• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৩৪

স্মৃতি বহিয়া যায়

বিচারপতি শরিফ উদ্দিন চাকলাদার রাশভারি মানুষ। তখন নামকরা উকিল। আমাকে বললেন এভাবে ডানে বামে ঘুরাঘুরি না করে বিয়ে করে ফেল। তখন পাবলিকা গাড়ি। দুই দরজার। সামনের বাম দিকের সিট ভাজ করে পিছনের সিটে যেতে হয়। এ গাড়ি চড়েতো আর বিয়ে করতে যাওয়া যায় ন। বর্তমান উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক তখন ক্যাপ্টেন। উনি সবসময় আমার রুমে ফেরদৌস স্যার, কায়সার হামিদ, ফুটবলের গোল কিপার সান্টু , হেলাল, হকির জামাল, নূরুল ইসলাম, সান্টা আর অনান্য নিয়ে তুমুল আড্ডা এবং খেলার ভুল ত্রুটিসহ বহু কথাই হত। 
 
বান্দরবানে তখন আমার ইউনিট ফার্স্ট বেংগল। যারা লাহোরে ১৯৬৫ সালে ভারতের সাথে যুদ্ধে আবার ১৯৭১ সনের আমাদের মুক্তিযুদ্ধের জয়ের গৌরবের অংশীদার। প্রত্যেক সৈন্য অভিজ্ঞ; এমন ইউনিটে পোস্টিং মানেই সবসময় প্রতিটি পদক্ষেপে নিজের অবস্থান অন্যের চোখে শ্রদ্ধা পাবার জন্যই ফেলতে হয়। এই ফার্স্ট বেংগল শুটিং, বেয়নেট ফাইটিং অ্যাসল্ট কোর্স আবার খেলা সব বিষয়েই শ্রেষ্ট হবার দাবীদার। রুমে হাজার কথার সব কথা ছাপিয়ে আমার বিয়ে এবং দুই দরজার টয়োটা পাবলিকা নিয়ে আর যাওয়া যায় না। তাই কার গাড়ি নেয়া যায় সেটাই চিন্তার। বর্তমান উপদেষ্টা জেনারেল তারিক, তখন ক্যাপ্টেন বললেন আমার তিনটে গাড়ি তার একটা নিয়ে নিও। কায়সার হামিদের ছোট ভাই সোহেল হামিদ বলল অন্যের গাড়ি নিলে কেন মার্সিডিজ নয়। এই আলোচনার মধ্যেই হকির সভাপতি মেজর জেনারেল মতিন ডাকলেন আর বললেন রেলওয়ে হকি টিম যেই জেনেছে কালকে তোমার বিয়ে। মানে তুমি খেলবে না। এখন এরা কালকেই সেমিফাইনাল খেলবে। বিয়ে তোমার তবে এ্যারেন্জমেন্ট অন্যেরা করবে তাই খেলতে হবে।
 
মাঠে খেলছি অলরেডি দুই গোলে লিড। এমন সময় লাইনের পাশে কায়সার হামিদ আর পুলিশের এসআই এরশাদ এসে বললেন চিন্তা কইরেন না; মার্সিডিজ জোগাড় হয়েছে। হাই কোর্টে পাঠাইছি ফুল দিয়া সাজাইতে। ব্যাপারটা হল, সাহেবকে এয়ার পোর্টে নামিয়ে ড্রাইভার স্টেডিয়ামের ইসলামিয়া রেস্টুরেন্টে নাস্তা খেতে ঢুকেছিল। এসআই এরশাদ রং পার্কিং এর কেসের কথা বলতেই ড্রাইভার ঘাবড়ে যায়। বলে সাহেব বিদেশ থেকে এসে কেসের কথা শুনলে চাকরিই থাকবে না। খেলা সবাই খেলে তবে ‘ডাই হার্ট’ বন্ধু সবার জোটে না। এখানে আমি সৌভাগ্যবান ।
 
লেখক : সাবেক হকি অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী দল, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিজয়ী এবং কলামিস্ট
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।