• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩২

আসলে প্রচারটাই আসল

সকাল ১০ টার উপর। সৈনিক ক্লাবের মাঠে আমি। সাথে গোল কিপার বজলু। অহেতুক রিস্ক নিত তাই অমরা ওকে সাইড লাইনেই রাখতাম। তবে দুর্দান্ত অ্যাক্রোবেটিক।
 
সৈনিক ক্লাবের মাঠের পাশে বড়সর একটা আম গাছ। বেশ মোটাই গোড়া। গাছটা সাইজ লাইনের সাথেই। দেখি ক্যাপ্টেন সিনা (আমার কোর্সমেট) জেনারেল এরশাদের এডিসি ঐ গাছটার ছায়া থেকে আমাকে ডাকছেন। বললাম ছায়ায় কি কর। রৌদ্রে  চলে আস। ওখান থেকে আমাকে বলল- দৌড়ে আয় গাড়িতে তোর বস বইসা রইছে। এমনিতেই  দলের প্রাকটিস শেষ হবার পর তপ্ত রৌদ্রে প্রায় ঘণ্টা খানেক পেনাল্টি স্ট্রোক আর টপ অব দ্য ডি শট মারছি। দল চলে গেছে কখন। বস দেখতে আইতাছি। গাড়ির কাছে গিয়ে দেখি জেনারেল এরশাদ গাড়িতে। কাছে গেলাম। প্রাকটিস শেষে এমটি ডাইরক্টরেটে যেতে হয়। ঘাবড়ে গিয়ে বললাম স্যার,আমার স্ট্রোক আর শট আরো ভাল করতে বেশি প্রাকটিস করছিলাম। ঝড় ঝড় করে ঘাম পরছে। ওনি গাড়ি থেকে নামলেন। ভিজা শরীর। তার মধ্যেই ঘাড়ে হাত দিলেন  বললেন, ‘প্রাকটিস মেকস এ  ম্যান পারফেক্ট।’
 
দিল্লী এশিয়ান গেমসে হকি দল যাবে। জেনারেল এরশাদ সকালের প্রাকটিস দেখতে হকি স্টেডিয়ামে গেলেন। হকির সভাপতি জেনারেল মতিনকে বললেন চাকলাদার কোথায়? ও নবম ডিভিশনের জিওসি জেনারেল রহমানের ৩/৪ জন আত্মীয়কে হকি স্টিক দিয়ে ধুমছে মেরেছে। তাই ক্লোজ অ্যারেস্ট করা হয়েছে। চলে যাওয়ার সময় বললেন, বিকালে আবার প্রাকটিস দেখতে আসবেন, চাকলাদারকে যাতে মাঠে দেখা যায়। ১১টার দিকে হন্ত-দন্ত হয়ে ৪/৫ অফিসার আসলেন। পরে আমার ভায়রা ভাই হয়েছেন মেজর বাশার তিনি ও ছিলেন। তার শালীর প্রতি আমার দুর্বলতা তার না পছন্দ। বললেন এখনই জেনারেল রহমানের কাছে পেশীতে যেতে হবে। গেলাম। আচ্ছা মতন ঝাড়লেন। পুল আপ ইওর সকস, ফ্যাসেন ইওর বেল্ট  এন্ড ওয়েক  আপ।
 
হকির সভাপতি জেনারেল মতিন ডেকে নিয়ে বললেন, ভাল খেলোয়াড় তবে জিদ কন্ট্রোল কর। বললেন, সাদেককে দেখ। এত প্রেসার খুব সাধারণ; উত্তেজিত পর্যন্ত হয়না। জেনারেল এরশাদ স্যার আমাকে বহুবার বাসাতে ডেকেছেন। স্পোর্টসম্যানকে আদর করার। সম্মান করার ব্যাপারে তিনি ছিলেন এক দৃষ্টান্ত। আমার দেখা রাজনীতির বাইরের জেনারেল এরশাদ এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
লেখক : জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং কলামিস্ট
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।