফিসার, সবাই খেলতে চায়, এর অনেকেই খেলার যোগ্য না। সবাই আমার সিনিয়র তাই চুপ থাকতে হয়। তিনি বললেন, তুমি টিম তৈরি করে দাও। আমি নিজেসহ, কর্নেল ফেরদৌস, জেনারেল মবীনের নাম দিলাম। আমি সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট আর স্যার দুজন লেফট্যানেন্ট। ফেরদৌস স্যার বলে দিলেন টীম তুমিই চালাবে। শুরুতে বশির ভাই আর প্রতাপ শংকর হাজরা দলের কোচিং দিলেও পরবর্তিতে আমিই কোচিং করাতাম। 
 
মিলিটারি ট্রেনিং এর দায়িত্বে প্রথম পেয়েছিলাম জেনারেল সালামকে। এখন তিনি মন্ত্রী। খেলার প্রতি ছিল  তার অনেক ভালবাসা। তিনি চট্টগ্রামে ২০৩ ব্রিগেডে আমার কমান্ডার ছিলেন। এরপর জেনারেল মতিন মিলিটারি ট্রেনিং এর দায়িত্বে আসেন। তিনি হকি ফেডারেশনের  সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।
 
দ্বিতীয় এশিয়া কাপ ঢাকাতে হয়েছিল, আমাকে অধিনায়ক করার পর কোচ প্রতাপ শংকর পদত্যাগের হুমকি দিয়ে বলেন আর্মি থেকে কেন ক্যাপ্টেন হবে। তিনি আশা করেন নাই যে সভাপতি তার পদত্যাগ গ্রহন করবে। তবে গ্রাউন্ড কমিটিতে প্রতাপ থেকেই যায়। মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলার আগে সমগ্র মাঠ ফায়ার ব্রিগেড এনে প্রতাপ পানি দিয়ে ডুবিয়ে দেয়।মালয়েশিয়ারা এ্যাষ্ট্রোটার্ফে খেলার বুট পরে এসেছিল আর আমরা কেডস পরে ফলে পানি ছপ ছপ্ মাঠে সমানে আছাড় খেতে খেতে খেলা তৈরির সুযোগ তৈরি করাই সম্ভব আর হয় নাই। বাজেভাবে হারলাম। প্রতাপ বাবু সফল হলেন। ক্রীড়াঙ্গনের সব চাইতে বড় নির্লজ্জ প্রতাপকে প্রথম আজীবন ক্রীড়াঙ্গন থেকে বহিস্কার করা হয় পরে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে সো কল্ড ইজ্জত রক্ষা করেন।
 
ক্রীড়া সাংবাদিকরা ইন্টারনেট অনুসরণ করে পাতা ভরে ফেলে দায়িত্ব খতম করে, বহু দেশি খবর মাঠে হাওয়াতে ভাসছে, সে সব খুঁজুন, দেশবাসেীকে বহু অজানা তথ্যে  সমৃদ্ধ করুন।
পথরেখা/আসো

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।