গরম অনেকটাই মহাবীর আলেক্সান্ডারের মতন। সব ধ্বংস করে আগাতেই হবে, আর করছেও তাই। এই গরমে আর্মি গল্ফ পার্টিতে স্যুটেড বুটেড হয়ে যেতে হবে। কি আর করা, জামা, টাই, কোট পরে ছেজে গুঁজে- হাজিরা দিলাম। এসি কক্ষেও প্রচুর গেদারিংয়েও গরমা গরম ভাব আছেই।
ড্রেস নিয়ে কথা বলতে গেলে মনে পরল ১৯৮০/৮১ তে যশোহরে আর্মি হকি চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল। আমি তখন ফার্স্ট বেংগল (সিনিয়র টাইগার্সে।)। চিটাগং ডিভিশনের আন্ডারে। চিটাগং দল নিয়ে যশোহর গেলাম। রাতে ডিনারে শুনলাম জেনারেল এরশাদ থাকবেন। ড্রেস কোড মেনে যেতে হবে। আরে বাবা- গেছিত খেলতে, কোথায় টাই, কোথায় সাদা ট্রাউজার- কোথায় পালিশ করা জুতা। ব্যাটম্যানকে বললাম, সাদা প্যান্ট আর সাদা সার্ট কারো থেকে আনতে, সাদা সার্ট আনল। সেটার আবার টাই বাটন নাই, রিস্ক না নিয়েই বললাম আমার ডিনার রুমে নিয়ে আসতে। একটু পর বেশ কিছু অফিসার আসলেন বললেন, জেনারেল এরশাদ আমাকে খুঁজবেই। আমি জেনারেল এরশাদ সম্বন্ধে ভালই জানি, উনি ড্রেস নিয়ে খুঁত খুতে। বললাম আমার স্টোমাক প্রবলেম। তারপর পেটের ঔষধ নিয়ে আসতে বললাম। যাতে পরে বলা যায় আসলেই অসুস্থ ছিলাম। কর্নেল ফেরদৌস তখন ক্যাপ্টেন, স্যারকে ত আর মিথ্যা বলা যায়না। বললাম ড্রেস ঠিক নাই, স্যার। বললেন ভাল ডিসিশন।
ডিনারে জেনারেল এরশাদ আসলেন। ডিভ হকি চ্যাম্পিয়নশিপের অফিসারদের সাথে হাত মিলাতে গিয়ে ড্রেস টোকাই করলেন। আচ্ছা মতন বুলি করলেন। হাত মিলানোর গৌরব নিতে গিয়ে ধমক খাওয়ার কি দরকার। না গিয়ে বেঁচে গেলাম।
লেখক : সাবেক অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত এবং কলামিস্ট
পথরেখা/আসো