• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩৯

ফকিরেরপুল এবার বিপিএলে খেলবে তো?

বিশেষ প্রতিবেদন : বাংলাদেশের ফুটবলে পুরনো ক্লাবগুলোর একটি ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব। নানা সংকটের মধ্যদিয়ে গেলে এবার বড় সুখবর পেয়েছে তারা। সুযোগ মিলেছে দেশের পেশাদার ফুটবলের সর্বোচ্চ স্থর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলে। দেশের ফুটবলে একটা সময় জায়ান্ট কিলার হিসেবে পরিচিত ছিল ক্লাবটি। নব্বইয়ের দশকে আবাহনী, মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা, ব্রাদার্স ইউনিয়নের মতো ক্লাবগুলোর সঙ্গে টক্কর দিয়ে লড়াই করতো দলটি। মাঝখানে নানা কারণে দৃশ্যপট থেকে প্রায় হারিয়ে যেতে বসা সেই ইয়াংমেন্সই দীর্ঘদিন পর আবার ফিরছে বাংলাদেশের শীর্ষ ফুটবল লীগে। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে (বিসিএল) পিডব্লিউ স্পোর্টস ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিতের পাশাপাশি বিপিএলে জায়গা করে নেয় তারা। এর আগে ২০১৭ সালে বিসিএলের শিরোপা জিতে প্রিমিয়ার লীগে উঠেও অর্থাভাবে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ইয়াংমেন্স ক্লাব। এবারও কি নাম প্রত্যাহার করে নিবে ক্লাবটি? নাকি অংশ নিবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। গত মৌসুমে বিপিএল থেকে অবনমন ঘটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও এএফসি উত্তরার।
 
এক মৌসুম আগে বিসিএল থেকে বিপিএলে ওঠার কথা গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের। এই দুই দলসহ ১১টি ক্লাব নিয়ে হওয়ার কথা ছিল বিপিএল ফুটবল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় বিসিএলের ২০২২-২৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব। যে কারণে ১০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিপিএলের চলমান আসর। এবার ১০টি ক্লাব থেকে দুটি দলের অবনমন হবে, আর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ বিপিএলে সুযোগ পাবে দুটি দল। দল না বাড়িয়ে আসন্ন বিপিএলেও ১০ দল নিয়ে করতে চায় বাফুফে। বাফুফের কম্পিটিশন ম্যানেজার জাবের বিন তাহের আনসারি বলেন, ‘ফুটবলের স্বার্থেই আমরা লিগের মান বাড়াতে চাই। এ কারণে এমন দল চাচ্ছি না যারা আসবে আবার এক মৌসুম খেলে আবার নেমে যাবে।’ বিপিএলের অবনমন নিশ্চিত না হলেও বিসিএল থেকে কারা উঠছে সেটা পরিস্কার হয়ে গেছে। ইয়াংমেন্স ক্লাব ফকিরেরপুলের সঙ্গে এবার প্রিমিয়ার লিগে উঠছে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স।
 
এই দুই দলের মধ্যে ফকিরেরপুল প্রিমিয়ার লিগ খেলবে এটা নিশ্চিত। তবে প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে খুশির সঙ্গে কিছুটা দুশ্চিন্তাও আছে ইয়াংমেন্স ক্লাব ফকিরেরপুলের। দুশ্চিন্তাটা প্রিমিয়ার লিগের দল গঠনের জন্য অর্থের জোগান নিয়েই। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাইনু বলেন, ‘বিপিএলে খেলতে হলে অনেক মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন। এবার আমরা যে খুব বড় বাজেটের দল নিয়ে বিসিএলে খেলেছি, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু লিগ যত গড়িয়েছে, আমরা ভালো করেছি। শেষ পর্যন্ত ভালো লাগছে প্রিমিয়ারে যোগ্যতা অর্জন করে। তবে একই সঙ্গে ভাবনা হচ্ছে, প্রিমিয়ারের দলটা গঠন করব কীভাবে। অনেক টাকা লাগবে। তবে আমরা এবার প্রিমিয়ারে যে করেই হোক খেলব। আমাদের ম্যানেজমেন্ট বলছে অর্থ বাধা হবে না।’ ক্যাসিনো-কান্ড ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে যথেষ্টই। মাইনু সেটিই মনে করিয়ে দিলেন, ‘ইয়াংমেন্স মূলত মহল্লাভিত্তিক ক্লাব। এই ক্লাব চলে মহল্লার মানুষের টাকায়। কিন্তু ক্যাসিনো আমাদের ইমেজের ক্ষতি করেছে। সেটিই পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছি। প্রিমিয়ারে যোগ্যতা অর্জন আমাদের সেই লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ।’
 
এদিকে প্রতিদ্বন্ধিতা ও মানে বিসিএলের সেরা আসর ছির এটি, এমনটাই মনে করেন ফুটবলের সাথে সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্থর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ মানেই নানা অনিয়মে ভরপুর। এবার সেই অর্থে বড় ধরনের অভিযোগ উঠেনি। আট দলের লিগে অবনমন এড়ানোর যুদ্ধ তেমন না জমলেও চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ লড়াই হয়েছে শেষ রাউন্ড পর্যন্ত। কমলাপুর স্টেডিয়ামে লিগের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান এবারের আসরকে বিসিএলের সেরা আসর বলে দাবি করেন, ‘নানা কারণেই অন্য আসরগুলোর তুলনায় এবারের লিগে ভিন্নতা ছিল। বিশেষ শিরোপা নির্ধারণ হয়েছে শেষ রাউন্ডে প্রতিদ্বন্ধিতা ও মানের বিচারে এবারের বিসিএল সেরা।’ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্থর হলেও বাফুফে এই লিগের দিকে তেমন নজর দিত না। ইমরুল হাসান লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ার পর খানিকটা নতুনত্ব এসেছে। প্রিমিয়ারের পাশাপাশি বিসিএলেও প্রতি ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ, মাসের সেরা রেফারিকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি ট্রফিতেও ভিন্নতা এসেছে। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ও রানার্সআপ ঢাকা ওয়ান্ডারার্স। বিগত সময়ে প্রিমিয়ারে উঠেও খেলেনি অনেক ক্লাব। এবার এর পুনরাবৃত্তি না হওয়ার আশা লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের, ‘আগে প্রিমিয়ারে খেলার সুযোগ পেয়েও খেলতে অনীহা ছিল। এখন না খেললে আইন কড়াকড়ি করা হয়েছে। যে দুই দল চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়েছে তারা ঐতিহ্যবাহী দল। প্রিমিয়ারেও তারা অংশগ্রহণ করবে এই আশা করছি।’ 
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।