• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২২

স্মৃতিময় হকি

ঢাকার হকি মানেই আরমানিটোলা। এক সময়ে পুরান ঢাকার এ অঞ্চলের প্রায় সব বাড়ির ছেলেরাই হকি খেলত। আরমানিটোলা সরকারি স্কুলের ছোট মাঠ তাই হিট বা পাস না করে এরা ড্রিবলিং মাস্টার। কাছেই নবাব বাড়ি। এরাও হকি খেলে এবং ঐ ড্রিবলিং মাস্টার। হকি  সেই ১৯০৭/৮ সন থেকেই ঢাকায়। নবাব সলিমুল্লাহ কোলকাতার হোয়াইট ওয়েজ ডিপারমেন্ট শপ থেকে নবাব বাড়ির উঠতি যুবকদের জন্য হকি স্টিক কিনে এনে ছিলেন। হকির যাদুকর বলা হয় ধ্যানচাঁদকে তিনি তার ঝাসি হিরোজ ইউনিট নিয়ে ঢাকার পিলখানায় ছিলেন। অনুশীলন করতেন ইউনিভার্সিটি মাঠে। আমার বাবা শামসুদ্দিন চাকলাদার ছিলেন ইউনিভার্সিটি দলের ক্যাপ্টেন, প্রায়ই ম্যাচ খেলতেন ঝাসি হিরোজের সাথে, ধ্যানচাঁদ্রলভাই অলিম্পিয়ান রূপচাঁদ ও খেলত।
 
হকির বাংলাদেশের প্রবাদ পুরুষ আব্দুস সাদেক আরমানিটোলা ছেড়ে হকির স্রোত ধানমন্ডির দিকে ঘুরিয়ে দেন তৈরি হয় আবাহনী ক্লাব। ফার্মগেটে কাঞ্চন, টিসা, আশরাফরা হকির অনুশীলন শুরু করে, দুই ভাই মুনির আর সাইফ ওরা বেশির ভাগ ক্যান্টনমেন্টে আর্মি হকি দলের সাথেই খেলত। 
 
কাঞ্চন টিসা আর জুম্মন প্রতি সপ্তাহে আমার বাসাতে ভোর পর্যন্ত আড্ডা দিত। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার যাবার ইরাদা, কাঞ্চন প্রতিবার কক্সবাজারে সংগী হত। ও চলে যাবার পর আর যাইনি। এবার বড় ছেলে মোবাশ্বরের ইচ্ছায় যেতে হবে।
 
কাঞ্চনের বন্ধু কক্সবাজারের সানু ভাই আমারও বন্ধু। তাকে আসছি বলে কল দিলাম, শত স্মৃতি কাঞ্চনকে নিয়ে ভাগ করলাম। জুম্মন নাই, কাঞ্চন নাই। আমি আর টিসা আছি। টিসা আমেরিকাতে। আমরা দেশবাসিকে ১৯৮৫ সনের হকি উপহার দিয়েছি। বিশ্ব জয়ী পাকিস্তানকে নাকানি চুবানি দিয়েছি। আমি সেরা হয়েছি। সব পেরেছি দলে অটুট বন্ধুত্বের জন্যই। মনে পরে— যখন পরবে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বটে /তখন আমায় নাই বা মনে রাখলে।
 
এই ছন্দ মিথ্যে প্রমাণ করে কাঞ্চন জুম্মান তোরা সব সময় আমার কাছেই আছো।
লেখক : জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত এবং কলামিস্ট
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।