• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:২৯
উপজেলা নির্বাচন

রোববার থেকে মাঠে নামছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

  • জাতীয়       
  • ১৮ মে, ২০২৪       
  • ২৮
  •       
  • ১৯-০৫-২০২৪, ০১:৫৪:৫৫

পথরেখা অনলাইন : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ১৫৭ উপজেলা নির্বাচনে রোববার (১৯ মে) মাঠে নামবে বিজিবি, র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোটের আগে পরে মোট পাঁচদিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা পাঁচদিনের জন্য মাঠে নিয়োজিত থাকবে। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পরিপত্র জারি করেছে।

পরিপত্র অনুযায়ী, সমতলে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ জন করে এবং ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। দুর্গম ও পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও ঝূঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনে প্রতি ইউনিয়নে থাকবে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি মোবাইল টিমের সাথে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

এদিকে নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে বিচার করার জন্য উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ থাকবে বিশেষ টিম। ওই টিম নির্বাচন সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগ/তথ্যের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরাসরি এলাকাভিত্তিক আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় সেলে প্রেরণ করবে।

বিজিবি/বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড/আর্মড পুলিশ/আনসার ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব:

(ক) বিজিবি/বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড/আর্মড পুলিশ/আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে;
(খ) জেলা/উপজেলা/থানাসমূহে বিজিবি এবং উপকূলীয় এলাকাসমূহে কোস্ট গার্ড দায়িত্ব পালন করবে
(গ) উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ০২-০৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। রিটার্নিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজিবি মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন;
(ঘ) সন্দ্বীপ ও দুর্গম পার্বত্য এলাকায় প্রয়োজন অনুযায়ী/কেন্দ্রভিত্তিক বিজিবি মোতায়েন করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে;
(ঙ) জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে পরামর্শক্রমে রিটার্নিং অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবে;
(চ) বিজিবি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করতে পারবে এবং
(ছ) রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিদের্শনাক্রমে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোটগণনা কক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব):

(ক) মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে;
(খ) নির্বাচনী এলাকায় সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে;
(গ) রিটার্নিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবে;
(ঘ) আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করতে পারবে এবং
(ঙ) রিটার্নিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোটগণনা কক্ষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।

বাংলাদেশ পুলিশ:

(ক) বাংলাদেশ পুলিশ নির্বাচনী এলাকায় সামগ্রিক শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা বিধান এবং ভোটারদের জন্য আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে দায়িত্ব পালন করবে;
(খ) নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব সরঞ্জাম ও দলিল দস্তাবেজ বহন করার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে;
(গ) নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে;
(ঘ) নির্বাচন কার্যালয়সমূহ, রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের নিরাপত্তা বিধান করবে,
(ঙ) স্থানীয় জননিরাপত্তা, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সুশৃঙ্খল লাইন করানোসহ স্থানীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে।

আনসার ও ভিডিপি:
(ক) বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে;
(খ) নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব সরঞ্জাম ও দলিল দস্তাবেজ বহন করার সময় নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করবে এবং
(গ) ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড় করানোসহ শৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে এবং সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের আইনি যেকোনো নির্দেশনা প্রতিপালন করবে।

প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা:
(ক) অস্ত্র ও গোলাবারুদ স্ব স্ব বাহিনীর সদরদপ্তর নির্ধারণ করবে;
(খ) স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয়পূর্বক আবাসন ব্যবস্থা নির্ধারণ করতে হবে;
(গ) স্ব স্ব বাহিনীর সদরদপ্তর তাদের রেশন নির্ধারণ করবে;
(ঘ) প্রশাসনি খাত হতে জ্বালানি খরচ নির্বাহ করতে হবে;
(ঙ) স্ব স্ব বাহিনীর সদর দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী রোগী/হতাহতদের জরুরিভাবে চিকিৎসা/স্থানান্তরের জন্য বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার সুবিধাজনক স্থানে মোতায়েন করবে;
(চ) স্ব স্ব বাহিনী তাদের নিজ নিজ সংস্থার প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন ব্যবহার করবে এবং
(ছ) এ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়ভার সামরিক/বেসামরিক যানবাহন/নৌযান/বিমান/হেলিকপ্টারের জ্বালানি রক্ষণাবেক্ষণ ও ভাড়া, কনটিনজেন্সি, ক্যাম্প/বাসস্থান এবং টেলিফোন বিল নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক বহন করা হবে।

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে রোববার মধ্যরাতেই শেষ হবে প্রচার। এছাড়া একই সময় থেকে ভোটের এলাকায় সীমিত করা হবে যান চলাচলও।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।