• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:১৫

বিএনপির বিরোধিতায় গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি

  • জাতীয়       
  • ২৫ মার্চ, ২০২৪       
  • ২৪
  •       
  • ২৫-০৩-২০২৪, ২২:২০:৫৪

পথরেখা অনলাইন : বিএনপির বিরোধীতার কারণে আমরা এখনও গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এরা দালাল। এদের কারণে গণহত্যার স্বীকৃতি আজও আমরা পাইনি। আমরা পাকিস্তানের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য পাওনা পাইনি। পাকিস্তানি নাগরিকরা বছরের পর বছর বোঝা হয়ে আছে। কথা দিয়ে তাদের নাগরিকদের ফেরত নেয়নি।’
 
ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যৌথ ভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। 
 
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পাকিস্তান একাত্তরে গণহত্যার জন্য একবারও দুঃখপ্রকাশ করেনি। কোনও সরকারও প্রকাশ্যে এই যুদ্ধাপরাধের জন্য বাংলাদেশের কাছে এ যাবত ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। সে পাকিস্তানের যারা দালালি করে তারা স্বাধীনতার শত্রু।’ তিনি বলেন, বিএনপি পাকিস্তানের দালালি করে, আমাদের শত্রু। এই শত্রুরা বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করেছিল। জয় বাংলা, ৭ মার্চ নিষিদ্ধ করেছিল। ২৬ মার্চে স্বাধীনতার স্থপতিকে নিষিদ্ধ করেছিল।
 
বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া। এটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি জানতে চাই, আজ (২৫ মার্চ সোমবার) দুপুর বেলায় পল্টন ময়দানে মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধার সমাবেশ করেছেন, একাত্তরে আপনি কোথায় ছিলেন? আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? কোন সেন্টারে যুদ্ধ করেছেন? বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ভুয়া, এটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। এরা পাকিস্তানের দালাল।’
 
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সমাবেশে ২৫ মার্চ গণহত্যা নিয়ে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি, এরা কারা? এরা পাকিস্তানের দালাল। হাতে গুনলে কয়জনকে পাবেন? যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না তারা কোন দিন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নাই। বিএনপির প্রভু আছে যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে উকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনও বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির বন্ধুরা যখন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল, তখন আমাদের বন্ধুরা নির্বাচনের পক্ষে স্ট্রংলি দাঁড়িয়েছিল।
 
বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, রান্না ঘরে যা যা ব্যবহার করে তার মধ্যে ভারতীয় পণ্য কোনটা কোনটা। রান্না ঘরে যান, শোয়ার ঘরে যান, ভারতীয় পণ্য। এখন রিজভী সাহেব রাজনীতি করার জন্য গা থেকে কাশ্মিরি শাল ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িছেন। আরও কয়টা শাল তার ঘরে আছে কে জানে। ভারতীয় পণ্য ছাড়া খাবার জোটে না। ভারতীয় মশলা, ভারতীয় পেঁয়াজ কার ঘরে নাই? খুঁজে দেখবো?
 
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে  সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। তারা ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
 
২৫ মার্চের গণহত্যা দিবস অনেক আগেই স্বীকৃতি পেতে পারত জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণহত্যার সব আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিলেন। 
 
গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের গণহত্যার স্বীকৃতি দরকার। যেন ভবিষ্যতে এমন গণহত্যা পৃথিবীর কোথাও না হয়। গাজায় যে হত্যা হচ্ছে, সেখানে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বক্তব্য রাখছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমরা এই গণহত্যা বন্ধ চাই।
 
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের সব ইতিহাস মুছে দিয়েছিল। তাদের কারণে আমরা এখনো গণহত্যার স্বীকৃতি পাইনি। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়নি। এই মিথ্যাচারের কারণে আমরা এখনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাইনি। 
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।