• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪১

হকির আবাসিক ক্যাম্প

১৯৭৫ সনের নভেম্বর মাসে হকির আবাসিক ক্যাম্প ছিল। সবাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিল্ডিংয়ে থাকতাম। প্রাকটিস শেষে ব্রেক-ফাস্ট করতে ডাইনিং হলে যেতাম। সেনাবাহিনীর তিনজন আমাদের সাথে ক্যাম্পে ছিল। আর্মি অফিসার ক্যাপ্টেন আনোয়ার, ১৬ ইস্ট বেঙ্গলের; ব্যাকে খেলতেন আর লেফটানেন্ট মুস্তাফিজ ইন্জিনিয়ার্সের খেলতেন ফরোয়ার্ড। সুবেদার মতিন আর্টিলারির। লক্ষ করতাম সুবেদার মতিন কখনই ডাইনিং টেবিলে আর্মি অফিসার দুই জন থাকলে ডাইনিং রুমে ঢুকতেন না। সুবেদার মতিন আজাদ স্পোর্টিংয়ের গোলকিপার ছিলেন। তাই চিনতামও, তাকে মতিন ভাই বলতাম। 
 
ক্যাম্পে থাকতে থাকতেই ৭ নভেম্বরের  আর্মি ক্যু হল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দোতালার বারান্দা থেকে আর্মি ট্যান্ক, থ্রিটন ভড়া সোলজার দেখতে থাকলাম। সকাল থেকেই সুবেদার মতিন  হকি ক্যাম্পে ছিলেন না। যখন আর্মিরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে তখন মতিন সাব আসলেন। আমাদের সাথে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ক্যাপ্টেন আনোয়ার আর লেফটানেন্ট মোস্তাফিজও আর্মির ম্যুভ দেখছিল। মাঝে মাঝে হাত নাড়ছিলও। হঠাৎ আর্মি পিকআপ থেকে তিনজন নামল। নিদ থেকেই বলল, স্যার নীচে আসেন। ওরা দুই জন নীচে নামার পর লেফটানেন্ট মোস্তাফিজ বলল, মোটর সাইকেলের চাবিটা দিয়ে আসি। তারপর উপরে এসে চাবিটা অফিসে দিয়ে এদের সাথে চলে গেল। সেই শেষ দেখা। এই অস্থির পরিস্থিতিতে ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যায়। পরে শুনেছি লেফটানেন্ট মোস্তাফিজের ভাই এসে মোটর সাইকেল নিয়ে গেছে। দুই জনকেই মেরে ফেলা হয়। মনে প্রশ্ন আসতেই পারে দুইজন অফিসার হকি ক্যাম্পে আছে। এটা সুবেদার মতিন জানিয়ে আসে নাইত।
 
১৯৭৬ সনে বিএমএ তে যাই। আমি হকি ক্যাম্পে ছিলাম। তাই ইন্টারভিউর সময় দুইজন আর্মি অফিসার নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল। যদি ওরা শিশুর আগ্রহে এই ম্যুভ দেখতে বারান্দায় না যেতেন! নিয়তি মানতেই হবে ।
লেখক : জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত , জাতীয় হকি দল অধিনায়ক এবং কলামিস্ট
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।