• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৫৭

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি দিতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি হাইকোর্টের

পথরেখা অনলাইন : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার প্রতিবাদকারী ‘প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে চার সচিবের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

আদেশে বলা হয়েছে, কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থ সচিব ও সমাজকল্যাণ সচিব থাকবেন। কমিটিকে আগামী ৪ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। রিটটি চলমান তদারকিতে থাকবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং নিকটাত্মীয়দের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকা-ের পর তৎকালীন সামরিক সরকার মিছিল-মিটিং বন্ধ করে দেয়। তা সত্ত্বেও নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, খুলনা, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও সামরিক জান্তা ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তোলা হয়। বঙ্গবন্ধুর অনুসারী ও স্বাধীনতার চেতনা লালনকারীরা এই প্রতিরোধ গড়ে তুলে।

আইনজীবী বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুভক্ত কয়েক হাজার ছাত্র, তরুণ ও মুক্তিযোদ্ধা তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সপরিবার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। যে কারণে ছয়জন ‘প্রতিরোধ যোদ্ধা’ ২০২২ সালে রিটটি দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৭ আগস্ট রুলজারি করেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ আদালত উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার নিজবাড়ী ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিপদগামী একদল সেনা কর্মকর্তা সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যার পর পর দেশে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ বিনষ্ট করা হয়।

 নির্মম এই হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, খুলনা, চাদপুরের ফরিদগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়সহ দেশের বেশ কিছু স্থানে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। সামরিক জনতার রক্তচক্ষু ও বুলেটভীতিকে উপেক্ষা করে যারা ওই সময় প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তাদের যথাযথ স্বীকৃতি ও মূল্যায়নের জন্যই রিটটি দায়ের করা হয়। আজকের রায়ের ফলে ওই যোদ্ধাদের স্বীকৃতির দ্বার উন্মোচিত হলো বলে জানান এডভোকেট বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।