• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৪৯

ঐতিহ্য হারাতে বসছে হকি

ঢাকাতে হকি খেলি নিয়ে আসেন নবাব সলিমুল্লাহ। কোলকাতার হোয়াইট ওয়েজ ডিপার্টমেন্টাল শপে হকি স্টিক দেখে চিনি নবাব বাড়ির উঠতি ছেলাদের জন্য নিয়ে আসেন। ঢাকাতে হকির সেই শুরু, সন ১৯০৭/৮। ইউসুফ রেজা এতই পারদর্শী হয়েছিলেন যে ধ্যানচাঁদের ভারতীয় অলিম্পিক দলে সিলেক্টেড হয়েছিলেন। ঝাসি হিরোজ ব্যাটালিয়নে ধ্যানচাঁদ, তার ভাই রুপচাঁদ ছিলেন, পিলখানাতে এই ইউনিট ছিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে এনারা প্রাকটিস করতেন, আমার বাবা শামসুদ্দিন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় হকি দলের ক্যাপটেন, এক সাথেই অনুশীলন করতেন। বাবার সাথে ১৯৭০ সনে পূর্বপাকিস্তান বনাম বিশ্বজয় করে আসা পাকিস্তান দলের খেলা দেখে ছিলাম। খেলেছিলেন আব্দুস সাদেক, হারবো না হারাও ত দেখি এই  ব্রতে হকচকিত করে দিয়েছিলেন বিশ্বজয়ীদের, শেষমেষ তানভির দারের পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে কোনমতে পাকিস্তান জয়ী হয়ে মাঠ ছাড়ে।
 
১৯৭০ সনের সেই খেলা মাথায় রেখেই ১৯৮৫ সনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলাম। দলের লেফট হাফ পিরুর বয়স তখন মেরেকুটে ১৭ বছর হবে, হোটেল পূর্বানিতে আগের রাতে ক্যাপ্টেন হিসাবে তাকে বলেছিলাম তুমি মুক্তিযুদ্ধ কি বুঝলি, কাল তোমার মুক্তিযুদ্ধ, মাঠে পিরু বিশ্ব হকির ত্রাস কলিমউল্লাহকে একবারও বের হতে দেয়নি। পেপটক গুছিয়ে বলা ক্যাপ্টেন্র অন্যতম দায়িত্ব।মাঠে পাকিস্তানকে বুঝিয়ে ছিলাম তোরা সব জয়ধ্বনি কর, ঐ নতুনের কেতন উড়ে কাল বোশেখির ঝড় কারে বলে। 
 
টিসা একবার কিসমত দুইবার, গোলকিপারকে একা পেয়েও তাড়াহুরা করে গোল মিস করে। আর হকি ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফরওয়ার্ড হাসান সরদার একবারই গোলের সুযোগ পায়। গোলকিপার ওসমান গোল লাইন না ছেড়ে লাইনের উপর দাড়িয়ে থাকাতে গোল পোষ্টের দুই দিকেই গোল করার অ্যাংগেল ওয়াইড ওপেন ছিল, সুযোগ টা কাজে লাগিয়ে টপ অব দ্য ডি থেকে শটে গোল করে দেয়।
 
এই মুহূর্তে হকি বিভিন্ন ইগোতে প্রায় স্টেলমেট অবস্থা। দর্শক আসেনা, মানহীন আম্পায়ারিং, ঢাকার বাইরে প্লেয়ার তৈরি হয় না। বাইরের থেকে আসা প্লেয়াররা মাঠ কাপাচ্ছে এর পঁচানব্বই ভাগই তাদের দেশের জাতীয় দলের নয়। কবিরা অনেক আগাম ভাবনা লিখে ফেলেন, মোর না মিটিতে আশা ভাঙ্গিল খেলা, ঢাকার বর্তমান হকি নিয়েই মনে হয় লিখেছিলেন।
 
লেখক : সাবেক অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত এবং কলামিস্ট ।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।