• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪৪

টাকায় যাই হোক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সম্ভব নয়

পথরেখা অনলাইন : ধনকুবের দল হলেও এখন পর্যন্ত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিততে পারেনি প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। অনেক নামী খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েও শিরোপার দেখা পায়নি। যেমন করে এবারও কিলিয়েন এমবাপ্পে শত চেষ্টা করে দলকে ফাইনালে নিতে পারেনি। চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বপ্ন পূরণের জন্য এই ফরাসী সুপারস্টটারকে ঘিরে বারবার দল সাজিয়েছিল প্যারিসিয়ানরা। তবে পিএসজির সেই ’প্রজেক্ট-এমবাপ্পে’ শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি। দুই লেগ মিলিয়ে হারটা ২-০ গোলের। এমবাপ্পের মতো খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও বুন্দেসলিগার পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে থাকা ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে জালের খোঁজ পায়নি ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। তবে পোস্টে বল লেগে ফিরে আসার রেকর্ড গড়েছে তারা। অর্থাৎ এক ম্যাচেই ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি চার বার! তবে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, পুরো ম্যাচে গোল না করতে পারলেও ৩০টি শট নিয়েছে পিএসজি। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে কোনো দলের এতগুলো শট নিয়েও গোল করতে না পারার ঘটনা সর্বশেষ ঘটেছিল ২০০৩/০৪ মৌসুমে।
 
এমনকি ম্যাচে পিএসজি ৪বারের প্রচেষ্টা প্রতিপক্ষের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে এমন নজির আর নেই। পিএসজির জন্য অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে হতাশ হয়ে ফেরা নতুন কিছু নয়। এ নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে ৭ ম্যাচ খেলে ৬টিতেই হারল তারা; ব্যর্থতার হার ৮৩ শতাংশ! কমপক্ষে ৫ ম্যাচ খেলেছে, এমন যেকোনো দলের ক্ষেত্রে এই হার সর্বোচ্চ। এ নিয়ে চার বছরে দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল পিএসজি। আগেরবার লিসবনের ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন শেষ হয়েছিল তাদের। সেবারই পিএসজির হয়ে জেতার খুব কাছাকাছি ছিলেন ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতায় ৪২ গোল করা এমবাপ্পে। ২০১১ সালে পিএসজির মালিকানা কেনার পর থেকে অঢেল অর্থ খরচ করেছে কাতারি মালিকপক্ষ। কিন্তু প্রতিবারই চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া তাদের জন্য স্বাভাবিক ঘটনা যে। এমনকি দলে নেইমার জুনিয়র, লিওনেলে মেসির মতো মহাতারকাদের ভিড়িয়ে এমবাপ্পের সঙ্গে জুটি বাঁধার ব্যবস্থা করেও সাম্প্রতিক আসরগুলোতে ব্যর্থ হয়েছে পিএসজি।
 
এর আগে নেইমার ও মেসি দু'জনেই আগের মৌসুমে ক্লাব ছেড়ে চলে গেছেন। পিএসজির জার্সিতে রেকর্ড ২৫৫ গোল করা এমবাপ্পেও এখন যাওয়ার পথে। এই গ্রীষ্মেই তিনি পাড়ি জমাতে পারেন তার স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। পিএসজি অবশ্য এরইমধ্যে ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপা ঘরে তুলেছে। আগামী ২৫ মে ফরাসি কাপে লিঁওর মুখোমুখি হবে তারা। ৭ বছর প্যারিসে থাকার পর এটাই পিএসজির জার্সিতে জার্সিতে এমবাপ্পের শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে শেষ হচ্ছে পিএসজির ’প্রজেক্ট-এমবাপ্পে’। এরপর রিয়ালে গিয়ে হয়তো ইউরোপ সেরা হওয়ার স্বপ্ন পূরণের লড়াইয়ে নামবেন এমবাপ্পে। যেখানে তার স্বপ্ন পূরণের যথেষ্ট সম্ভাবনাও রয়েছে। এখন প্রতীয়মান হয়েছে যে, ভাল খেলোয়াড়ের পাশাপাশি একজন কড়া হেডমাস্টার না থাকলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতা সম্ভব নয়। যেমনটা এবারও পারেনি পিএসজি। যার ফলস্বরুপ পিএসজিকে হারিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর পর ফাইনালে পৌছে গেছে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
 
ফাইনালের আশা পুনরুজ্জীবিত করতে, লড়াইয়ে ফিরতে যেকোনো মূল্যে দরকার ছিল গোল, কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও পারল না পিএসজি। দলটির চারটি প্রচেষ্টা বাধা পেল পোস্ট আর ক্রসবারে। মাঝে বরং তাদের জালেই বল পাঠাল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের আবার হারিয়ে এক দশকের বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল জার্মান দলটি। সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মাটস হুমেলসের একমাত্র গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। ডর্টমুন্ড সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছিল ২০১৩ সালে, ওয়েম্বলিতে হেরেছিল বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। আর ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় নিজেদের একমাত্র শিরোপাটি তারা জিতেছিল ১৯৯৭ সালে, মিউনিখের ফাইনালে জুভেন্তাসকে হারিয়ে। দ্বিতীয় শিরোপার লক্ষ্যে আগামী ১ জুন ওয়েম্বলিতে বায়ার্ন অথবা রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ডর্টমুন্ড। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় এবার মৌসুমটা ভালো কাটেনি ডর্টমুন্ডের। জার্মান কাপে তাদের পথচলা থামে শেষ ষোলোয়। দুই রাউন্ড বাকি থাকতে বুন্ডেসলিগার টেবিলে তারা আছে পাঁচ নম্বরে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাদের শুরুটা ভালো ছিল না। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে পিএসজির মাঠে হেরেছিল ২-০ গোলে। সেই মাঠেই এবার দারুণ জয়ে শেষ ধাপে পৌঁছে গেল এদিন তেরজিচের দল। অন্যদিকে, মৌসুমে এরই মধ্যে দুইটি শিরোপা জেতা পিএসজি চার ট্রফির আশায় ছিল। একটির আশা শেষ হয়ে গেল ফাইনালের আগেই। 
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।